ঢাকা সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫

সিংগাইরে কালীগঙ্গা নদী শাসন বাঁধ প্রকল্পে নিঃস্ব অনেক পরিবার, ক্ষতিপূরণের দাবি


মিলন মাহমুদ, সিংগাইর photo মিলন মাহমুদ, সিংগাইর
প্রকাশিত: ২০-১-২০২৫ দুপুর ১:৪

মানিকগঞ্জের সিংগাইরের কালীগঙ্গা নদী শাসন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে নদীর তীরবর্তী এলাকার একাধিক পরিবার তাদের ভিটে বাড়ি হারিয়ে হচ্ছেন নিঃস্ব ও ভূমিহীন। ভুক্তভোগীদের রেকর্ডকৃত সম্পত্তি নেওয়া হলেও বিনিময়ে পাচ্ছেননা কোন ক্ষতিপুরণ।
সরকারের কাছে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দাবি করছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।

জানা যায়, নদী ভাঙ্গন রোধে ১৭ টি প্যাকেজের মাধ্যমে কালিগঙ্গা নদী শাসন প্রকল্প হাতে নেয় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। এরমধ্যে উপজেলার জামশা ইউনিয়নে দুটি প্যাকেজে প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে দেড় কিলোমিটার নদী শাসন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। নদীর তীরবর্তী পরিবারগুলোর অভিযোগ, নদী শাসন প্রকল্পে তাদের রেকর্ডকৃত সম্পত্তি নেওয়া হলেও বিনিময়ে পাচ্ছেনা কোন ক্ষতিপুরণ। এদিকে ব্যাক্তি মালিকানা ভূমির মাটি রাতের অধারে বিক্রির অভিযোগও রয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।

রেকর্ডকৃত ভূমির বসতবাড়ি ভেঙ্গে নদী শাসন প্রকল্পের কাজ চলমান থাকলেও মানা হয়নি ভূমি অধিগ্রহণ আইন। যে কারণে বাড়িঘর হারিয়ে মানবেতন জীবনযাপন করছে অর্ধশতাধিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। সরকারের কাছে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দাবি তাদের।

ভুক্তভোগী ঝর্ণা বেগম বলেন, আমার আধা বিঘার মতো জমিতে বাড়ি ছিলো। নদীতে ভাঙতে ভাঙতে বারো আনি শেষ। চার আনির মধ্যে ঘর করে থাকতাম, তাও ভাইঙ্গা দিলো। সরকার যদি আমাদের কিছু ক্ষতিপূরণ দিতো, নাইলে একটু খাস জমি দিতো তাহলে বৃদ্ধ মাকে নিয়ে থাকতে পারতাম। এখন তো আমরা ভূমিহীন হয়ে গেলাম।

একই অভিযোগ তুলে আব্দুল হাসেম আলী বলেন, আমার ব্যক্তি মালিকানা জমির প্রায় ২০-৩০ ফুট কাটছে। আমার জমিতে গাছ ছিলো, প্রায় ১ লাখ টাকা মূল্যের আদা চাষ করে ছিলাম। সবই শেষ। আমার জমির মাটি নিয়ে অন্য জায়গার রাস্তা ভরেছে। অনেককেই নিজের জায়গার মাটি দিলেও আমাকে দেয় নাই। সরকারের কাছে ক্ষতিপুরণ দাবি করি।

এরূপ প্রায় অর্ধশতাধিক ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, বাঁধ হলেও আমাদের ক্ষতি করে কেনো? আমাদের শেষ সম্বল ভিটে মাটি এভাবে নিলে আমরা কোথায় যাবো? তাই আমরা সরকারি ভূমি অধিগ্রহণ আইনের নিয়মেই ক্ষতিপূরণ দাবি করি। একই সাথে ভূমি অধিগ্রহণ আইনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে ক্ষতিপুরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

জেলা পানি উন্নয়ন বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, সরকারিভাবে ভূমি অধিগ্রহণ না করায় এসব পরিবারেগুলোকে ক্ষতিপুরণ দেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। এ প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরনের কোন ব্যবস্থাই নেই। যদি ওয়ার্ড ব্যাংক কিংবা এডিবির কোন প্রকল্প হতো তাহলে দেয়া হতো। এ ফান্ডে ক্ষতিপূরণ দেয়ার এরকম কোন সিস্টেমই নাই।

এমএসএম / এমএসএম

মনোহরগঞ্জে পর্যাপ্ত খেজুর গাছ না থাকায় গাছিরা পরিবর্তন করছে পেশা

শেরপুরে জেলা মাসিক রাজস্ব সভা অনুষ্ঠিত

কোচিং থেকে প্রেম, এরপর বিয়ে-ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মিলল ইভার লাশ

বাকেরগঞ্জে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

ঈশ্বরদীতে ট্রেনে কেটে এক ব্যক্তির মর্মান্তিক মৃত্যু

মসজিদের খতিব–ইমাম–মুয়াজ্জিনদের সুরক্ষায় নীতিমালা চূড়ান্তঃ কুমিল্লায় ধর্ম উপদেষ্টা

মেহেরপুর-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পুনঃবিবেচনার দাবিতে গণজমায়েত

চর ওয়াশপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর করেন জাতীয় বীর আমান উল্লাহ আমান

গাজীপুরের রাজনীতিতে ঝড় তুললেন ইরাদ সিদ্দিকী

ধুনটে বালুবাহী দুই ট্রাকের চাপে অটোরিকশাচালক নিহত

পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের হীরক জয়ন্তী পালন

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিলমারী মডেল থানার এসআই আসাদুজ্জামানের আকস্মিক মৃত্যু

কোম্পানীগঞ্জে সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের সম্মাননা ও সহায়তা প্রদান