রোহিঙ্গাদের দখলে চলে গেছে উখিয়া ও টেকনাফের শ্রমবাজার

২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইনে নির্বিচার গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী নানা অপরাধ শুরু করে দেশটির সামরিক বাহিনী। সে বর্বরতায় টিকতে বসবাস করছে সাড়ে চৌদ্দ লাখ রোহিঙ্গা। শুরুতে মানবিকতা দেখালেও এখন বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা গলার কাঁটা হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের। অবস্থা এমনই যে উখিয়া-টেকনাফ এলাকায় এখন স্থানীয়রাই পড়েছেন হুমকির মুখে।
ক্যাম্পের বাইরে নানা ধরনের কাজ করছে রোহিঙ্গারা।টেকনাফে বাসা ভাড়া নিয়ে বাস করছে নতুন আসা একটি রোহিঙ্গা পরিবার।না পেরে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে একসঙ্গে ১০ লাখ রোহিঙ্গা। সময়ের পরিক্রমায় সেখানে জান্তাবাহিনীর আক্রমণ আরও বাড়ায় এদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা আরও বেড়ে যায়। ১২ লাখ রোহিঙ্গা ঢুকে পড়ায় ও দেশটিতে তাদের প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা দিন দিন ক্ষীণ হয়ে যাওয়ায় ২০২২ সালে আর রোহিঙ্গাকে আশ্রয় না দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু, এ বছর মিয়ানমারে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিভিন্ন বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীর যুদ্ধ ও বাংলাদেশে সরকার পতনসহ রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর চোখে ধুলো দিয়ে এদেশে ঢুকে পড়েছে আরও লাখখানেক রোহিঙ্গা। ২০১৭ সালের আগেও এদেশে দেড় লাখ রোহিঙ্গা বসতি গেড়েছিল। তাই সব মিলিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশে
দুই উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দারাই রোহিঙ্গাদের কারণে নিজেদের ভবিষ্যৎ ও অস্তিত্ব নিয়ে উদ্বিগ্ন। ওই এলাকার রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে তো বটেই আশপাশের সব জায়গায় এমনকি কক্সবাজারেও ছড়িয়ে পড়েছে রোহিঙ্গারা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা ছড়িয়ে যাচ্ছে সারা দেশে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উখিয়া-টেকনাফসহ কক্সবাজারে এখন তাদের কাজ পাওয়াই কষ্টকর, তাদের চেয়ে কম মজুরিতে রোহিঙ্গারা কাজ করে বলে শ্রমবাজারের বড় অংশই এখন রোহিঙ্গাদের দখলে। তাদের অভিযোগ,
উখিয়া টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে কাজের খোঁজেই প্রতিদিন দুই থেকে তিন শতাধিক রোহিঙ্গা বের হয় বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে। বিজিবি চেকপোষ্টে কার্ড দেখিয়ে কৌশলে পার হয়ে বিভিন্ন
কাজে যোগ দেন তিন শতাধিক রোহিঙ্গা।এমনকি ক্যাম্পের বসতি ছেড়ে টেকনাফের ভাড়া বাসাগুলোতেও থাকছেন রোহিঙ্গারা।উখিয়া ও টেকনাফ ঘুরে দেখা গেছে, ব্যাটারিচালিত টমটম, মাহিন্দ্র গাড়ির চালক, রোহিঙ্গা বিচরণ ঠেকাতে তৎপরতা নেই স্থানীয় প্রশাসনের অটোরিকশা চালনা থেকে ফিশিং ট্রলারেও রোহিঙ্গা টেকনাফে বাসা ভাড়া নিচ্ছে নতুন আসা রোহিঙ্গারা
খাবার হোটেল, আবাসিক হোটেল, গ্রামীণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজে, জেলেদের ফিশিং বোটে ও ব্যবসা-বাণিজ্যের উল্লেখযোগ্য কাজ এরইমধ্যে দখল করে নিয়েছে রোহিঙ্গারা। এমনকি গুরুত্বপূর্ণ টেকনাফের স্থলবন্দরে ও রোহিঙ্গারা শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে। স্থানীয় শ্রমবাজার চলে গেছে তাদের দখলে। এতে উখিয়া ও টেকনাফসহ আশপাশের স্থানীয় মানুষের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে।
টেকনাফের জেলে আব্দুল হামিদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের উখিয়া টেকনাফের শ্রমিকদের আগে কাজের অভাব ছিল না। এখন কাজ নেই আমাদের। রোহিঙ্গাদের মজুরি কম দামে তাই সব কাজ তাদের দখলে। এ রোহিঙ্গারা আসার পর থেকে যত বিপত্তি আমাদের। এ রোহিঙ্গা অপহরণে জড়িত। তাদের চলাফেরা দেখলে মনে হয় তারা এ দেশের নাগরিক আমরা অধিবাসী। সর্বত্রই আজও রোহিঙ্গাদের রাজত্ব ও বিচরণ চলছে।
টেকনাফ ও শাহপরীরদ্বীপ জেলে নেতা মো. করিম ও মোহাম্মদ আবদুল গণি জানান, ২০১৭ সালে নাফ নদীতে মাছ ধরা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয় সরকার। ওই সব বোটের মালিকরা স্থানীয় জেলেদের বাদ দিয়ে রোহিঙ্গা মাঝি-মাল্লাদের দিয়ে মাছ শিকার করছে। এই রোহিঙ্গা মাঝি- মাল্লারা মাছ শিকারের নামে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা এবং চোরাচালান ও রোহিঙ্গা এদেশে অনুপ্রবেশ করাই আর স্থানীয় জেলেদের অগ্রিম টাকা দিতে হয় বোট মালিকদের। তাই এ কারণে ফিশিং ট্রলার চলছে রোহিঙ্গা মাঝিমাল্লা দিয়ে। আগে সব ফিশিং ট্রলারে মাঝিমাল্লাদের আইডি কার্ড থাকত। এখন এসব তদারকি করে না কোষ্টগার্ড ও বিজিবি।
এমএসএম / এমএসএম

চট্টগ্রামে রাস্তায় ৫০ হাজার অনিবন্ধিত সিএনজি, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

কসবায় টাইফয়েড টিকা ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন

কুষ্টিয়ায় জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

বাঁশখালীতে বেড়িবাঁধ ভাঙ্গণে ঝুঁকিতে হাজারো পরিবার, দ্রুত সংস্কারের দাবি স্থানীয়রা

ধামরাই প্রেস ক্লাবের নির্বাচন : সভাপতি তুষার, সম্পাদক আহাদ

সাপ্টিবাড়ী ডিগ্রি কলেজে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ, রফিকুল আলমের চাকরিচ্যুতি দাবিতে মানববন্ধন

তাড়াশে বিয়ে বাড়িতে চুরির ঘটনা

টুঙ্গিপাড়ায় শুরু হয়েছে টাইফয়েড ভ্যাকসিন টিকাদান কর্মসূচি

তেঁতুলিয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পর্যটন কেন্দ্র এখন মোহনগঞ্জের গলার কাঁটা

অভয়নগরে শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিতদের শপথ গ্রহণ

রাঙামাটিতে টাইফয়েড টিকাদান শুরু
