ঢাকা বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫

ভর্তির তারিখ যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই চিন্তার ছাপ পড়ছে মেডিক্যালে চান্স পাওয়া পাবনার শিক্ষার্থী মেঘলার


এম মাহফুজ আলম, পাবনা photo এম মাহফুজ আলম, পাবনা
প্রকাশিত: ৩০-১-২০২৫ বিকাল ৫:১

ভর্তির তারিখ যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই চিন্তার ছাপ পড়ছে পাবনায় মেডিক্যাল চান্স পাওয়া শিক্ষার্থী মেঘলার। দিনমজুর বাবা আর অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালানো মায়ের একমাত্র মেধাবী সন্তান মেঘলা খাতুন(১৯)। তারপরেও চরম দারিদ্রতা আর অভাব কোনটাই মেঘলাকে দমাতে পারেনি তার মেধা বিকাশে। 
মেঘলা এবারের মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজে চান্স পেয়েছে। কিন্তু চান্স পেয়েও তার মুখে হাসি নেই। শুধু চিন্তা  ভর্তির এত টাকা কি করে জোগাবে। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারী মেঘলার ভর্তির তারিখ। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে মেঘলা ও তার পরিবারের চোখে মুখে চিন্তার ছাপ যেন বাড়ছে। সরকার ও বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করছেন মেঘলা ও তার বাবা মা।
পাবনা সদর উপজেলার আতাইকুলা ইউনিয়নের মৌগ্রাম মহল্লার দিনমজুর কৃষক হাসমত মির্জা ও গৃহকর্মী মোছাঃ চায়না খাতুনের একমাত্র মেয়ে মেঘলা খাতুন। চরম দারিদ্রতার কষাঘাতের মধ্যে দিয়ে মেঘলার বেড়ে উঠা। ভালো জামাকাপড়, বই খাতা কলম দূরে থাকুক; দিন মজুর বাবা ও মা ঠিকমত দু’বেলা খাওয়ার যোগান দিতেই হিমশিম খাচ্ছিলেন দরিদ্র বাবা মা । তারপরও অন্যের বই খাতা ও শিক্ষকদের সহযোগিতা নিয়ে মেঘলা মেধার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এবার দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। তার এই সাফল্যে আনন্দিত আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসি। কিন্তু হাসি নেই মেঘলা ও তার বাবা মায়ের। ভর্তির টাকার চিন্তাতে তাদের খুশি ম্লান হতে বসেছে। 
মাত্র টিনের একচালা একটি জীর্ণশীর্ণ ঘর মেঘলাদের। ওই ঘরেই একপাশে বাবা মা অন্যপাশে থাকে মেঘলা। নেই কোনো পড়ার চেয়ার টেবিল। তারপরও এতবড় সাফল্য।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মেঘলা জানায়, সে পড়ার বাইরে কখনই কিছু ভাবতো না। সব সময় বই নিয়েই বসে থাকতো। তার দারিদ্রতা ও পরিবারের অবস্থা দেখে শিক্ষকেরা তাকে বিনা বেতনে প্রাইভেট পড়াতেন। এজন্য সে তাদের কাছে ঋণী। ছোটবেলা থেকে তার ইচ্ছাই ছিল বড় হয়ে ডাক্তার হবে। সৃষ্টিকর্তা তার আশা পূরণ করেছেন। সে ভবিষ্যতে ডাক্তার হয়ে গরীব অসহায়দের বিনা পয়সায় চিকিৎসা সেবা দিবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
 মেঘলার বাবা মা বলেন, খুব কষ্টের মধ্যে দিয়ে তার মেয়েকে পড়াচ্ছেন। কখনই তারা মেয়ের সখ আবদার পূরণ করতে পারেননি। অন্যের বাড়িতে দিন মজুর খেটে কোনো মতে সংসার চালিয়ে মেয়েকে মেসের খরচ দিতেন। অনেক সময় দিতেও পারতেন না। তারপরও মেয়ে ভালো এবং বুঝমান হওয়ায় কখনই তাদের উপর চাপ দিত না। মেয়ে ডাক্তারি চান্স পেয়েছে। এতে তারা খুশি। কিন্তু আগামী ৪ তারিখে ভর্তির এত টাকা কই পাবো এই চিন্তায় তো ঘুম আসছে না। সরকার ও সমাজের বিত্তবানেরা যদি তার মেয়ের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে শান্তি পেতেন। এজন্য তার মোবাইল নম্বরটাও দিয়েছেন সবার জন্য ০১৮৯৩২৭১৩৫৩।
এলাকাবাসিরা জানান, মেঘলার সাফল্যে তারা খুশি। ছোট বেলা থেকেই মেঘলা মেধাবী, ধার্মিক ও সৎ চরিত্রবান। সে আরো অনেক সফলতা অর্জন করুক এটা তারা কামনা করেন। কিন্তু ওর বাবা মার আর্থিক অবস্থা খুবই করুণ তাই সবাইকে মেঘলার ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে আসার আহবানও জানান তারা।

এমএসএম / এমএসএম

কাপাসিয়ায় বিএনপির সদস্য পদ নবায়ন ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

সাতকানিয়ায় ভাংতি টাকার অজুহাতে হাসপাতালের টিকিট বাণিজ্যে প্রতি মাসে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে লাখ টাকা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যুতায়িত হয়ে মা-মেয়ের মৃত্যু

ভেড়ামারায় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

স্থানীয় যুবকের সাহসিকতায় পিরোজপুরে টাওয়ার থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক উদ্ধার

সিংড়ায় কোমর পানি পেরিয়ে স্কুলে যাচ্ছে শিশুরা, বই-খাতা ভিজে দুর্ভোগে শতাধিক শিক্ষার্থী

ঝিনাইদহে গণেশ পূজা উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা

মাতারবাড়িতে নারীদের বিকল্প আয়ের পথ খুলে দিল ইপসা

মানিকগঞ্জে যুব মহিলা লীগ নেত্রী গ্রেফতার

লাকসাম পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এস.এস.সি ২০২৫ জিপিএ-৫ কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

লন্ডনে বৃহত্তর কুমিল্লা জাতীয়তাবাদী পরিবারের মতবিনিময় সভা

তানোরের কৃষ্ণপুর স্কুল শিক্ষা বিস্তারে ভুমিকা রাখছে

শালিখায় পাটের চেয়ে কদর বাড়ছে পাটকাঠির