ঢাকা বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫

মেডিকেলে চান্স পাওয়া রিক্সাচালকের কন্যা মা হারা শাপলার আশা পূরণ হবে কী?


এম মাহফুজ আলম, পাবনা photo এম মাহফুজ আলম, পাবনা
প্রকাশিত: ১-২-২০২৫ দুপুর ১২:৪১

মেডিকেলে চান্স পাওয়া মা হারা শাপলার আশা পূরণ হবে কী? ইীলফামারী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেলেও আর্থিক সংকটের কারণে তার ভর্তি হওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
শাপলা যখন চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী তখন তার মা কুলছুম বেগম কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এরপর থেকেই শাপলার মনে চিকিৎসক হওয়ার অদম্য ইচ্ছা জাগে। অষ্টম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি, এসএসসি ও এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ এর পর এ বছর মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন শিশুকালে মা হারানো সেই শাপলা।
নীলফামারী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেলেও আর্থিক সংকটের কারণে তার ভর্তি হওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের নিকড়হাটা গ্রামের অটোরিকশা চালক শফিকুল ইসলামের মেধাবী এই  মেয়েটির চোখে-মুখে দুশ্চিন্তার ছাপ স্পষ্ট। শাপলাদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সহায় সম্পত্তি বলতে দু’টো ঘর ছাড়া আর কিছুই নেই তাদের। বাবা পেশায় একজন অটোরিকশা চালক। পরিবারের কয়েকজন সদস্যদের নিয়ে তার একার আয়েই চলে সংসার।
তার পরিবার জানায়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি আর স্বল্প আয় দিয়ে যেখানে ঠিকঠাকমতো সংসারই চলে না; সেখানে  মেয়েকে মেডিকেল কলেজে কীভাবেই বা ভর্তি করবেন আর কীভাবেই তার পড়ালেখার খরচ চালাবেন, এই চিন্তায় বাবা শফিকুলেরও চিন্তার শেষ নেই। মেয়ের মতো তিনিও সমাজের বিত্তবানদের দিকে তাকিয়ে আছেন, যদি কেউ তার মেয়েটির চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্নপূরণে এগিয়ে আসেন।
অশ্রুসজল চোখে শাপলা বলেন, মায়ের স্বপ্ন ছিল আমি ডাক্তার হবো, এ জন্য পড়াশোনা আর নামাজ ছাড়া অন্য কিছুতেই আমার মনোযোগ ছিল না। টাকা দিয়ে প্রাইভেট পড়ার সুযোগ না থাকায় প্রতিদিন প্রায় ১৪ ঘণ্টা করে পড়ালেখা করতাম। আল্লাহ আমার মনের আশা পূরণ করেছেন, কিন্তু জানি না-এখন অর্থের কাছে আমাকে পরাজিত হতে হয় কি না।
বাবা শফিকুল মেয়ের এমন সাফল্যে টাকা জোগাড়ের জন্য অটোরিকশা নিয়ে কাকডাকা ভোরে বাড়ি থেকে বের হন আর বাড়িতে ফেরেন রাত ১১টার পর। মেয়ের চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্নপূরণে তিনি বাড়তি উপার্জনের আশায় প্রতিদিন বাড়তি পরিশ্রম করছেন।
শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার মেয়ের এমন সাফল্যে আমার ভাষা হারিয়ে গেছে। আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। আমার মা মরা মেয়ের পড়াশোনা এগিয়ে নিতে যদি কোনও বিত্তবান এগিয়ে আসতেন, তবে অনেক উপকার হতো।
শাপলা বলেন, আমাদের দারিদ্রতার কারণে আমার শিক্ষক মঈন স্যার বিনা পয়সায় পড়িয়েছেন। কমল স্যারও নামমাত্র টাকায় আমাকে পড়াতেন। তাদের প্রতি আমি অনেক কৃতজ্ঞ।
শিক্ষক মঈন উদ্দিন বলেন, শাপলা অনেক মেধাবী। আমার বিশ্বাস ছিল সে পড়ালেখা করে ভালো কিছু করবে।  মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েও টাকার অভাবে ওর পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাবে, একটা মেধাবী শিক্ষার্থীর মেধার মূল্যায়ন হবে না এটা হতে পারে না।
এলাকার পল্লী চিকিৎসক মাসুদ রানা বলেন, আমাদের এই গ্রাম থেকে এই প্রথম কোনও মেয়ে মেডিকেলে চান্স  পেয়েছে। আমরা এলাকাবাসী গর্বিত। তবে অর্থের অভাবে এই অদম্য মেধাবীর মেডিকেল কলেজে ভর্তি ও পড়াশোনা এখানেই থেমে যাবে ভেবে খারাপ লাগছে। শাপলার বাবা শফিকুল ইসলাম অটোরিকশা চালক। পড়াশোনার এতো খরচ তিনি কীভাবে বহন করবেন জানি না। এ কারণে শাপলা ও তার বাবার পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিত্তবানদের প্রতি আকুল আবেদন করছি। 

এমএসএম / এমএসএম

কাপাসিয়ায় বিএনপির সদস্য পদ নবায়ন ও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

সাতকানিয়ায় ভাংতি টাকার অজুহাতে হাসপাতালের টিকিট বাণিজ্যে প্রতি মাসে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে লাখ টাকা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যুতায়িত হয়ে মা-মেয়ের মৃত্যু

ভেড়ামারায় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

স্থানীয় যুবকের সাহসিকতায় পিরোজপুরে টাওয়ার থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক উদ্ধার

সিংড়ায় কোমর পানি পেরিয়ে স্কুলে যাচ্ছে শিশুরা, বই-খাতা ভিজে দুর্ভোগে শতাধিক শিক্ষার্থী

ঝিনাইদহে গণেশ পূজা উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা

মাতারবাড়িতে নারীদের বিকল্প আয়ের পথ খুলে দিল ইপসা

মানিকগঞ্জে যুব মহিলা লীগ নেত্রী গ্রেফতার

লাকসাম পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এস.এস.সি ২০২৫ জিপিএ-৫ কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

লন্ডনে বৃহত্তর কুমিল্লা জাতীয়তাবাদী পরিবারের মতবিনিময় সভা

তানোরের কৃষ্ণপুর স্কুল শিক্ষা বিস্তারে ভুমিকা রাখছে

শালিখায় পাটের চেয়ে কদর বাড়ছে পাটকাঠির