ইন্ডিয়া বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ
ইন্ডিয়া বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন প্রকল্পে জমি অধিগ্রহনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।মাত্র ১ এক লাখ ২০ হাজার টাকার টিনসেট ঘরের মূল্য,২৬ লাখ ৮২ হাজার ৬৫৬ টাকা এবং চার দশমিক ৩৬ শতক জমির মূল্য এক লাখ ৩৫ হাজার ৮৩।সর্বসাকুল্যে ২৮ লাখ ১৭ হাজার ৭৩৯ টাকায় অধিগ্রহণ করা হয়েছে।গণপূর্ত বিভাগ ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর যোগসাজশে সরকারি টাকা নয়ছয় করে আত্মসাত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।স্থানীয় ও ভুক্তভোগীদের দাবী,বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করে উত্তোলনকৃত অবকাঠামোর টাকা ফিরত নিয়ে মুল মালিককে দেওয়ার।
তথ্যনুযায়ী,ইন্ডিয়া বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপ লাইনের আওতায় তেঁতুলিয়া উপজেলার কাটাপাড়া মৌজায় ২০২০-২১ সালে ৯১৫ দাগে ৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ জমি অধিগ্রহন করে।অধিগ্রহনকৃত জমির মালিক দাবীদার নাওয়াপাড়ার তরিকুল ইসলাম, নুরল হক ও জফিরুল হক গং।তবে কালদাস পাড়া এলাকার মৃত শরিফ উদ্দিনের ছেলে নুর ইসলাম ওই জমির মালিক সেজে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় কাগজপত্র জমা দেয়।জমি অধিগ্রহনের টাকা না দিলেও অফিসের যোগসাজশে নুর ইসলামকে জমিতে অবকাঠামো বাবদ ২৬ লাখ ৮২ হাজার ৬৫৬ টাকার চেক প্রদান করে।যদিও এখন পর্যন্ত মামলা জটিলতায় আটকে আছে জমি অধিগ্রহনের টাকা।
জমি ও বাড়িটির দাবীদার তরিকুল ইসলাম জানায়,২০১৫ সালে ৫ বছরের জন্য ২৬ শতক জমির মাঝে টিনের চৌচালা ঘর নুর ইসলামকে ভাড়া দেওয়া হয়।জেলা প্রশাসক জমি অধিগ্রহন করলে নিজের দাবী করে গোপনে নুর ইসলাম স্থানীয় রাজু চেয়ারম্যানের মাধ্যমে অবকাঠামো বাবদ ২৬ লাখ ৮২ হাজার টাকা উত্তোলন করে।তবে জমির টাকা দেয়নি।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের তথ্যনুযায়ী,তেঁতুলিয়ার কাটাপাড়া মৌজায় ৯১৫ দাগে ৪.৩৬ জমি অধিগ্রহন করে।সেখানে সেমি পাঁকা দুটি ঘর ৩৪/১৩ ও ৪২/১৫ ফুট এবং ৪২/৭ ও ২৮/৭ ফুট বারান্দা,টয়লেট,টিউবওয়েলের ফ্লোর দেখানো হয়েছে।যদিও স্থানীয় আব্দুল হামিদ,উমের আলী,নুরল হক,জফিরুল হকসহ একাধিক ব্যাক্তি জানান,জমি অধিগ্রহনের আগে টিনের ঘর,বাঁশের বেড়া ও ফ্লোর পাকা ছিল।পরে টাকা পেয়ে সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করেছে।
নুর ইসলাম বলেন,আমি জমি নিয়েছি ভাইদের কাছে,আমার বিপক্ষরা নিয়েছে বোনদের কাছে।দখলে ছিল তাদের,পরে সেটা লেখালেখি হয়।অবকাঠামোর দাম ভারতের লোক সরাসরি দিয়েছে।ডিসি অফিসের লোক ছিলনা।ডিসি ও রমজান স্যার একদিন আসে দেখে গেছে।আমার সাথে জহিরুল স্যারের ভাল সম্পর্ক ছিল।তারপরও অনেকবার ঘুরে টাকা পেয়েছি।
গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান সরকার বলেন,অধিগ্রহনের বিষয়টি আমি যোগদান করার আগের।তবে জেলা প্রশাসকের ভূমি অধিগ্রহন শাখা থেকে কি কি স্থাপনা আছে,সে বিষয়ে চিঠি দিবে।পরে অফিসের উপ-সহকারী সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দিবেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) আব্দুল কাদের বলেন,বিষয়টি অনেক আগের।তবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
এমএসএম / এমএসএম
মানিকগঞ্জে বিনামূল্য সরিষা ও সবজির বীজ বিতরণ
গোপালগঞ্জের নতুন জেলা প্রশাসক মো. আরিফ উজ জামান
মনপুরা হাজীরহাট ঘাটের ব্রিজটিতে যে কোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা
প্রযুক্তির ছোঁয়ায় মুছে যাচ্ছে সিনেমা হলের স্মৃতিচিহ্ন
যানজট নিরসনে নরসিংদী পৌরসভায় অটোরিকশা-ইজিবাইক তালিকাভুক্তির নির্দেশ
বকশীগঞ্জে একসাথে তিন পুত্রসন্তানের জন্ম, অসহায় কৃষকের মানবিক সহায়তার আবেদন
মনোহরগঞ্জে গবাদি পশুর খাদ্য সংকট বিপাকে খামারিরা
কলাপাড টেলিভিশন জার্নালিস্ট ফোরাম এর কার্যালয় উদ্বোধন ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা
হাতিয়ায় বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি
গাইবান্ধার ফুলছড়িতে প্রাথমিক শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
দুমকীতে দুই আওয়ামীলীগ নেতা আটক
চন্দনাইশে মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের তথ্য উপস্থাপন কর্মশালা