টাকা ছাড়া মিলছেনা প্রত্যায়নপত্র
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা ৯নং দক্ষিণ চর আবাবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরে আলম ঝিকু হাওলাদার এর নির্দেশে প্রবাস ফেরত দুই যুবককে ইউনিয়ন পরিষদে বসিয়ে ৫০ টাকার বিনিময়ে প্রত্যায়নপত্র দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
৩ ফেব্রুয়ারী ( সোমবার ) সকাল এগারোটায় অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী ৯নং ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখেন, চেয়ারম্যান কার্যালয়ের পাশের রুমে প্রবাস ফেরত দুই যুবক বসে নাগরিক সেবার নামে ৫০ টাকার বিনিময়ে প্রত্যায়নপত্র দিচ্ছেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ঐ দুই যুবক নাম প্রকাশ না করে বলেন, "আমরা কয়েকদিন আগে প্রবাস থেকে এসেছি, চেয়ারম্যান ঝিকু হাওলাদার ও উদ্যেগতা সামীম ভাই ও সোহান আমাদেরকে এখানে বসিয়ে প্রত্যায়নপত্র দিয়ে ৫০ টাকা করে রাখতে বলছেন। তাদের নির্দেশনা অনুয়ায়ী আমি টাকাটা নিচ্ছি। "
এসময়ে নাগরিক সেবা নিতে এসে হয়রানির শিকার হয়ে হোসেন আলী চৌকিদার বলেন, আমি হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করতে আসছি, আমার থেকে গ্রাম পুলিশ মহসীন ৩০০ টাকার ট্যাক্সের জন্য ৬০০ টাকা নিয়েছেন, রিসিট না দিয়ে আরও ৩০০ টাকা দাবী করছেন। আমাকে কোন রিসিট দিচ্ছেন না। "
হোসেন আলীর অভিযোগে বিষয়ে গ্রাম পুলিশ ৬০০ টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমি ৬০০ টাকা নিয়েছি ঠিকই কিন্তু এখান থেকে উদ্যেক্তা সোহানকে দিতে হয়েছে ১০০ টাকা, রায়পুর উদ্যোক্তা ওসমানকে দিয়েছি ১০০ টাকা এবং সচিব ফিরোজ আলমকে দিয়েছি ১০০ টাকা। "
সচিব ফিরোজ আলম বলেন, আমি জন্ম নিবন্ধনের জন্য সরকারি ফি যা সেটা নেই। হোল্ডিং ট্যাক্সের জন্য গ্রাম পুলিশ মহসীন আমাকে কোন টাকা দেয়নি হয়তো নিজেকে বাঁচাতে আমার কথা বলছেন। "
অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে চেয়ারম্যান ঝিকু হাওলাদার বলেন, " প্রত্যায়নপত্র নিতে ৫০ টাকা দেওয়ার সরকারি কোন নির্দেশনা নেই। ভোটার তথ্য হালনাগাদ করতে ইউনিয়নে জনবল সংকট হওয়ায় দুই যুবককে বসিয়ে নাগরিক সেবার সহোযোগিতায় কাজে লাগিয়েছি। লাঞ্চ এবং অন্যান্য নাস্তা খরচের জন্য ৫০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। এপর্যন্ত ৬ শত এর অধিক প্রত্যায়নপত্র দেওয়া হয়েছে।"
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান খাঁন বলেন, " বিষয়টি আমি আপনাদের থেকে মাত্র জানলাম, ভুক্তভোগী কাউকে অভিযোগ দিতে বলেন, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। "
এমএসএম / এমএসএম