নিজেকে বাঁচাতে জসিম হাওলাদার কে বানিয়েছেন স্কুলের ভুয়া আহ্বায়ক
নার্গিসকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি দেওয়া হোক

ঢাকা মহানগর উত্তরের শাহ আলী থানাধীন হযরত শাহ আলী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় বিতর্কিত প্রধান শিক্ষিকা নার্গিস আক্তারের বিরুদ্ধে বিগত দুই মাস ধরে একাধিক জাতীয় গণমাধ্যমে তথ্য উপাত্ত সহ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় । প্রমাণসহ প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরেও স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি সহ সংশ্লিষ্ট সকলে এক অজানা কারণে নীরব ভূমিকা পালন করছেন ।
বিগত ফ্যাসিস্ট আমলের স্বৈরাচারের দোসর দের নিয়ে নার্গিস আক্তার তার মিশন এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন । প্রধান শিক্ষিকা না হয়ে তিনি বহাল তবিয়তেই আছেন । শুধু তাই নয় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার জন্য যা যা করার দরকার তিনি করে যাচ্ছেন ।ঐতিহাসিক ৫ আগস্ট এর পরে, সৈরাচারের দোসররা পলায়ন করলেও প্রধান শিক্ষিকা নার্গিস আক্তারের বিষয়টা সম্পূর্ণ ভিন্ন । তিনি তার অপরাধ ঢাকতে একের পর এক অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন ।
৫ই আগস্টের পরে স্কুলের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পান ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল ২ এর নির্বাহী কর্মকর্তা জুলকার নায়ন ।তিনি ও তার নিজের দায়িত্বের পরে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে পালন করছেন বলে জানান। তিনি এছাড়া আরো সাতটা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে আছেন বলে জানা যায় ।তিনি সবই জানেন কিন্তু আবার যেন কোন কিছুই জানেন না । শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক ৯ জন শিক্ষকের নিয়োগ অবৈধ হিসেবে গত ০৩/১১/২০২৪ ইং তারিখে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় । (স্মারক নাম্বার-৩৭.১৯.০০০০.০০৬.১৬.০১৭.২৪.২৫)যেটা সভাপতি জানেন না বলে জানান । তিনি নাকি এখনো পরিদর্শন ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন হাতে পাননি বা দেখেননি । নার্গিস আক্তার এতটাই বেপরোয়া যে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে টিকে থাকতে যদি স্কুলও ধ্বংস হয়ে যায় তাতে তার কিছু যায় আসে না । কোন এক অজানা কারণে, প্রধান শিক্ষিকা নার্গিস আক্তারের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার কারণে সন্দেহ করেন স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক খলিফা উজির আহমদকে ।
তারই অংশ হিসাবে মোঃ জসিম হাওলাদার নামীয় এক ব্যক্তিকে হযরত বালিকা বিদ্যালয় এর ভুয়া আহবায়ক বানিয়ে, সহকারী প্রধান শিক্ষক খলিফা উজির আহমদকে গত ২০/০২/২০২৫ তারিখে মতিঝিল থেকে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে তার বাসার ঠিকানায় একটি ভুয়া চিঠি পাঠায় ।
যেখানে বিষয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে,"শিক্ষার্থী শিক্ষক ও অভিভাবক কর্তৃক আপনার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হয়ে অভিযোগ খন্ডন প্রসঙ্গে" শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি গত কিছুদিন আগে স্কুলে আসতে পারেন নাই, সাথে সাথে তিনি সভাপতির মাধ্যমে তাকে শোকজ করান । যার উত্তর তিনি দিয়েছেন তারপরও বসে নেই এই সিন্ডিকেট।
অবশ্য বর্তমান সভাপতি জুলকার নায়ন স্বীকার করেন তিনিই বর্তমান সভাপতি । আহ্বায়ক সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান ।এ বিষয়ে জানতে আহ্বায়ক পরিচয় দানকারী মোঃ জসিম হাওলাদারের নিকট ফোন দিলে তিনি বলেন, নার্গিস ম্যাডামের কথা অনুযায়ী আমি সবকিছু করেছি । যদি কিছু জানার থাকে আপনি তার কাছ থেকে জানেন । অবশ্য পরবর্তীতে আবারো তিনি প্রতিবেদককে ফোন দিয়ে সমস্ত দায়ভার সভাপতি এবং বর্তমান প্রধান শিক্ষককে দিয়ে যান । (যার কল রেকর্ড সংরক্ষিত)
জসীম হাওলাদার সম্পর্কে জানতে আমরা যোগাযোগ করি এলাকার একাধিক ব্যবসায়ী ও অভিভাবকের সঙ্গে । তারা বলেন জসিম হাওলাদার স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা, আগা খান মিন্টু এমপি থাকা অবস্থায়, তিনি অভিভাবক সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন । বিগত ফ্যাসিস্ট আমলের স্থানীয় সকল এমপি সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল এবং তিনি নার্গিস আক্তারের দোসর হিসেবে কাজ করেন ।আরো জানা যায় নার্গিস আক্তার টাকা দিয়ে সবার মুখ বন্ধ করে রাখেন ।
এ বিষয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক খলিফা উজির আহমেদ বলেন, একটা সত্য ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকরা নিউজ করেছে, অতীতেও অনেক সাংবাদিক নিউজ করেছিল । ৫ই আগস্টের পরে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকা তার বিরুদ্ধে একাধিক সংবাদ প্রকাশ করে । প্রধান শিক্ষক নার্গিস আক্তার আমাকে সন্দেহ করে একের পর এক হয়রানি করে যাচ্ছে । কয়েকদিন আগেও আমার বিরুদ্ধে তুচ্ছ কারণে শোকজ করিয়েছিল, আজ আবার ভুয়া আহবায়ক সাজিয়ে মোঃ জসিম হাওলাদার কে দিয়ে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আমার বাসায় শোকজের চিঠি পাঠিয়েছে ।আমি উপর মহলে লিখিত আবেদন করে আমার বিরুদ্ধে যে চক্রান্ত করা হচ্ছে তার বিচার চাইবো । তারা যদি বিচার না করে , তাহলে সরকারের উচিত হবে প্রধান শিক্ষিকা নার্গিস আক্তার কে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি দেওয়া । এত প্রমাণ থাকার পরও আজও পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি ।
এ বিষয়ে বিতর্কিত প্রধান শিক্ষিকা নার্গিস আক্তার এর ফোনে ফোন দিলেও ,তিনি ফোন না ধরাতে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি ।
এমএসএম / এমএসএম

প্রকৌশলী কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

গোয়েন্দা প্রধানসহ লুটপাটের অভিযোগে চার কর্মকর্তা ক্লোজড

নির্বাহী প্রকৌশলী জহির রায়হানের বিরুদ্ধে ঠিকাদারদের মানববন্ধনে শাস্তি ও অপসারণ দাবী

সীমাহীন দুর্নীতি,অর্থ আত্মসাত ও সরকারি চাকুরির শৃংখলা ভংগের অভিযোগে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী রনজিত দে সাময়িক বরখাস্ত

সরকার বিরোধী কর্মকান্ডে শ্রমিকদের উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ

রাজউকের ইমারত পরিদর্শক জয়নাল আবেদিন এর বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ

বসুন্ধরা গ্রুপের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ

বহাল তবিয়তে আছেন আওয়ামী সুবিধাভোগী প্রকল্প পরিচালক মঞ্জুরুল হক!

লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি আনোয়ার হোসেন খানের বিরুদ্ধে ব্যাংকের হাজার কোটি টাকা আত্মসাত ও বিদেশে পাচারের অভিযোগ

আউটসোর্সিং এ নিয়োগেরনামে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা

নিবন্ধন অধিদপ্তরে ভূতের আঁচড় !

রংপুর জেলা রেজিস্ট্রারের নির্দেশে জালিয়াত চক্র আবারো তৎপর
