শীত উপেক্ষা করে চলছে বোরো ধান রোপণ

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বোরো ধানের চারা রোপণের ধুম পড়েছে। ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীত উপেক্ষা করে কৃষিজমিতে ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। বর্তমানে মাঠগুলো কৃষক ও বোরো আবাদে নিয়োজিত শ্রমিকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৭ হাজার ৩৯৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। দিন যতই পার হচ্ছে আবাদ ততই বাড়ছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তারা।
উপজেলার বাজালিয়া, ছদাহা, পুরানগড় কেঁওচিয়া ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ ফসলি জমির মাঠজুড়ে বোরো আবাদ চলছে। মাঠে ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত স্থানীয় বোরো চাষিরা। কেউ কেউ বীজতলা থেকে চারা উত্তোলন করে জমিতে রোপণের জন্য নিয়ে যাচ্ছেন। আবার অনেকে জমিতে ট্রাক্টর দিয়ে হাল চাষ করছেন এবং মই দিয়ে জমি সমান করছেন।
বাজালিয়া ইউনিয়নের মহালিয়া বিলের বোরো চাষি শাহ আলম বলেন, জলাবদ্ধতার ফলে আমন মৌসুমে মাহালিয়া বিলে চাষাবাদ হয় না। শুধুমাত্র বোরো মৌসুমে চাষাবাদ হয়। এ ফসল থেকে সারা বছরের খাদ্যের জোগান জোটে। এখন বোরো চাষাবাদের উপযুক্ত সময়। ঘন কুয়াশা ও প্রচন্ড ঠান্ডার মধ্যেও বোরো ধানের চারা রোপনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি আমরা। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বোরো ধান রোপণ সম্পন্ন হবে।
কেঁওচিয়া ইউনিয়নের তেমুহানি গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন বলেন, আমন মৌসুমের চাইতে বোরো মৌসুমে চাষাবাদের খরচ একটু বেশি। শেষ পর্যন্ত সার ও কীটনাশকের দাম নাগালের মধ্যে থাকলে আশানুরূপ ফলন হবে। এ ছাড়াও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কাঙ্খিত পরিমাণ ফসল ঘরে তুলতে পারব বলে আশা করছি।
পুরানগড় ইউনিয়নের ফকিরখীল গ্রামের কৃষক স্বপন দাস জানান, প্রতিবছর জানুয়ারি মাস থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত বোরো চাষাবাদে কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করেন। বছরের এ সময় বোরো ধান আবাদের জন্য জমি প্রস্তুতকরণ, জমিতে সেচ প্রদান ও বীজতলা থেকে চারা তুলে জমিতে রোপণ করতে হয়। এবার সেচের পানির সমস্যা না হওয়ায় বোরো চাষাবাদে কৃষকদের সুবিধা হচ্ছে।
উপজেলা উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জুয়েল দাশ বলেন, এবার খালে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি থাকায় সেচ প্রদানে কৃষকদের কোন প্রকার সমস্যা হচ্ছে না। ইতোমধ্যে আমার ব্লকের ৯৫ ভাগ জমিতে বোরো ধান আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে আবাদ পুরোপুরি সম্পন্ন হবে। উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
সাতকানিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৭ হাজার ৩৯৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এবার সেচের সমস্যা না হওয়ায় কৃষকরা স্বাচ্ছন্দে বোরো ধানের চারা রোপণ করছেন। এ ছাড়াও কৃষকদের যাতে সেচ প্রদান ও চারা রোপণে কোন ধরনের সমস্যা না হয় সেজন্য আমরা সার্বক্ষণিক মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি।
এমএসএম / এমএসএম

কালীগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় গরুর মৃত্যু

বেনাপোলে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিতে চলছে সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন

শার্শায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ নিবন্ধনে উদ্বুদ্ধকরণ

পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ বাকেরগঞ্জ বাসী

সীমান্তে রোহিঙ্গা পারাপারে সক্রিয় পাচঁ পাচারকারী আটক

রিকশাচালকের ছেলে রতন স্বাস্থ্য ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত

বিদ্যালয়ের মূল্যবান গাছ কম দামে বিক্রির অভিযোগ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে

গোমস্তাপুরে বিএনপি নেতা মাসুদের গণসংযোগ

টাঙ্গাইলে নিউ ধলেশ্বরী নদীতে বালুবাহী বাল্কহেড চলাচলের ভাঙনে ৪০ পরিবার নিঃস্ব

কুড়িগ্রামে দুধকুমার নদীতে ডুবে বৃদ্ধা নিখোঁজ

পাঁচবিবিতে কৃষকের বাড়ী ভস্মীভূত, শত্রুতার আগুন নাকি, শর্ট সার্কিট ?

ঝিনাইদহ সূর্যের হাসি ক্লিনিকে বিশেষ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
