ঢাকা বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫

বগুড়ায় করতোয়া নদী উদ্ধারে টিএমএসএস ইকোনোমিক জোনে উচ্ছেদ অভিযান


সেলিম সরকার, বগুড়া photo সেলিম সরকার, বগুড়া
প্রকাশিত: ৯-৪-২০২৫ দুপুর ৪:০

বগুড়ায় করতোয়া নদী দখলমুক্ত করতে দীর্ঘদিন পর ফের সক্রিয় হয়েছে জেলা প্রশাসন। আজ বুধবার (৯ এপ্রিল ২০২৫) সকাল থেকে বগুড়া সদরের বাঘোপাড়া এলাকায় ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ (টিএমএসএস) কর্তৃক গড়ে তোলা প্রাইভেট ইকোনোমিক জোনের স্থাপনাগুলো উচ্ছেদে অভিযান শুরু করে জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনী।

অভিযোগ ছিল, টিএমএসএস বহুদিন ধরেই সামাজিক উন্নয়নের আড়ালে করতোয়ার বুক চিরে একের পর এক বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ করে আসছে। নদীর স্বাভাবিক প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে এমন স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগে ২০২৩ সালেই প্রতিষ্ঠানটিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু তার পরেও থেমে থাকেনি দখল কার্যক্রম। বরং বাঘোপাড়ায় নদীর প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকা ভরাট করে ‘পুন্ড্র ইকোনোমিক জোন’ নামে বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণের কাজ চলছিল পুরোদমে।

অবশেষে নদী রক্ষা আন্দোলন, স্থানীয়দের দাবি এবং পরিবেশ রক্ষায় প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকায় বুধবার সকাল থেকে শুরু হয় বড় পরিসরের উচ্ছেদ অভিযান। জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজার নেতৃত্বে, পুলিশ সুপার মুসা আল জেদান পিপিএম, জেলা সরকারি কৌঁসুলি, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিটি অভিযানটির তদারকি করছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, টিএমএসএস বাঘোপাড়া এলাকায় নদীর প্রায় ৩৫৫ মিটার জায়গা অবৈধভাবে দখল করে স্থাপনা গড়ে তুলেছে। ভুমির হিসাবে যা প্রায় ৫৬ একর জায়গার সম পরিমাণ। সরকারি খাস জমিতে অনুমতি ছাড়াই এসব স্থাপনা নির্মিত হয়। এর মধ্যে একটি গ্লাস ফ্যাক্টরওে রয়েছে। যা করতোয়া নদীর কোলঘেঁষে স্থাপন করা হয়।  অভিযানে যৌথ বাহিনী সেটিসহ একাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করে।

অভিযানের সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাংবাদিকদের জানান, নদী ও জনস্বার্থ রক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, “সরকারি জমিতে যেকোনো ধরনের দখলদারিত্ব বরদাশত করা হবে না। নদীর স্বাভাবিক গতিপথ পুনরুদ্ধার করতে প্রশাসন সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থান নেবে।”

জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজ বলেন, “টিএমএসএস সবচেয়ে বেশি নদী দখল করেছে। আমরা যেকোনো মূল্যে করতোয়া দখলমুক্ত করব।” তিনি আরও জানান, বাকি অবৈধ স্থাপনাগুলোকেও পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে, এবং নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করতে পুরো এলাকায় পুনঃখনন ও মাপজোখ কার্যক্রমও চলমান থাকবে।

অভিযানে অংশ নেওয়া একাধিক কর্মকর্তা জানান, নদীর জমি কখনোই ব্যক্তিমালিকানায় লিজ দেওয়া সম্ভব নয়। টিএমএসএসের পক্ষ থেকে আদালতের রায় ও জমি লিজের কাগজপত্র দেখানো হলেও, প্রশাসনের মতে, তাতে নদী দখলের বৈধতা পাওয়া যায় না।

স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাদের মতে, নদীর পাড় দখলের ফলে পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছিল এবং বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা বেড়ে অনেক ফসলি জমি ও বাড়িঘর তলিয়ে যাচ্ছিল। উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমে এখন করতোয়ার স্বাভাবিক গতি ফিরে আসবে এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব হবে।

এদিকে, টিএমএসএস কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে প্রশাসন জানায়, ভবিষ্যতে নদী বা সরকারি জমিতে যেকোনো ধরনের অবৈধ দখল ঠেকাতে নিয়মিত নজরদারি ও কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।

এমএসএম / এমএসএম

লোহাগড়া বাজারে সরকারি সড়ক গিলে খাচ্ছে তিনতলা ভবন

জয়ের ঘ্রাণ পাচ্ছেন শেখ সাদী ?

যমুনা ব্যাংকের ঢাকা উত্তর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের ম্যানেজারস’ মিটিং অনুষ্ঠিত

মিরসরাইয়ে মহাসড়ক সংলগ্ন অবৈধ বাউন্ডারি ওয়াল গুঁড়িয়ে দিল উপজেলা প্রশাসন

চিলমারীতে যৌথ অভিযানে, অনলাইন জুয়ার সরঞ্জামসহ দুই যুবক আটক

পারিবারিক দ্বন্দ্বে আহত হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’ গেজেটে নাম পেলেন বাঘার জাহিদ

মহেশখালীতে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

তাড়াশে আগুনে বসত ঘর পুড়ে ছাই, ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

সুবর্ণচরে বিশিষ্ট সমাজসেবক আকবর হোসেনকে সংবর্ধনা

কোটালীপাড়ায় পুকুরে ডুবে প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু

ধামরাইয়ে পোশাক কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

মির্জাগঞ্জে মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত