ইউরোপ, আমেরিকার ফাটল এখন কাঠামোবদ্ধ রূপ পাচ্ছে

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ময়দান থেকে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের শুরু। আত্মপ্রকাশ ঘটে ভূ-রাজনৈতিক ব্লকের। যুদ্ধ পরবর্তী বিশ্বে সমাজতান্ত্রিক ব্লক সোভিয়েত ইউনিয়নের বাড়-বাড়ন্তে উদ্বেগ বাড়তে থাকে ওই ব্লকের। বাড়তে থাকে উত্তেজনা। শুরু হয় একে অপরের মধ্যকার বহুমাত্রিক প্রতিযোগিতা। উভয় ব্লকেরই দাবি ছিল, বিপরীত ব্লক তাদের ভেতরকার ঐক্য ধ্বংস করতে চায়। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদল যেমন পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে অবস্থান নিতে পারত না, তেমনি সোভিয়েত ট্যাঙ্কগুলোও প্রুশিয়ান ময়দানে প্রবেশ করতে পারত না যুক্তরাষ্ট্রের কারণে। তখন ইউরোপ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বিচ্ছিন্ন করার এই প্রক্রিয়াকে তখন ‘ডিকাপলিং’ বলা হত। উভয় ব্লকের কয়েক দশকের দ্বন্দ্ব যা করতে পারেনি, তা এখন কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই করতে চলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ডোনাল্ড ট্রাম্পের মার্কিন সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার তিন মাসও হয়নি, এর মধ্যেই তারা বিশ্বজুড়ে রণহুঙ্কার ছাড়ছে। নিজেদের অর্থনৈতিক সুবিধা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র ইচ্ছাকৃতভাবে ইউরোপ তথা ইউরোপীয় ইউনিয়নকে দুর্বল ও বিভাজন তৈরির চেষ্টা করছে বলে বলা হচ্ছে। চলতি বছরে জার্মানির মিউনিখে সমাপ্ত নিরাপত্তা সম্মেলনে সেই বার্তাই পেয়েছেন ইউরোপীয় নেতারা।তিন দশক আগেই পূর্ব আর পশ্চিমের মধ্য স্নায়ুযুদ্ধ শেষ হয়েছে। তবু এখন ইউক্রেন আর গাজা উপত্যকার যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বড় অশান্তি তৈরি হয়েছে দুনিয়াজুড়ে। এর প্রতিক্রিয়ায় ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। নব্বইয়ের দশকে স্নায়ুযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক অবসানের আগেই জার্মানির রাজনীতিক ও বুদ্ধিজীবী সমাজ শান্তি ও নিরাপত্তার পক্ষে নানা উদ্যোগ নিতে শুরু করে। এমনকি তীব্র স্নায়ুযুদ্ধের কালেও ১৯৬৩ সালে রাজনীতিক, গবেষক ও নাগরিক সমাজকে নিয়ে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার বিষয়ে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের উদ্যোগ শুরু হয়।
তবে প্রথম এক দশক সেই সম্মেলন ব্যাপক আন্তর্জাতিক সাড়া জাগাতে পারেনি। শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোই এতে অংশ নিত। পরবর্তীকালে এর ব্যাপ্তি বেড়েছে। ইউরোপীয়রা আগে যা জানতেন সিগন্যাল অ্যাপ কেলেঙ্কারি সেটাই নিশ্চিত করেছে। ইউরোপের প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের অবজ্ঞা গভীর এবং আটলান্টিকের এপার-ওপারের দেশগুলোর মধ্যে ফাটল এখন কাঠামোবদ্ধ রূপ পাচ্ছে। যদিও আশা এখনো জিইয়ে আছে যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক চূড়ান্ত ধরনের বাজে অবস্থায় যাওয়া ঠেকাতে পারবে ইউরোপ। গ্রিনল্যান্ডে আগ্রাসন, ইউরোপের ন্যাটো সদস্যভুক্ত রাষ্ট্রগুলো থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার অথবা সর্বাত্মক বাণিজ্যযুদ্ধ-সবকিছুই ঠেকানোর আশা করছেন ইউরোপের কোনো কোনো নেতা। এ মুহূর্তে ইউরোপের নেতাদের সবচেয়ে জরুরি মনোযোগের বিষয় হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউক্রেনকে ধাক্কা দিয়ে বাসের নিচে ফেলে চলেও যায়, তাহলে ইউরোপ যেকোনোভাবেই হোক সম্মিলিতভাবে মুক্ত, স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক ইউক্রেনকে সুরক্ষা দিতে সফল হবে। এখানে কোনো বিভ্রমের অবকাশ নেই যে ইউরোপীয় নেতারা সেটা করতে চান যুক্তরাষ্ট্রকে সঙ্গে নিয়েই অথবা ট্রাম্প প্রশাসনের কৌশলগত অনুমোদন নিয়েই। সিগন্যাল অ্যাপ কেলেঙ্কারির ঘটনাটি একই সঙ্গে প্রত্যাশিত ও বেদনাদায়ক। এটা প্রত্যাশিত এ কারণে যে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে যে ভাষায় কথা বলছেন, তার সঙ্গে সিগন্যাল অ্যাপে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা দলের সদস্যরা তাদের গোপন চ্যাট গ্রুপে যে ভাষায় কথা বলেছেন, দুইয়ের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। ফেব্রুয়ারি মাসে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে জেডি ভ্যান্সের বক্তব্য, টাকার কার্লসনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের সাক্ষাৎকার অথবা ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরতিহীন ঘোষণা ও তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্টগুলো দেখলে তা অনুমান করা সহজ।
কিন্ত গোপন ও প্রকাশ্য-দুই জায়গাতেই স্মরণ করার মতো ধারাবাহিকতা রয়েছে। ওয়াশিংটন ইউরোপকে বাতিল, অহংকারী ও পরজীবী বলে মনে করে। বেদনাদায়ক বিষয় হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপকে ক্ষয়িষ্ণু মিত্র হিসেবেও দেখে না, ট্রাম্পের কর্মকর্তারা ইউরোপের মৃত্যুতে অবদান রাখতে চান। লোহিত সাগরে হুতির হুমকি সম্পর্কে যে যা-ই ভাবুক না কেন, যুক্তরাষ্ট্রের নীতি হলো তারা নিজেদের জাতীয় স্বার্থেই ইরানপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীর ওপর হামলা চালায়। কিন্তু ভ্যান্স ও পিট হেগসেথ গ্রুপ চ্যাটে পরিষ্কার করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র মনে করে যে হুতির ওপর আক্রমণে ইউরোপীয়রাও লাভবান হবে। এটা যেকোনো আক্রমণকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য যথেষ্ট কারণ। অন্য কথায় ইউরোপীয়দের সাহায্য করার বিষয়টিকে এমন একটা নেতিবাচক বিষয় হিসেবে দেখা হচ্ছে, সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র পুরোপুরি উল্টো দিকে ঘুরে যেতে পারে। ইউরোপের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের এই যে অবজ্ঞা, তার ওপর দাঁড়িয়ে ইউরোপকে এখন তিনটি বড় নীতিগত জায়গায় কাজ করতে হবে। যেমন:বাণিজ্য। এ সপ্তাহে ট্রাম্প বেশ কয়েকটি দেশের বিরুদ্ধে বাণিজ্য যুদ্ধ ঘোষণা করতে যাচ্ছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, এসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ধ্বংস করেছে। কোনো ধরনের সহানুভূতি কিংবা ঐতিহাসিক বন্ধুত্ব যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্যযুদ্ধের মাত্রাকে প্রশমন করতে পারবে না। বরং যুদ্ধের মাত্রাটা তীব্র হবে। যা-ই হোক, ২৭টি সরকারের জন্য একটি বাণিজ্যনীতি পরিচালনা করা ইইউর আইনি দায়িত্ব এবং জোটের একটি সম্মিলিত অর্থনৈতিক ওজন রয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্র উপেক্ষা করতে পারে না। এ ক্ষেত্রে যন্ত্রণা আসবেই। কিন্তু সংঘাতের ক্ষেত্রে ইটের বদলে পাটকেল থাকতে হবে। বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ইউরোপীয়রা যদি সবাই মিলে কঠোর অবস্থানে থাকে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র কোনো ধরনের লুণ্ঠক আচরণ করতে পারবে না। গ্রিনল্যান্ড-এর ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র থামবে না। ট্রাম্প বারবার করে বলছেন গ্রিনল্যান্ড তাঁর হবে।
আর্কটিক দ্বীপে ভ্যান্সের উসকানিমূলক ভ্রমণ এবং কয়েক দশক ধরে গ্রিনল্যান্ডের দেখভালের ক্ষেত্রে ভালো কিছু করছে না বলে ডেনমার্ককে তাঁর তিরস্কার-এই ইঙ্গিত দেয় যে ওয়াশিংটনের জবরদস্তি আরও তীব্র হবে। এখন ইউরোপের প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের অবজ্ঞাকে মাথায় রেখে ডেনমার্কের সমর্থনে ইউরোপীয় নেতাদের কথা বলতে হবে। ইউরোপের নেতারা যদি দুর্বল প্রতিক্রিয়া দেয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে চরম বাজে ধরনের চাপ আসবে।এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ইউক্রেন। এমানুয়েল মাখোঁ ও কিয়ার স্টারমারের নেতৃত্বে ইউরোপের অন্য সক্ষম ও ইচ্ছুক নেতারা জেলেনস্কিকে সঙ্গে নিয়ে ইউক্রেনকে সমর্থন দেওয়ার একটি পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। কিন্তু এটা ক্রমাগতভাবে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে ইউরোপীয় নেতাদের সেটা করতে হবে শুধু যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াই নয়, সম্ভবত দেশটির বিরুদ্ধেও। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তার ওপর নির্ভর করা যাবে না। ইউরোপের সবচেয়ে বড় শক্তিগুলো যেহেতু ইউক্রেনকে অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তা বৃদ্ধির পরিকল্পনা নিয়েছে এবং একই সঙ্গে তারা ইউক্রেনীয় বাহিনীগুলোকে প্রশিক্ষণ ও সহায়তার যে পরিকল্পনা নিয়েছে, সেটা তাদের এগিয়ে নিতে হবে, এই বাস্তবতা মেনে নিয়েই যে তাদের পেছনে আর যুক্তরাষ্ট্র নেই। গোয়েন্দা তথ্য ও লজিস্টিক সমর্থন আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে ইউরোপের নেতাদের যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। কিন্তু ওয়াশিংটন যদি অনাগ্রহী হয়, তাহলে ইউরোপ ও ইউক্রেনকে অবশ্যই বের করতে হবে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ছাড়াই কীভাবে এগিয়ে যেতে হবে।রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে ইউরোপকে সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে। এখন পর্যন্ত ইউরোপীয় সরকারগুলো দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন কৃষ্ণসাগরে যুদ্ধবিরতির পূর্বশর্ত হিসেবে কৃষি-খাদ্য খাতে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করার রাশিয়ার দাবি জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ মোকাবিলায় ইউরোপকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
এমনিতেই বিশ্বব্যাপী ডানপন্থী রাজনীতি ক্রমেই প্রভাব বিস্তার করছে। এর বিস্তার ঘটেছে ইউরোপের নানা দেশেও। জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রিয়া ও হাঙ্গেরিতে এখন কট্টরপন্থী দলগুলোর রমরমা। ২০২৪ সালের ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচনে রক্ষণশীল ও অতি ডানপন্থী দলগুলো বড় সফলতা পেয়েছে। ইউরোপীয় রাজনীতিতে এই ডানপন্থা রাজনীতির সুযোগে তাকে আরও উসকে দিচ্ছেন সদ্য ক্ষমতাসীন মার্কিন রাজনীতিকেরা। এই কৌশলের একটি মূল চালিকাশক্তি হলো মার্কিন রাজনীতিতে অর্থনৈতিক অভিজাতদের ক্রমবর্ধমান প্রভাব। আদতে মার্কিন এসব রাজনীতিকদের কাছে ন্যায়নীতি, শান্তি বা সৌহার্দ্যের কোনো বার্তা নেই। যা আছে, তা হলো বিদ্বেষ ও পুঁজিবাদী অর্থনীতির উন্নয়ন। জার্মানি ক্রিশ্চিয়ান গণতান্ত্রিক দলের নেতা এবং সম্ভাব্য আগামী চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস একটি সার্কুলার ইমেলে লিখেছেন যে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে এখন সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তিনি লেখেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ক্ষমতাসীন হওয়ায় ইউরোপের রাজনৈতিক শৃঙ্খলা এখন হুমকির মুখে। এটা স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে আগামীতে আন্তআটলান্টিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ফাটল দেখা দিতে পারে। নতুন প্রশাসন আসায় যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কে ফাটল ধরবে না। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে কখনো বদল আসেনা। নীতি প্রণয়নে ট্রাম্প অস্থির হলেও গণতান্ত্রিক দেশগুলোর উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। তবে অভিবাসন নীতি ও শুল্ক নিয়ে এশিয়া ও ইউরোপ চাপে পড়তে পারে বলে মন্তব্য বিশেষজ্ঞদের। পশ্চিম শব্দটির মানে এখন স্পষ্ট নয়। বহু বছর ধরে কখনও কখনও ইউরো-আমেরিকান উত্তেজনা সত্ত্বেও, এটি একটি একক কৌশলগত শক্তিকে নির্দেশ করত। উদার গণতন্ত্রের মূল্যবোধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল যে অংশটি। এখন আছে ইউরোপ, রাশিয়া, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। পশ্চিম ধারণাটি এখন শূন্য হয়ে গেছে। কীভাবে এই শূন্যস্থান পূর্ণ হবে তা স্পষ্ট নয়।
তবে একটি সাধারণ সম্ভাবনা হলো সহিংসতা। এতে বড় শক্তিগুলো একে অপরের বিরুদ্ধে লড়তে পারে। ট্রাম্পকে একজন জাতীয়তাবাদী ও কর্তৃত্ববাদী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখানো হচ্ছে। তার শুল্ক রাজনীতিতে প্রতিদিন পাল্টাচ্ছে বাস্তবতা। লেনদেনের সূত্র ধরে তিনি নিজের বক্তব্য থেকে শুরু করে গতিপথও পাল্টান। ২০১৭ সালে তার প্রথম মেয়াদে পোল্যান্ডে এক সফরে ট্রাম্প বলেছিলেন, 'আমি আজ ঘোষণা করছি যাতে পৃথিবী শুনতে পায়, পশ্চিম কখনোই ভেঙে যাবে না।আমাদের মূল্যবোধ জয়ী হবে'।এরপর ট্রাম্প নিজেকে গতানুগতিক চিন্তা ও সেই চিন্তাকে সমর্থনকারী প্রথাগত রিপাবলিকান দলের প্রভাব থেকে মুক্ত করেছেন। তিনি এখন একজন স্বাধীন নেতার মতো কাজ করছেন বলেই মনে করছেন অনেকে। ইউরোপের জন্য সমস্যা হলো, ট্রাম্প যা করছেন তা কি কৌশল, না কি আমেরিকার একনায়কত্বের নতুন রূপরেখা, সেটা বোঝা।
লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক
Aminur / Aminur

চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে তিস্তা পাড় বাসীর প্রত্যাশা

বিশ্ববাণিজ্যে বড় চ্যালেঞ্জ ট্রাম্পের শুল্কনীতি

রাজনীতিতে এক উজ্জ্বল ব্যতিক্রমী নেত্রী খালেদা জিয়া

সমুদ্রসীমা রক্ষা এবং কৌশলগত অংশীদারত্ব

ইউরোপ, আমেরিকার ফাটল এখন কাঠামোবদ্ধ রূপ পাচ্ছে

কর্মসংস্থানের বিষয়টি দেশের সার্বিক উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত

গত ২৫ বছরে বাংলাদেশে বেকারত্বের তথ্যচিত্র এবং পরিসংখ্যানগত তুলনামূলক বিশ্লেষণ!

শুভ নববর্ষ ১৪৩২

প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর ও আমাদের প্রত্যাশা

আর কত রক্ত, আর কত সময় দিলে সুন্দর হবে বাংলাদেশ?

বিশ্ব নেতৃত্বের পালাবদল ও গণতন্ত্রের অবনমন

নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক হোক ঈদযাত্রা
