বেনাপোলে মশার উপদ্রবে অতিষ্ট পৌরবাসী

বেনাপোল পৌরসভার গত কয়েক মাস যাবৎ মশার কামড়ে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে বেনাপোল পৌরবাসি। দিনে ও রাতে সমানতালে মশার কামড়ে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে পৌর এলাকার জনজীবন। মশার কামড়ে কয়েকগুন বৃদ্ধি পেয়ে বেড়েছে মশাবাহিত রোগ। অথচ মশা নিধনে বেনাপোল পৌরসভার নেই কোন কার্যক্রম। গণহারে মশা বিস্তারেও পৌর কর্তৃপক্ষ নেইনি কোন পদক্ষেপ। অনেক দিন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় মশার আক্রমন বেড়ে গেছে কয়েক গুন। দীর্ঘদিনধরে বৃষ্টি না হবার কারনে পৌরসভার খোলা ড্রেন, নালা-নর্দমায় পানি কমে গিয়ে মশার প্রজনন হার অন্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। সেই সঙ্গে বাড়ছে মশার উপদ্রব। শুধু রাতে নয়, দিনেও সমান তালে মশা খাচ্ছে পৌরবাসির রক্ত পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের প্রত্যেক এলাকাতে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে সমান ভাবে।
স্থানীয় পল্লী চিকিসৎক শাহজালাল খাঁন মন্টু জানান, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু চিকুনগুনিয়া সহ নানা রকম মশা বাহিত চর্ম রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা তারা ঠিক মতো পড়ার টেবিলে বসতে পারছেনা। সন্ধ্যা নামলেই যেন মশার মিছিল শুরু হয়, কিছুতেই তাদের থামানো যায়না। মিছিল করতে করতেই তারা হামলা চালাই মানুষের উপর। মশার কয়েল জ¦ালিয়েও রক্ষা মিলছে না।
বেনাপোল পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কয়েক জন গৃহিনী জানান, মশার উৎপাতে সন্ধার পর ঘরের জানালা দরজা বন্ধ করে দিতে হয়। তারপরও রেহাই নেয় মশার হাত থেকে। মশার উৎপাত থেকে বাঁচতে বাজারের বিভিন্ন কয়েল ও স্প্রে ব্যবহারেও নিস্তার মিলছেনা। পৌরসভার মশক নিধনে কার্যকর কোন উদ্যোগ না নেয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে কয়েক গুন। ছেলে মেয়েরা সন্ধ্যার পর সুস্থভাবে পড়ালেখা করতে পারছেনা।
বেনাপোল পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শামছুর রহমান জানান, বেনাপোল পৌরসভার হাকর নদী খনন কাজ দীর্ঘদিনধরে বন্ধ থাকার কারনে নদীতে শেওড়া কচুরিপনা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও হাকরের পাশের বাসিন্দারা ময়লা আবর্জনা ফেলে বর্তমান হাকরের সম্পূর্ন পারি কচুরিপনায় জ¦মে সেখানে মশা ডিম পাড়ছে। এর ফলে পানি দূষিত হয়ে পৌরসভার বয়ে যাওয়া হাকর নদীর ১,২,৩,৪,৭,৮ নং ওয়ার্ড গুলোতে মশার উৎপাত ভয়ংকর রুপ ধারন করেছে।
বেনাপোল পৌরসভার বিভিন্ন এলেকা ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ ড্রেন, নালা-নর্দমা, সড়কের আশপাশ, ফুটপাতসহ বিভিন্ন স্থান ময়লা-আর্বজনায় ঠাসা। ড্রেন, নালা-নর্দমা আর্বজনায় ভরে উঠার কারণে পৌরসভায় মশার উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অভিযোগ পৌরবাসির। দীর্ঘদিন মশা মারার ঔষধ না ছিটানোর ও অভিযোগ করেন তারা। লাইট ডিজেল এবং লিমব্যাক (লাল তেল নামে পরিচিত) নামক মশার ডিম ধ্বংসকারী একটি তেল ছিটালে মশার হাত থেকে কিছুটা হলেও সস্তি পেত বেনাপোল পৌরবাসি। অনেকে আবার বলছেন পৌরসভা কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারনে মশার উপদ্রব বেড়েছে কয়েক গুন। পৌর কর্তৃপক্ষ শেষ যে কবে মশা মারার ঔষধ ছিটায়েছেন তা মনে করতে পারছেন না কেউ।
এ বিষয়ে বেনাপোল পৌরসভার সচিব সাইফুল ইসলামকে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি জানান, কমবেসি সব ওয়ার্ডে দেওয়া শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল স্থানে স্পেরে করা হবে।
এমএসএম / এমএসএম

কসবায় টাইফয়েড টিকা ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন

কুষ্টিয়ায় জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

বাঁশখালীতে বেড়িবাঁধ ভাঙ্গণে ঝুঁকিতে হাজারো পরিবার, দ্রুত সংস্কারের দাবি স্থানীয়রা

ধামরাই প্রেস ক্লাবের নির্বাচন : সভাপতি তুষার, সম্পাদক আহাদ

সাপ্টিবাড়ী ডিগ্রি কলেজে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ, রফিকুল আলমের চাকরিচ্যুতি দাবিতে মানববন্ধন

তাড়াশে বিয়ে বাড়িতে চুরির ঘটনা

টুঙ্গিপাড়ায় শুরু হয়েছে টাইফয়েড ভ্যাকসিন টিকাদান কর্মসূচি

তেঁতুলিয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পর্যটন কেন্দ্র এখন মোহনগঞ্জের গলার কাঁটা

অভয়নগরে শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিতদের শপথ গ্রহণ

রাঙামাটিতে টাইফয়েড টিকাদান শুরু

শিবচরে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫ এর শুভ উদ্বোধন
