সশরীরে পরীক্ষার আগে শতভাগ টিকার আওতায় আসছে না জবি শিক্ষার্থীরা

আগামী ৭ অক্টোবর থেকে সশরীরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আটকে থাকা বিভিন্ন বর্ষের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষাসহ অন্যান্য পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে এখনো শতভাগ করোনার টিকার আওতায় আসেনি বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। বেশ কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী করোনার পূর্ণ ডোজ টিকা গ্রহণ করলেও, কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী এক ডোজ টিকা গ্রহণ করে আছেন দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায়। তবে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী এখনও এক ডোজ টিকাও সম্পন্ন করেননি। এর মধ্যে আবার অনেকেই টিকার আবেদন করলেও এসএমএস না আসায় টিকা গ্রহণ করতে পারেননি, অনেকেই এনআইডিসহ বিভিন্ন জটিলতায় এখনও টিকার নিবন্ধনও করতে পারেননি। তাই ৭ অক্টোবরের মধ্যে শতভাগ শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা অনেকটাই অনিশ্চিত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, টিকার বাইরে থাকা শিক্ষার্থীদের টিকা নিশ্চিতে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষার্থীদের করোনার টিকার তথ্য সংগ্রহে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবার সেই তথ্য প্রেরণের শেষদিন গেলেও এখনও কয়েকটি বিভাগ ছাড়া শিক্ষার্থীদের টিকার তথ্য দেয়নি আর কেউ। এজন্য পরীক্ষার আগেই শতভাগ শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনা নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছেই না।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ আইনুল ইসলাম সকালের সময়কে জানান, আমি এখনই এটা নিয়ে বলতে পারছি না, রেজিস্ট্রারের সাথে কথা বলে জানতে হবে। তবে এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের ডাটা নিয়েছি কারা প্রথম ডোজ নিয়েছে, কারা এখনও নেয়নি। যারা প্রথম ডোজ নিয়েছে তারা এখানে নিতে পারবে কি না তা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। ৭ তারিখ বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে তো এখনও সময় আছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগেই সিদ্ধান্ত জানাবো।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান সকালের সময়কে বলেন, আমরা সরকারের সাথে বা স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সাথে যোগাযোগ করতে পারি। তারা যদি দেয় তাহলে হয়তো আমরা সেটা জানাতে পারবো। তাদের ওপর নির্ভর করবে যে তারা কীভাবে আমাদের সাহায্য করবে।
বিশ্ববিদ্যালয় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কিনা সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের ডাটা কালেক্ট করে ইউজিসি তে পাঠাবো তারপর ইউজিসি স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে পাঠাবে। তারপর আমরা যোগাযোগ করবো। এখনও আমরা সব ডাটা কালেক্ট করতে পারিনি। ডাটা কালেক্ট করা হলেই পাঠাবো।
তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সাথে যোগাযোগ করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে একটু সময় লাগবে বলেও জানান তিনি। ৭ অক্টোবরের মধ্যেই সব শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনা না গেলে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি এখনও। সেকারণে অনেকটা অনিশ্চয়তার মধ্যেই রয়েছে সশরীরে পরীক্ষার আগেই শতভাগ টিকা কার্যক্রম। এবিষয়ে রেজিস্ট্রার বলেন, যদি পরীক্ষার আগেই সব শিক্ষার্থী টিকার আওতায় না আসে তবে ডিন এবং চেয়ারম্যানরা মিটিং করে উপাচার্যকে জানাবে, তারপর কি করা যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এর আগে শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনতে শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করে ইউজিসির মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে পাঠায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারপর থেকেই শুরু হয় জবি শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম৷ তবে এনআইডি না থাকায় টিকার আবেদনে জটিলতা তৈরি হলে বিশেষ ব্যবস্থায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের এনআইডি করার ব্যবস্থা করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ডের সফট কপিও সরবরাহ করা হয়। কিন্তু নানা জটিলতায় এখনও শিক্ষার্থীদের শতভাগ টিকার আওতায় আনতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জামান / জামান

জবি ছাত্রদল নেতা খুনে ক্ষোভ, বিশ্ববিদ্যালয় দিবস স্থগিত ও দুই দিনের শোক ঘোষণা

অগ্নি দুর্ঘটনা: শিক্ষক-কর্মচারীদের সতর্ক থাকতে বলল মাউশি

বর্ষা মাহিরের প্রেমের বলি জবি ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ

জবি শিক্ষার্থী জুবায়েদ হত্যার ঘটনায় তার ছাত্রী আটক

'ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড' শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও উপহার সামগ্রী দিল জবি শিবির

মতামতবিহীন মতবিনিময় সভায় পবিপ্রবিতে ইউজিসি চেয়ারম্যান: সাংবাদিকদের প্রশ্নে বাধা

‘সি আর আবরার, আর নেই দরকার’ স্লোগানে শিক্ষকদের পতাকা মিছিল

শাবিপ্রবিতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গোবিপ্রবি উপাচার্যের প্রবন্ধ উপস্থাপন

২০ বছরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: অর্জন, সংকট ও নতুন স্বপ্নে একুশে পদার্পণ

রাকসুর ভিপি-এজিএস শিবিরের, জিএস আধিপত্য বিরোধী ঐক্যের

ভুলত্রুটি ছাড়াই ফল প্রস্তুত হয়েছে, বাড়ানো হয়েছে পরীক্ষকদের সম্মানী

২০২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল

এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ
Link Copied