ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫

লোহাগড়ায় মধুমতি নদীর ভাঙনে পাল্টে যাচ্ছে শালনগর ইউনিয়নের প্রকৃতি


পিকুল আলম, লোহাগড়া  photo পিকুল আলম, লোহাগড়া
প্রকাশিত: ১১-৯-২০২১ দুপুর ৩:৪৩

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় মধুমতি নদী ভাঙনের ফলে শালনগর ইউনিয়নের মানচিত্র পাল্টে যাচ্ছে। মধুমতি নদীর তীব্র স্রোতে অব্যাহত ভাঙনের ফলে ইউনিয়নের ৬টি গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ বছর আরো ১০টি গ্রামে নদী ভাঙন চলছে। এসব গ্রামের লোকজন নদীর ওপারে অবস্থিত ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ও বুড়াইচ ইউনিয়নে আশ্রয় নিয়েছেন। 

সরেজমিন ভাঙনকবলিত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে , মধুমতি নদীর তীরবর্তী শালনগর ইউনিয়নের  রামকান্তপুর, শিয়েরবর গ্রাম ও হাট, চর আজমপুর, মন্ডলবাগ, চর গোপালপুর খেয়াঘাট, চাকশী, নওখোলা মিয়াপাড়া, চরশালনগর, কাশিপুর, মাকড়াইল ও চর মাকড়াইল , রামচন্দ্রপুর এলাকায় বসতবাড়ি ,ফসলি জমি ও পাকা রাস্তা মধুমতি নদীতে ভেঙ্গে যাচ্ছে। এ সব গ্রামের বসবাসকারী লোকজন নদী ভাঙ্গনের ভয়ে তাদের বাড়ীঘর ভেঙ্গে অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের গাছপালা কেটে কম দামে বিক্রি করে দিচ্ছে। মাকড়াইল গ্রামের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাংশ ইতিমধ্যে নদীতে ভেঙ্গে গেছে এবং ওই গ্রামে অবস্থিত বাংলালিংকের মোবাইল টাওয়ার অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। উপজেলার গ্রোথ সেন্টার হিসাবে পরিচিত শিয়েরবরের হাট রক্ষার জন্য নদীতে বালুর বস্তা (জিও ব্যাগ) ফেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়া হলেও সম্প্রতি নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করায় ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে  ঐতিহ্যবাহী হাটটি। যে কোনো সময় হাটের একটি বড় অংশ নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে। একই রকম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে নওখোলার আল-হেরা দাখিল মাদ্রাসা , চাকশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রামচন্দ্রপুর গ্রামের একটি মসজিদসহ শতাধিক বাড়ীঘর ও ফসলি জমি।

নদী ভাঙনের শিকার মণ্ডলবাগ গ্রামের নূর মোহাম্মদ ও কামরুল শেখ বলেন, এ বছর মধুমতি নদী ভেঙ্গে গ্রামের পাকা রাস্তা, বসতবাড়ী  গাছগাছালী ও ফসলি জমি নদীতে বিলিন হয়ে গেছে।

চর খোলাবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা জিন্ন মিয়া, সাত্তার মিয়াসহ অনেকে জানান ওই গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী নওখোলা, চরশালনগর,চরকাশিপুর গ্রামের দুই শতাধিক পরিবার বাড়ীঘর সরিয়ে নিয়ে নদীর ওপার বসবাস করছে। শিয়েরবর হাট রক্ষা ও নদী শাসন কমিটির সভাপতি সৈয়দ আশরাফ আলী জানান, এই মুহুর্তে শিয়েরবরের হাট ও নদী ভাঙ্গন কবলিত গ্রামগুলো রক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন না করলে এলাকার মানুষ নিঃস্ হয়ে যাবে। 

এ ব্যাপারে শালনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খান তসরুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক বছর যাবৎ মধুমতি নদী ভাঙনের ফলে ইউনিয়নের কাতলাশুর, চরগোপালপুর, চাকশী, চরখড়কদিয়া, চরশালনগর, চরমাকড়াইল গ্রামের বেশির ভাগ মানুষের জমিজমা নদীর ওপার চলে যাওয়ায় তারা সেখানে ঘরবাড়ি বানিয়ে বসবাস করছে। অন্য ইউনিয়নে বসবাস করায় তারা সেখানকার ভোটার হয়ে গেছে। এভাবে ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম নদী ভাঙনের ফলে ইউনিয়নের পুরানো মানচিত্র পাল্টে গেছে।

এ ব্যাপারে নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী স্বপন কুমার জানান, নদী ভাঙনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এমএসএম / জামান

সাজিদা ট্রেডিংয়ের প্রোপাইটর মোঃ লিয়াকত হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে মামলা

শান্তিগঞ্জে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

নাফনদীর মোহনায় ট্রলার ডুবি, ৭জেলে উদ্ধার

বালিয়াকান্দিতে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

বাউফলে চেয়ারম্যান পরিবহন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

আদমদীঘিতে সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাটে পৌর হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির কার্যক্রম স্থগিতের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান

দৌলতপুরে মুখ বাঁধা অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার

কমিউনিটি পুলিশিং সভা ও উদ্ধারকৃত মোবাইল-অর্থ হস্তান্তর: মেহেরপুর জেলা পুলিশের জনবান্ধব উদ্যোগ

ভূরুঙ্গামারীতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নবজাতক শিশুদের জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করছে উপজেলা প্রশাসন

পাবনায় ট্রিপল মার্ডারের রায়ে একজনের মৃত্যুদন্ড

গলাচিপা সরকারি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে জামায়াতের এমপি পদ প্রার্থীর মত বিনিময় সভা

ত্রিশালে মসজিদে চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে নিহত