ঢাকা বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫

ভাসমান পতিতা ও মাদক ব্যবসায়ীসহ অপরাধীদের নিরাপদ জায়গায় পরিণত নিরব ভুমিকায় গণপূর্ত

ঐতিহাসিক তিন নেতার মাজার অরক্ষিত


আব্দুল লতিফ রানা photo আব্দুল লতিফ রানা
প্রকাশিত: ২১-৫-২০২৫ দুপুর ৪:১২

রাজধানীর দোয়েল চত্বর ও ঐতিহাসিক ঢাকা গেটের কাছে অবস্থিত তিন নেতার মাজার এখন ভাসমান পতিতা ও মাদক সেবীদের নিরাপদ আস্তানায় পরিণত হয়েছে। গণপূর্ত বিভাগের ঢাকা ডিভিশন-৪ এর আওতাধীন থাকলেও ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুদ রানা এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এ বিষয়ে তার দপ্তরের বার বার গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
সম্প্রতি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্ত মঞ্চের পাশে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫) নিহত হওয়ার পর উদ্যানে অবস্থান করা নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা অপরাধীরা তিন নেতার মাজারের চারপাশে প্রকাশ্যে অসামাজিক কর্মকান্ড ছাড়াও মাদক সেবন ও ব্যবসা করছে। এ বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগের ঢাকা ডিভিশন- ৪ এর নির্বাহী প্রকৌশী মাসুদ রানার বক্তব্যের জন্য বেশ কয়েকদিন তার কার্যালয়ে গিয়ে তার স্বাক্ষাত পাওয়া যায়নি। শুধু তাই নয়, যোগাযোগ করতে গেলে তার দপ্তরের কর্মচারীরাও অসৈজন্যমূলক আচরণ করেন। আবার তার সেল ফোনে কোনকল করা হলেও তিনি তার ফোনটি রিসিভ করেননি।
জানা গেছে, গণপূর্তের আওতাধীন ঐতিহাসিক তিন নেতার মাজার বাংলাদেশের স্থাপত্য শিল্পের অনন্য নিদর্শন। দেশের জাতীয় তিন নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, খাজা নাজিমুদ্দিন এবং এ কে ফজলুল হক-এর সমাধির উপর ১৯৬৩ সালে স্থপতি মাসুদ আহমদ ও এস এ জহিরুদ্দিনের নকশায় তিন নেতার মাজার স্থাপনাটি নির্মাণ করা হয়েছে। আর এই তিন নেতার মাজারের কাছেই রয়েছে হাইকোর্ট, ঐতিহাসিক ঢাকা গেট এবং শিশু একাডেমি। স্বাধীনতার পূর্ব সময়ে মহান তিন নেতাই তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তিন নেতার রাজনৈতিক চর্চার বিশেষ অবদান রয়েছে। বাংলার বাঘ হিসেবে খ্যাত শের-এ-বাংলা এ. কে. ফজলুল হক ছিলেন অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ফজলুল হক ১৯৫৪ সালে পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া যুক্তফ্রন্ট গঠনে তার ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য।
এছাড়া, খাজা নাজিমুদ্দিন ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল নিযুক্ত হন। গত ১৯৫১ সালে তাকে পাকিস্তানের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করা হয়। আবার হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ১৯২৪ সালে কলকাতা পৌরসভার ডেপুটি মেয়র হন এবং খাজা নাজিমুদ্দিনের মন্ত্রীসভায় তিনি শ্রমমন্ত্রী নিযুক্ত ছিলেন। ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
সূত্র জানায়, ঐতিহাসিক এই স্থাপনাটি ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। স্থপতি মাসুদ আহমদ এবং এস এ জহিরুদ্দিন দ্বারা ডিজাইন করা হয়েছিল। এই সমাধিতে সমাহিত তিনজন রাজনৈতিক নেতা বিভিন্ন তারিখে মারা গেলেও তাদের সবাইকে পাশাপাশি জায়গায় সমাহিত করা হয়েছিল। কারণ তারা তিনজনই পূর্ব পাকিস্তানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন এবং সকলেই রাজনৈতিকভাবে জড়িত ছিলেন।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গণপূর্তের আওতাধীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ঐতিহাসি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য শত কোটি টাকা বরাদ্ধ করা হয়েছে। আর সেই অর্থ উন্নয়নের নামে স্বৈরাচারী সরকারের মন্ত্রী, এমপি এমনকি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতায় লুটপাট করা হয়েছে। শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর যারা নির্মাণ বা উন্নয়নের কাজে জড়িত ছিলেন, তারাও গা ঢাকা দিয়েছেন। অনেকেই গ্রেফতারের ভয়ে পালিয়ে গেছেন। উদ্যানের নিরাপত্তায় গণপূর্তের কর্মচারী কর্মকর্তা ছাড়াও একটি আনসার ক্যাম্পও স্থাপন করা আছেন। তার পরও দুর্নীতিবাজ গণপূর্তের ডিভিশন-চার এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুদ রানার সহযোগিতায় উদ্যানের টিএসসি গেটের পাশে ও বাংলা একাডেমির সামনে কালিমন্দিরের গেটে প্রায় শতাধিক দোকান বসিয়ে বিকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিভিন্ন ফাস্টফুড সহ খাবারের ব্যবসা করা হয়। এসব দোকান থেকে প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হতো। এই দোকানগুলো ঘীরে পুরো পার্কজুরে ইয়াবা, গাঁজাসহ প্রকাশ্যে দিন রাত মাদক ব্যবসা চলতো। শুধু তাই নয়, সারারাত প্রকাশ্যেই পতিতাদের দেহ ব্যবসা চালানো হতো।
সূত্র জানায়, এই মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি এবং পতিতাদের ব্যবসা ঘিরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার অপরাধী চক্রের অভয়অরণ্যে পরিনত হয়েছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। গণপূর্তের কর্মকর্তাগণ দায়িত্বরত আনসার সদস্যের দিয়ে এসব অবৈধ দোকান, মাদক ব্যবসায়ী ও ভাসমান পতিতাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ে ব্যস্ত থাকতো। অপরদিকে এসব অপরাধীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সম্প্রতি ঢাকা বিশ্বদ্যালয়ের একজন মেধাবী শিক্ষার্থী নিহত হন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্র হত্যার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উত্তপ্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিলসহ ভিসি অফিস ঘেরাও করে। এছাড়া শাহবাগ থানা ঘেরাও করা হয়। তারা সোহরায়ার্দী উদ্যানে মাদক কারবারি বন্ধ ও নিরাপদ ক্যাম্পাসসহ ৭ দফা দাবি জানায়। পরে নিরাপদ ঢাবি ক্যাম্পাস এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্মারকলিপি দেয় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। গত ১৪ মে দুপুরে নিরাপদ ঢাবি ক্যাম্পাস এবং ক্যাম্পাস সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এসব দাবি জানিয়ে প্রশাসনের কাছে একটি স্মারকলিপি দেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, গণপূর্ত অধিদপ্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধিসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। আর এ ঘটনার পরই গণপূর্তে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সজাগ হয়ে উদ্যান থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। আর রাত ৮ টার পর পার্কে কাউকে প্রবেশ এবং থাকা নিষেধাজ্ঞা করা হয়। 
এদিকে উদ্যান হতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও নিরাপত্তা জোরদার করার পর এখন মদ, গাঁজা ইয়াবাসহ মাদকসহ প্রকাশ্যে ভাসমান পতিতাদের দেহ ব্যবসা ঐতিহাসিক তিন নেতার মাজারে চালানো হচ্ছে। আর এই তিন নেতার মাজারের নিরাপত্তাসহ সকল দায়িত্বে রয়েছেন, গণপূর্তের ঢাকা ডিভিশন- ৪ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুদ রানা। এই মাজার নির্মাণের পর থেকে সেখানে কোন প্রকার উন্নয়ন বা রক্ষনা বেক্ষনের জন্য কোন প্রকার উন্নয়ন বাজেট বরাদ্ধ করা হয়নি। অথচ মাজারের চার পাশের লোহার রড দিয়ে নিরাপত্তা বেস্টুনি করা হয়েছিল। কিন্তু তা মাদক সেবীরা ভেঙে নিয়ে যাচ্ছেন। মাজারের পশ্চিম পাশের প্রায় অধিকাংশই নিরাপত্তা বেস্টুনি খুলে নেওয়া হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান রাতের বেলায় বন্ধ থাকায় অপরাধী তিন নেতার মাজারকে নিরাপদ আস্তানায় পরিণত করা হয়েছে। তিন নেতার মাজারের নিরাপত্তার দায়িত্ব একজন কেয়ারটেকার থাকলেও তিনি নিজেই অপরাধীদের কাছে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে থাকছেন। তাকে অপরাধীরা বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদান করছেন বলেও অভিযোগে জানা গেছে। 
জানা যায়, আবার তিন নেতার মাজারের পাশে ঐতিহাসিক ঢাকা গেট সুন্দর লাগলেও এখানেও প্রতিদিন হাজার হাজার খদ্দের ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে অবস্থান করছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের আনাগোনা বৃদ্ধি করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তাদের কাজগুলো করতে দেয় না একটি মহল। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করতে মাদকের ব্যবসা ও চাঁদাবাজি এবং অসামাজিক কর্মকান্ড চালানো হচ্ছে।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাকর্মীরা সাতটি প্রস্তাবনা তুলে ধরেছেন। আর সেগুলো হচ্ছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার ইয়ামিন সাম্য’র হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সকল অপরাধীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার এবং দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন টিএসসি গেট বন্ধ করতে হবে এবং সমস্ত অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করতে হবে। ক্যাম্পাসে অবস্থানরত ভবঘুরে, মাদকাসক্ত এবং অপ্রকৃতিস্থ ব্যক্তিদের ক্যাম্পাস থেকে স্থায়ীভাবে উচ্ছেদ করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ রাস্তাগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ এবং প্রবেশমুখগুলোতে বহিরাগতদের প্রবেশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে বৈদ্যুতিক বাতি এবং সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। উদ্যানে বিদ্যমান অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করতে হবে। মুক্তমঞ্চসহ উদ্যানের সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করতে সকল প্রকার মাদক কারবারি ও মাদকসেবীদের নির্মূল করার দাবি জানানো হয়েছে। 
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা জোনের উপ পুলিশ কমিশনারের সেল ফোনে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি তার ফোনটি রিসিভ করেননি। পরে শাহবাগ থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে সেল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সকালের সময়কে জানান, আজ কালের মধ্যেই ওখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্তা নেওয়া হবে। তিন নেতার মাজারের জায়গা টি গণপূর্ত বিভাগের। সেখানে যে লোহার বেড়িকেট ছিল, তা ভেঙে ফেলা হয়েছে। ফলে ওই জায়গা দিয়ে অপরাধীরা প্রবেশ করে। তাই আমাদের সঙ্গে গণপূর্তের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা হয়েছে, তারা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই নিরাপত্তা বেস্টুনির ব্যবস্থা করবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক  এবং সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক সকালের সময়কে বলেন, আমাদের জাতীয় তিন নেতার মাজার রক্ষণা-বেক্ষণের বিষয়টি দৃষ্টিভঙ্গীর বিষয়। দেশে যখন যে সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকেন, তখন তাদের নীতিগত দৃষ্টিভঙ্গী প্রকাশ পায়। রাজনীতির নেতা বা সেই ব্যক্তির মাজারও করা হয়নি। যার যার অবস্থান থেকে গুরুত্ব দেয়া হয়। ওই সব জায়গায় কোন ধরণের অপরাধ না থাকে, সেটা রাস্ট্রীয় দৃষ্টিভঙ্গীর প্রয়োজন রয়েছে। ঢাকায় যে সব উদ্যান রয়েছে, সেখানে যৌন কর্মী, মাদক ব্যবসা ও মাদক সেবনকারীরা এখনো রয়েছে। এদের বিষয়ে রাষ্ট্রের আগে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আর রাষ্ট্রের বিচার করে করবে? যারা রাষ্ট্রের দ্বায়িত্বে রয়েছেন, তাদের বিচার কে করবে। তিন নেতার মাজার ও আশপাশের এলাকায় মাদক সেবন, অনৈতিক কাজ করছে। আবার সেখানে পুলিশের উপস্থিতিও আছে। কিন্তু পুলিশের পদক্ষেপ নেই। কেউ জেগে ঘুমে থাকছে। তারা জেগে ঘুমায়। আবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় সংশ্লিস্টরা কিছু দিনের জন্য তৎরপর থাকবে। কিন্তু ১০/১২ দিন পরই আবার একইভাবে মাদক সেবক, মাদক ব্যবসায়ীসহ অসামাজিক কর্মকান্ড চলবে। ঢাকার বিভিন্ন উদ্যানে এখনো মাদক ব্যবসাসহ অবৈধ কর্মকান্ড চলছে, সেগুলো কি বন্ধ হয়েছে। ঢাকা গেটের পাশে তিন নেতার মাজার ও আশপাশে মাদক ব্যবসাসহ অসামাজিক কর্মকান্ড চলছে। সেখানে অর্থের বিষয় আছে। ঘটনা ঘটলে প্রশাসন কিছুদিন তৎপর থাকে, এরপর আবারো ঘটবে। ইতিহাসের চেয়ে অর্থ বড় বলে জানিয়েছেন তিনি।

এমএসএম / এমএসএম

বিসিক এর নীরিক্ষা কর্মকর্তা সাবধান আলী হতে সাবধান!

কেরানীগঞ্জ উপজেলার রাজাবাড়ী রোডে অবৈধ এলপিজি বটলিং প্লান্ট এর সন্ধান

গডফাদার মুরাদ জং-এর বোন পরিচয়ে দলিল দাতা-গ্রহীতাদের জিম্মি করার অভিযোগ

গাজীপুরের কাশিমপুরে সরকারি খাস জমি ভূমিদস্যুদের দখলে

বগুড়ায় সাবেক অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে 'ফ্যাসিস্ট সিন্ডিকেটের' মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আইন যেন শুধু খাতা কলমে

প্রকৌশলী কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

গোয়েন্দা প্রধানসহ লুটপাটের অভিযোগে চার কর্মকর্তা ক্লোজড

নির্বাহী প্রকৌশলী জহির রায়হানের বিরুদ্ধে ঠিকাদারদের মানববন্ধনে শাস্তি ও অপসারণ দাবী

সীমাহীন দুর্নীতি,অর্থ আত্মসাত ও সরকারি চাকুরির শৃংখলা ভংগের অভিযোগে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী রনজিত দে সাময়িক বরখাস্ত

সরকার বিরোধী কর্মকান্ডে শ্রমিকদের উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ

রাজউকের ইমারত পরিদর্শক জয়নাল আবেদিন এর বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ

বসুন্ধরা গ্রুপের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ