ঢাকা বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

আমি বার বার ফিরে আসতে পারি আপনাদের হৃদয়ে


তৌহিদুল ইসলাম ক‍্যাম্পাস প্রতিনিধি photo তৌহিদুল ইসলাম ক‍্যাম্পাস প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২২-৫-২০২৫ বিকাল ৬:৫

আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিচ্ছেন সরকারি বাঙলা কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক সাবিহা সুলতানা। দীর্ঘ ৩১ বছর ৫ মাস নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও ভালোবাসার সঙ্গে শিক্ষকতা করে তিনি আজ অবসরে যাচ্ছেন। এই দীর্ঘ পথচলায় ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য স্মৃতি, ভালোবাসা, সাফল্য এবং অসংখ্য প্রিয় মুখ।

পেশাগত যাত্রার শুরু কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজে কুমিল্লা শহরে জন্ম ও বেড়ে ওঠা অধ্যাপক সাবিহা সুলতানার শিক্ষকতা জীবনের সূচনা হয় কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজে। সেখানে ১০ বছর তিনি দায়িত্ব পালন করেন। ছিলেন কালচারাল কমিটির সদস্য এবং দুই বছর হোস্টেল সুপার। শিক্ষার্থীদের কাছে তিনি ছিলেন অত্যন্ত প্রিয় শিক্ষক, যাঁর প্রতি ছিল অকৃত্রিম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।

ইডেন কলেজ ও ধামরাই সরকারি কলেজে সাফল্যময় সময়

পরে বদলি হয়ে তিনি ইডেন কলেজে যোগ দেন, যেখানে প্রায় ৫ বছর শিক্ষকতা করেন। এরপর সহকারী অধ্যাপক হিসেবে ধামরাই সরকারি কলেজে ১ বছর ২ মাস কাজ করেন। সেখানে শিক্ষক পরিষদের জয়েন্ট সেক্রেটারি এবং কালচারাল কমিটির সদস্য ছিলেন। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি সৃজনশীল ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।

সরকারি বাঙলা কলেজে দীর্ঘতম সময়
২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তিনি সরকারি বাঙলা কলেজে যোগ দেন এবং এখানে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করে গেছেন। এই কলেজেই তিনি সহযোগী অধ্যাপক প্রতিনিধি, স্পোর্টস কমিটি সদস্য এবং সাহিত্য সাময়িকী ম্যাগাজিনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে তিনি সমাজকর্ম বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

একজন শিক্ষক: অনুপ্রেরণার নাম
বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই তিনি ছিলেন ডিবেটার ও মঞ্চকর্মী। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ দিয়েছেন বিতর্ক, উপস্থাপনা, নাটক ও সৃজনশীল কাজে যুক্ত হতে। পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রদের মানসিক বিকাশের জন্য সবসময় কাজ করে গেছেন তিনি।

পারিবারিক সফলতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
তাঁর পারিবারিক জীবনও সমানভাবে সফল। একমাত্র ছেলে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর স্কোয়াড লিডার, বড় মেয়ে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছে এবং ছোট মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চলেছে। স্বামী একজন ইঞ্জিনিয়ার, ২০১৮ সালে অবসর নিয়েছেন।

তিনি জানান, “অবসরে গিয়েও আমি লেখালেখি ও ভ্রমণ চালিয়ে যাব। ছাত্রছাত্রীদের প্রতি আমার স্নেহ ও দোয়া সবসময় থাকবে। আমি যেন সুস্থ থাকি, সক্রিয় থাকি—এটাই চাই। আমি যদি কারও জীবনে সামান্য কিছু অবদান রাখতে পারি, সেটিই হবে আমার বড় প্রাপ্তি।”

শেষে তিনি বলেন, “আমি মনে করি, জীবনের তিনটি বড় সাফল্য—সুস্থতা, সম্মান, এবং অর্জন—আমি তা পেয়েছি। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। আমি সবাইকে অনুরোধ করবো, আমাকে দোয়ায় রাখবেন, প্রার্থনায় রাখবেন। ভালোবাসার মধ্যেই যেন আমি ফিরে ফিরে আসতে পারি আপনাদের হৃদয়ে।”

এমএসএম / এমএসএম

পাস্ট ডিবেটিং সোসাইটির নতুন সভাপতি রউফ, সম্পাদক তন্নি

বিশ্বসেরা ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় পবিপ্রবির ৩ শিক্ষার্থী

রাবিতে শাটডাউন প্রত্যাহার, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন জাতীয়তাবাদী শিক্ষকদের

পিছানো হল চাকসু নির্বাচন

রাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’

১৬ অক্টোবর রাকসু নির্বাচন

বিশ্বসেরা ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় বাকৃবির ১২ গবেষক

বিশ্বের শীর্ষ দুই শতাংশ গবেষকদের তালিকায় ইবির দুই অধ্যাপক

আমরা ক্রমশ সাম্য থেকে বৈষম্যের দিকে আগুয়ান হচ্ছি: ড. সলিমুল্লাহ খান

চবির নতুন প্রক্টর অধ্যাপক ড. হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী

পবিপ্রবিতে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর হল ও সুলতানা রাজিয়া হলের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত

পবিপ্রবিতে আলোচনা সভা ও পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি পালন

পোষ্য কোটার দাবিতে এবার কর্মবিরতিতে রাবির শিক্ষক-কর্মকর্তারা