বেনাপোলে কুরিয়ার সিন্ডিকেটের ক্যাশিয়ার শহিদ বেপরোয়া

যশোরের বেনাপোল সীমান্তের চোরাকারবারীদের থলেনদার ছোট আঁচড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম ওরফে শহিদ (৩০) এতটাই বেপরোয়া যে প্রশাসনের নাক গলিয়ে ভারত হতে আনা চোরাচালানী পণ্য বুকিং মাস্টার খ্যাত শহিদের নাম উঠে এসেছে। অবৈধ পন্য কুরিয়ার বুকিংয়ের ক্ষেত্রে তার রয়েছে বিশাল নেটওয়ার্ক ও সিন্ডিকেট ব্যাণিজ্য। অবৈধ পণ্য বুকিংয়ের ক্ষেত্রে তার সিগনাল ছাড়া কোন কাজ হয়না বলে একাধিক অভিযোগ মিলেছে।
স্থানীয়দের দেওয়া তথ্য সূত্রে থেকে জানা যায়, বেনাপোল বাজারস্থ এম ইউ সিনিয়র মাদ্রাসা মার্কেটে তার একটি ফটোকপির দোকান রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই ফটোকপি ব্যবসার আড়ালে সে প্রশাসনের একাধিক অসাধু কর্মকর্তার সাথে সখ্যতা গড়ে চোরাকারবারীদের চোরাচালানী কাজে প্রশাসনিক সহায়তা দিয়ে থাকে। বেনাপোলস্থ এস এ পরিবহন কুরিয়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য কুরিয়ার গুলোতে চোরাকারবারীরা অবৈধ পণ্য বুকিং করতে শহিদকে দিতে হয় ব্যাগ প্রতি মোটা টাকা। এর বড় একটি অংশ শহিদ মারফত প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তারা হাত পাই বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শহিদের সহযোগী জানান, গোয়েন্দা সংস্থাসহ প্রশাসনের একাধিক দপ্তরের লোকজনের সাথে অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা কাজে শহিদের যোগাযোগ রয়েছে যা তার ব্যবহৃত ফোন ও কল লিস্ট চেক করলে পাওয়া যাবে। শহিদের সবুজ সংকেত মিললেই কেবল কুরিয়ার প্রতিষ্ঠান গুলো চোরাচালানী পণ্য বুকিং নেই। তাছাড়া তার ফটোকপি দোকানে বিভিন্ন সংস্থার লোকজনের উঠাবসা দেখা গেছে। আর এ কাজে সহযোগীতার জন্য আরও কিছু লোকবল কাজ করে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে শহিদের মুঠোফোনে ফোন দিলে নিজেকে ফটোকপি ব্যবসায়ী জানিয়ে, তিনি কোন অবৈধ কাজে জড়িত নেই বলে জানান। শহিদের ব্যাপারে এলাকায় ব্যাপক অনুসন্ধান চালালে দেখা যায় বেনাপোল পৌরসভাধীন ছোট আঁচড়া গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে শহিদুল ইসলাম যশোর সদর উপজেলার হামিদপুর এলাকায় ২০২১ সালে ২২ জানুয়ারী শুক্রবার ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্যদের অভিযানে প্রায় দুই লাখ ইউ এস ডলারসহ আটক হয়। এসময় রানা,সাগর ও মিঠু নামে তার অপর ৩ সহযোগীও বিজিবির অভিযানে আটক হয়। বিজিবির দেওয়া মামলায় জেল হাজত থেকে বের হয়েই আবারও জড়িয়ে পড়ে অবৈধ ব্যবসা বানিজ্য পরিচালনায়। আসন্ন ঈদুল আযহাকে পুঁজি করে বেনাপোল সীমান্তের চোরাকারবারীরা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠলেও প্রশাসনিক অভিযান না থাকায় সরকার বিপুল অঙ্কের রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও চোরকারবারীদের বিরুদ্ধে প্রসাশনিক অভিযান বিষয়ে জানতে চাইলে নাভারন সার্কেলের সিনিয়র এ এসপি নিশাত আল নাহিয়ান জানান,আসন্ন ঈদুল আযহাকে ঘীরে শার্শা উপজেলা জুড়ে পুলিশের ৩টি টহল টিম সার্বক্ষনিক শপিংমল,পশুহাটসহ বড় বাজার গুলোতে নিয়মিত টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছে। নিরাপদ ও আনন্দঘন পরিবেশে ঈদ উদযাপন করা সহ এলাকায় চুরি ছিনতাই রোধে জেলা হতে অতিরিক্ত ১০জন পুলিশ সদস্যের একটি টিম আনা হয়েছে। চোরকারবারীদের বিষয়ে সীমান্তে নিয়োজিত বিজিবি সদস্যরা পদক্ষেপ নিবেন। তবে পুলিশও চোরাচালানী পণ্যসহ চোরকারবারীকে পেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
এমএসএম / এমএসএম

চট্টগ্রামে রাস্তায় ৫০ হাজার অনিবন্ধিত সিএনজি, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

কসবায় টাইফয়েড টিকা ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন

কুষ্টিয়ায় জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

বাঁশখালীতে বেড়িবাঁধ ভাঙ্গণে ঝুঁকিতে হাজারো পরিবার, দ্রুত সংস্কারের দাবি স্থানীয়রা

ধামরাই প্রেস ক্লাবের নির্বাচন : সভাপতি তুষার, সম্পাদক আহাদ

সাপ্টিবাড়ী ডিগ্রি কলেজে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ, রফিকুল আলমের চাকরিচ্যুতি দাবিতে মানববন্ধন

তাড়াশে বিয়ে বাড়িতে চুরির ঘটনা

টুঙ্গিপাড়ায় শুরু হয়েছে টাইফয়েড ভ্যাকসিন টিকাদান কর্মসূচি

তেঁতুলিয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পর্যটন কেন্দ্র এখন মোহনগঞ্জের গলার কাঁটা

অভয়নগরে শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিতদের শপথ গ্রহণ

রাঙামাটিতে টাইফয়েড টিকাদান শুরু
