গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর স্ত্রীর মিথ্যা মামলায় হয়রানির স্বীকার হচ্ছে মতিউর রহমান

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার মতিয়ার রহমান স্ত্রী মাবিয়া আক্তারের মিথ্যা মামলায় হয়রানির স্বীকার হচ্ছে। মামলা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য তিনি প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচারের দাবী জানিয়েছেন।
সরেজমিন সূত্রে জানা যায়, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারী ইউনিয়নের বাহাড়া (পশ্চিমপাড়া) গ্রামের আব্দুল মান্নান কারী ছেলে মতিয়ার রহমান একই ইউনিয়নের কহলদিয়া গ্রামের নুর উদ্দিন শিকদারের মেয়ে তানজিলাকে ২০০৩ সালে দুই পরিবারের আলোচনা সাপেক্ষে অনুষ্ঠানিক ভাবে বিবাহ সম্পন্ন হয়েছিল। তাদের সংসার সুন্দর ভাবে চলছিল।এরই মাঝে পরিবারের মধ্যে একটি মেয়ে একটি ছেলে সন্তান জন্ম লাভ করে। বর্তমান ছেলেমেয়ে দুইজন বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছে। ৩ বছর আগে স্ত্রী তানজিলার লিভার ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ ৬/৭ মাস চিকিৎসাধীন অবস্থায় থেকে সে মৃত্যুবরণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া দুই ছেলে মেয়ে লেখাপড়ার কথা ভেবে ও তাদের সংসারের সুখের কথা চিন্তা করে মতিয়ার রহমান পরিবার ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে একই বাটিকামারী ইউনিয়নের বাহারা (পশ্চিমপাড়া) গ্রামের জহুর আলী মাতুব্বরের মেয়ে মাবিয়া আক্তারকে ২০২৩ সালে যৌতুক বিহীন বিবাহ করেন। মতিউর রহমান ফরিদপুর পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে দীর্ঘদিন যাবৎ হোটেলে ব্যবসা করে আসছে। বিবাহ পরই তাকে ফরিদপুরের বাসায় নিসে আসে। মতিয়ার রহমান জানান,বিবাহর প্রথম এক বছর তাদের সংসার সুন্দরভাবে চলছিল। এই সংসারে কোন ছেলে সন্তান না হওয়া ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে মাবিয়া আক্তারের পিতা জহুর আলী মাতুব্বর মেয়েকে বিভিন্ন প্রকার খারাপ পরামর্শ দিতে থাকে। এই নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রায় ঝগড়াঝাটিসহ সংসারে এক অশান্তি সৃষ্টি হতে থাকে। এক পর্যায়ে সংসারের সুখের লক্ষে স্বামী মতিয়ার রহমান স্ত্রী মারিয়া আক্তারকে নিজ গ্রামে ৮ শতক জমি লিখে দিয়ে বাড়ী করে দেয়ার অঙ্গীকার করেন। তবুও যাতে সংসারে শান্তি থাকে। মতিয়ারের শর্ত থাকে সারা জীবন তার সাথে সংসার করতে হবে। শর্ত মেনে নিয়ে স্ত্রী মারিয়া আক্তার সুন্দরভাবে পুনরায় ঘর সংসার করতে থাকে। মাবিয়া আক্তারকে ফরিদপুরে বাসার নেয়ার পর হতে মারিয়ার মা,
বাবা,ভাই বোনরা প্রায় ফরিদপুরের বাসায় যাতায়াত করতে থাকে। এই সুযোগে গত ১৮-
১০-২০২৪ সালে মারিয়ার ভাই রুহুল আমিন বখতিয়ার মাতুব্বর, মা রোকেয়া বেগম,বোন জুই আক্তার মতিয়ার রহমানের বাসায় থাকা জমি বিত্রুয়ের ৪ লক্ষ টাকা, ৩ ভরি স্বর্ণ নিয়ে স্বামী মতিয়ারকে কিছু না জানিয়ে বাসা হতে পালিয়ে আসে। মতিয়ার দুপুরে বাসায় খেতে এসে দেখে বাসা দরজা খোলা এবং ঘরে ভিতর কিছুই নাই।
মতিয়ার জোরে জোরে চিৎকার করে কানতে থাকে এবং বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। মতিয়ারের আত্মচিৎকার শুনে আশপাশের স্থানীয় লোকজন ছুটে আসে। উপস্থিত স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে করিম শেখ, নাসির মাতুব্বর, ইব্রাহিম মোল্লা ও ইমান মাতুব্বর জানান,সবায় একটি অটোযোগে চলে গেছে। এরপর ওইদিন বিকালে মাবিয়ার বাপের বাড়ীতে খুঁজতে এসে সেখানে খুজে পায়।তখন মাবিয়া বলেন, তোমার সংসার আর করবো না। স্বর্ণ অলংকার এনেছি তোমাকে ফেরত দিয়ে দিবো। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের মতিউর রহমান বিষয়টি জানালে তারা এর একটি সমাধান করে দিবে বলে আশ্বস্ত করেন। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মতিয়ারকে দীর্ঘদিন ঘোরানোর পর অপরকতা প্রকাশ করে মামলা করার পরামর্শ দেন বলে মতিয়ার রহমান জানান। তাদের কথা মোতাবেক (১) স্ত্রী মাবিয়া আক্তারকে প্রধান আসামী,(২) শ্যালক রুহুল আমিন বখতিয়ার, (৩) শাশুড়ি রোকেয়া বেগম এবং (৪) শালিকা জুই আক্তার মোট ৪জনকে আসামী করে গত-২৮-০১
-২০২৫ তারিখে ফরিদপুর কোটে মতিউর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা করার পর হতে শশুর জহুর আলী মাতুব্বর,শ্যালক রুহুল আমিনসহ এলাকার লোকজন বিষয়টি সমাধান করে দিবে বলে মামলা তুলে নেয়ার জন্য মতিয়ারকে বসর বার অনুরোধ করতে থাকে।১৩-০৪-২০২৫ইং তারিখে একই গ্রামের বাসিন্দা বাদশা মাতুব্বর ও জহুর আলী মাতুব্বর মেয়ে মাবিয়া আক্তারকে ফরিদপুরে বাসায় দিয়ে আসে এবং দেনাপাওনা দ্রুত পরিশোধ করে দিবে বলে মতিয়ার রহমানকে জানান। বিবাদী মতিউর রহমান ১৫-০৪-২০২৫ তারিখে মামলা তুলে নেন। মাবিয়া আক্তার ওই দিনই সন্ধ্যায় বাসায় থাকা ২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা এবং স্বর্ণ নিয়ে বাসা হতে পালিয়ে আসে। মতিয়ার রহমান তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান মিলাতে পারেনি। পালিয়ে যাওয়ার দেড় মাস পর ভাংগা কলেজ মোড় এলাকায় হাটাহাটি করতে দেখে মতিউর রহমান তাকে আটক করে মাবিয়ার পিতা-মাতাকে সংবাদ দেন। কিন্তু কেউই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় নাই। তখন ছেলে মেয়ের কথা ভেবে মতিয়ার রহমান তাকে ফরিদপুরের বাসায় পুনরায় নিয়ে যান। জানা যায় কিছুদিন পর মতিয়ার রহমান স্ত্রীকে সাথে করে গ্রামের বাড়ীতে বেড়াতে এসে মাবিয়ার বাপের বাড়ী পাশে হওয়ায় সে বাড়ীতে রেখে ফরিদপুর চলে যায়। মাবিয়ার সম্পর্কে মামা বাদশা মাতুব্বর ও তার পিতা জহুর মাতুব্বর কয়েক দিন পর মাবিয়াকে সাথে করে ফরিদপুর বাসায় নিয়ে যান। ভবিষ্যতে মাবিয়া আর এ ধরনের কর্মকাণ্ড করবে না,নিয়মিতভাবে সংসার করবে ও স্বামীর অনুমতি ছাড়া বাসা হতে কোথায় যাবে না অঙ্গীকার করে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে
একটি চুক্তিনামা স্বাক্ষর করেন। কিছুদিন পর মাবিয়া আক্তার বাবার বাড়ি বেড়াতে এসে ফরিদপুরে বাসায় ফিরে যায়নি। এই সুযোগে মাবিয়া আক্তার বিবাহের সময় নগদ ২ লক্ষ টাকা, ৩ ভরি স্বর্ণ ও ৫০ হাজার টাকার আসবারপত্র যৌতুক হিসেবে প্রদানের দাবী করে ১। মতিউর রহমান,তার পিতা-আব্দুল মান্নান কারী ও তার মাতা সুফিয়া বেগম আসামী করে গত-১৭-০৬-
২০২৫ই তারিখে বিজ্ঞ আমলী আদালত মুকসুদপুর
গোপালগঞ্জে মারিয়া আক্তার বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
এব্যাপারে মতিয়ার রহমানের বিবাহের রবযাত্রী অনুষ্ঠানে থাকা বাটিকামারী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ইউনুচ মুন্সী এবং আব্দুল আলিম মাতুব্বর সাথে আলাপকালে তারা জানান, বিবাহের সময় মেয়ে পক্ষ থেকে মতিয়ার রহমানকে যৌতুক বাবদ নগদ টাকাসহ কোন প্রকার কিছুই দেয়া হয়নি। যৌতুক বাবদ মতিয়ার রহমানের বিরুব্ধে স্ত্রী মারিয়া আক্তার যে মামলা করেছে তাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা,ভিত্তিহীন এবং হয়রানি মুলক বলে জানিয়েছেন।
মাবিয়া আক্তারের পিতা জহুর আলী মাতুব্বরের কাছে এসংত্রুান্ত বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান আমার মেয়েকে জামাই মতিয়ার রহমান রেখে গেছে। এছাড়া মেয়ের মাথায় সমস্যা রয়েছে। এরূপূর্বে অন্য ছেলের সাথে মাবিয়ার আক্তারে বিবাহ হয়েছিল। মাথার সমস্যার কারনে পূর্বের স্বামী তাকে ডিভোর্স দিয়েছে। মাবিয়া আক্তারের সাথে কথা বলতে চাইলে মাথার সমস্যার কারনে সে কথা বলেননি।
১নং আসামী মতিয়ার রহমান জানান বিবাহের পর হতে আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করার অনেক চেস্টা করেছি। কিন্তু তার মাথার সমস্যা থাকার কারনে বিভিন্ন সময়ে বাসা হতে পালিয়ে গেছে। আমাকে এবং আমার পিতা-মাতাকে জড়িয়ে যে মামলায় দায়ের করেছে তাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা,ভিত্তিহীন এবং হয়রানী মূলক মামলা। মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মতিয়ার রহমান প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচারের দাবী জানিয়েছেন।
এমএসএম / এমএসএম

রায়গঞ্জে আসামী না হয়েও নুরু মিয়াকে হাতকড়া পড়িয়ে হেনস্তা করলেন এএসআই

আদমদীঘিতে প্রাইভেট কারের ধাক্কায় ৩ বছরের শিশুর মৃত্যু

ফুলকুমার নদীতে ডুবে দুই ভাই বোনের মৃত্যু

নবীনগরে শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে এসে শ্যালকের দা'য়ের কোপে আহত বোন জামাই

চট্টগ্রামে মহাসড়কের পানি নিস্ক্রানের নালা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ

চলনবিলের কৃষকদের স্বপ্ন এখন পানির নিচে

গজারিয়া ইউনিয়নে বিএনপির ঈদ পূর্ণমিলনী ও কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বকশীগঞ্জে পূর্ব শত্রুতারকে কেন্দ্র করে হামলা

মোবাইল ফোন চুরির সন্দেহে যুবকে কুপিয়ে হত্যা, আটক ৩

তানোরে বৃষ্টির মধ্যে রাস্তায় কার্পেটিং কাজ চলছে" কর্তৃপক্ষ নিরব

কমলগঞ্জে বিদ্যুতের ছিঁড়া তারে পিষ্ট হয়ে মহিলার মৃত্যু

উলিপুরে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা চরাঞ্চলে বাদাম তুলছেন
