কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পর্যটন কেন্দ্রে নেই পর্যটক, গুনতে হচ্ছে লোকসান

পর্যটনের ভরা মৌসুম চললেও পর্যটকশূন্য নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে নির্মিত আদর্শনগর পর্যটন কেন্দ্রটি। উদ্বোধনের পর থেকেই এটি লোকসানের কবলে পড়েছে। অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে, এখানে কর্মরত পর্যটন কর্পোরেশনের ছয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা তাদের প্রধান কার্যালয় থেকে এনে পরিশোধ করতে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব ও সাবেক এমপি সাজ্জাদুল হাসান আদর্শনগর পর্যটন কেন্দ্রের নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর পর্যটক ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরু করে ঢাকার বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স সামস-ইঞ্জিনিয়ারিং। পরে ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর এটি উদ্বোধন করা হয়।
মোহনগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকা ব্যয়ে ৬ একর জমির ওপর আদর্শনগর পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সেই থেকেই পর্যটন কেন্দ্রটি লোকসান গুনছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, এখানে কোনো পর্যটক নেই। এখানে ৪০ আসনবিশিষ্ট মাল্টিকুইজিন রেস্তোরাঁ, বিলাসবহুল শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সাত কক্ষ বিশিষ্ট ভবন, বাউন্ডারি ওয়াল এবং রাতে ওয়ালের ওপর ঝলমলে বৈদ্যুতিক আলো ছাড়া আকর্ষণীয় আর কিছু নেই। এমনকি আয়ের উৎস বাড়ানোর জন্য কর্তৃপক্ষ ভবনের সামনের জায়গা স্থানীয় কৃষকদের কাছে লিজ দিয়েছেন। এতে প্রতিটি কৃষকের কাছ থেকে ১৫০০ টাকা করে নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এমন প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন কৃষক রয়েছেন, যারা কেন্দ্রের ভবনের সামনের জায়গা লিজ নিয়ে গরু-ছাগলের ঘাস ফলাচ্ছেন।
পর্যটন এলাকা বাদ দিয়ে উপজেলার ১৬ কিলোমিটার দূরে জনশূন্য হাওরে নির্মিত কোটি টাকার এই ভবনকে কর্মরত কর্মকর্তা থেকে শুরু করে স্থানীয়রা পুরোপুরি অপরিকল্পিত উন্নয়ন বলছেন।
নেত্রকোণা-৪ (মদন, মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুড়ি) আসনের সাবেক এমপি ও সাবেক প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের ছোট ভাই সাজ্জাদুল হাসানের গ্রামের বাড়ি আদর্শনগরে তৈরি করা হয়েছে এই পর্যটন কেন্দ্রটি।
যেখানে বর্ষাকালে উপজেলার ডিঙ্গুপোতা হাওরের পানি দেখতে গুটিকয়েক পর্যটক এলেও সারা বছরই থাকে জনমানবশূন্য। ফলে পর্যটন কেন্দ্রটি উদ্বোধনের পর থেকেই লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে চলতে হচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানটিকে।
পর্যটন কেন্দ্রের হিসাবরক্ষক জাকির আহমেদ বলেন, "পর্যটন কেন্দ্রটি গ্রামে হওয়ায় এখানে পর্যটক কম আসে। কেন্দ্রটি চালু হওয়ার পর থেকেই লোকসানে চলছে।"
আদর্শনগর পর্যটন কেন্দ্রের ইউনিট ম্যানেজার আমিনুল হক বলেন, "এখানে সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে ভূতুড়ে পরিবেশ তৈরি হয়। সন্ধ্যার পর এখানে কিছুই পাওয়া যায় না। তদুপরি স্থানটি পর্যটন পরিবেশ উপযোগী নয়। এটি মোহনগঞ্জ সদরে নির্মিত হলে লোকসান গুনতে হতো না। এখানে প্রতি মাসে গড়ে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা আয় হয়। আবার কোনো মাসে ১ লক্ষ টাকাও হয়। প্রতি মাসে এখানকার ৬ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ অন্যান্য খাতে দুই লক্ষ থেকে পৌনে তিন লক্ষ টাকা খরচ হয়। তবে আগে একটু বেশি খরচ হতো। আর সে খরচ প্রধান কার্যালয় (পর্যটন কর্পোরেশন) থেকে আনতে হয়।"
তিনি আরও বলেন, "পর্যটন কেন্দ্রের ভবনের সামনে মাঠ পতিত হয়ে পড়ে আছে। তাই এখানকার স্থানীয় দশ থেকে পনেরো জন কৃষকের কাছে জায়গা ভাড়া দেওয়া হয়েছে। এটি ট্যুরিস্ট এলাকার উপযোগী না হওয়ায় এখানে পর্যটক কম আসে। কেন্দ্রটির পরিকল্পনায় ভুল হয়েছে। গ্রামে কি পর্যটকরা আসতে চায় নাকি?"
তিনি যোগ করেন, "পর্যটন কেন্দ্রটি মোহনগঞ্জের কাছে হলে ভালো হতো। তাহলে প্রধান কার্যালয় থেকে টাকা এনে বেতন দেওয়া লাগতো না। এটি ট্যুরিস্ট এরিয়াও না, ভবিষ্যতেও পর্যটক আসার মতো ব্যবস্থা দেখি না। প্রথমত এখানের রাস্তা খারাপ। দ্বিতীয়ত এখানে গ্রামের ভিতরে এসে পর্যটকরা কি দেখবে? দেখার মতো কিছু তো থাকতে হবে।"
এমএসএম / এমএসএম

আল্লাহ ছাড়া এই নির্বাচন আর কেউ ঠেকাতে পারবে না: সালাহউদ্দিন আহমেদ

সড়ক নিরাপত্তা সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বানে নিসচা’র পথসভা ও লিফলেট বিতরণ

গণঅধিকারের সভাপতি নূরের উপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ

নবীনগরে পূর্ব ইউনিয়ন কৃষক দলের দ্বি বার্ষিক সম্মেলন

এমএজি ওসমানীর ১০৭তম জন্মবার্ষিকীতে রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

ধামইরহাটে আইডিয়াল মাদ্রাসার অভিভাবকদের নিয়ে মত বিনিয় সভা

পটুয়াখালীতে রাতের আঁধারে নদী তীরের মাটি লুট

সুনামগঞ্জের পাথারিয়া বাজারে প্রবাসী ময়না মিয়ার জায়গা জোরপূর্বক দখলের পায়তারা করছে কুচক্রীমহল

কাপাসিয়ায় সদস্য নবায়ন কর্মসূচি পালিত

ত্রিশালে মাদ্রাসার চারতলা ভিত বিশিষ্ট একতলা ভবনের ভিত্তি প্রস্থার স্থাপন উদ্বোধন

কাঠইর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি এখন আ-লীগসহ জাতীয় পার্টির অনুসারীদের দখলে

উলিপুরে জাতীয় পার্টির আহবায়ক কমিটির পরিচিতি ও মতবিনিময়
