তিন মাসে ১৬৫ কোটি টাকা পেয়েছে রেলের সিসিএস, বকেয়া ১৬০ কোটি

রেলওয়ের যন্ত্রাংশ ও জ্বালানি কেনার জন্য প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের (সিসিএস) বরাবরে গত তিন মাসে ১৬৫ কোটি টাকা ছাড় দিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। একই সময়ে দুই সিওএসকে (পূর্ব ও পশ্চিম) দেওয়া হয়েছে ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এর আগের নয় মাসে অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল মাত্র ৫৫ কোটি টাকা।
রেলওয়ের সিসিএস সূত্র জানায়, গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে সরকার পতনের নানা জটিলতায় মন্ত্রণালয় অর্থ ছাড় করতে পারেনি। এর ফলে যন্ত্রাংশ কেনাকাটায় স্থবিরতা দেখা দেয়। গত ৬ মার্চ দৈনিক সকালের সময় পত্রিকায় এই অর্থ সংকটের বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে কিছুদিন পর একবারে বরাদ্দের দ্বিতীয় ও তৃতীয় কিস্তির ১১০ কোটি টাকা ছাড় দেয় মন্ত্রণালয়। পরে আবারো চলতি বছরের জুন মাসে চতুর্থ কিস্তির ৫৫ কোটি টাকা ছাড় দেওয়া হয়েছে বলে সূত্র জানায়।
সূত্রমতে, কেনাকাটার জন্য মোট ১৮৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা দিয়েছে মন্ত্রণালয়, যার মধ্যে সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (সিওএস) পূর্ব ও পশ্চিমের জন্য ২২ কোটি ৫০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। বাকি ১৬৫ কোটি টাকা খরচ করেছে সিসিএস। এর মধ্যে পূর্বের বকেয়া পরিশোধ করা হয়েছে ৪০ কোটি টাকা, জ্বালানি তেল কেনা হয়েছে প্রায় ৩০ কোটি টাকার এবং বিদেশি যন্ত্রাংশের জন্য প্রায় ৭০ কোটি টাকার এলসি (লেটার অফ ক্রেডিট) করা হয়েছে। স্থানীয় মালামাল কেনার জন্য টাকা পেয়েছে মাত্র ২৫ কোটি টাকা। বর্তমানে আবারো বকেয়ার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৬০ কোটি টাকা। ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জন্য ২১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, রেলকে সচল রাখতে সরঞ্জাম কেনাকাটার জন্য বছরে অন্তত ৪০০ কোটি টাকা দরকার। সম্প্রতি যে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, তা যথেষ্ট নয়। এদিকে প্রক্রিয়াগত জটিলতায় এখনো পাওয়ার কারের যন্ত্রাংশ সরবরাহ পায়নি ইলেকট্রিক্যাল বিভাগ। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দ্রুত মালামাল সরবরাহ না হলে নিয়মিত সার্ভিস দেওয়া কঠিন হবে।
মালামাল সরবরাহ না পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রধান বৈদ্যুতিক কর্মকর্তা (সিইই) মো. শফিকুর রহমান বলেন, "যন্ত্রাংশ সংকট চরম আকার ধারণ করেছে, স্টকে অনেক মালামাল নেই। আমরা অলরেডি জোড়াতালি দিয়ে কোনো রকমে কাজ চালিয়ে নিচ্ছি। আমাদের যন্ত্রাংশগুলো বিদেশি হওয়ায় আমদানি করতে হয়, ফলে সরবরাহ পেতে একটু সময় লাগে। তবে আমদানি করার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানতে পেরেছি, আশা করছি শীঘ্রই সরবরাহ পাব।"
এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (সিসিএস) মো. বেলাল সরকার বলেন, "মালামাল কেনার জন্য কনজ্যুমারদের প্রচুর চাহিদাপত্র জমা হয়েছে। ফরেন মালামাল আমদানির প্রক্রিয়া চলমান আছে। চলতি অর্থবছরে ৪০ কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধ করেছি, আরো ১৬০ কোটি টাকা বকেয়া আছে। যন্ত্রাংশ কেনাকাটার চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত বরাদ্দ নেই। বকেয়া পরিশোধ করে কেনাকাটায় গতি আনতে অন্তত ৪০০ কোটি টাকা দরকার।"
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সূত্র থেকে জানা গেছে, সারা বছরের জন্য বরাদ্দের টাকা চারটি সমপরিমাণ কিস্তিতে পরিশোধ করা হয়ে থাকে। সরকার পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট ঝামেলায় সঠিক সময়ে অর্থ ছাড় দিতে পারেনি। ফলে গত তিন মাসে নয় মাসের তিনটি কিস্তি ছাড় দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
এমএসএম / এমএসএম

পাঁচবিবিতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের সমাপনী

রোহিঙ্গা ইস্যুতে কক্সবাজারে ৩ দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু

মির্জাগঞ্জে গাঁজাসহ মাদক কারবারি আটক

বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তা মুন্সি আকতার হোসেনের সংবাদ সম্মেলন

পাকশীতে রেলওয়ে প্রকৌশলী বিভাগের কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের বারো দফা দাবি না মানলে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা

অনির্বাণের আয়োজনে লেখক ও কবিদের চলনবিল ভ্রমণ ও সাহিত্য আড্ডা

জয়পুরহাটে বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের পুরস্কার বিতরণী

ভূঞাপুরে আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশের ৪ সদস্য আহত

পাঁচবিবিতে উপজেলা স্কাউটের উদ্যোগে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচীর উদ্বোধন

তাড়াশের ২ জন পাচারকারী র্যাব-১২’র অভিযানে মূল্যবান কষ্টি পাথরের তৈরি মূতিসহ গ্রেফতার

বাউফলে দুই বাড়িতে ডাকাতি; গণপিটুনিতে নিহত ১

কুড়িগ্রাম -১আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ডা:মো: ইউনুস আলী
