মনোহরগঞ্জ-লাকসাম-শান্তির বাজার-মুদাফরগঞ্জ সড়ক মরণফাঁদ
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ ও লাকসাম উপজেলার মধ্যে অবস্থিত ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ মনোহরগঞ্জ-লাকসাম-শান্তির বাজার-মুদাফরগঞ্জ সড়কটি বর্তমানে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। খানাখন্দে ভরা এই সড়কে প্রতিদিন সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারী, যাত্রী, যানবাহন চালক ও সাধারণ মানুষকে।
মনোহরগঞ্জ-লাকসাম সড়কের ১১ কিলোমিটারের মধ্যে মনোহরগঞ্জ-আশিরপাড় অংশের ৪ কিলোমিটার এলাকা এতটাই খারাপ যে, অসংখ্য বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই এসব গর্তে পানি জমে দুর্ভোগ আরও বাড়ে। গত চার-পাঁচ বছর ধরে বন্যার ক্ষত ও সংস্কারের অভাবে এই পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। স্থানীয়রা বারবার সড়কটি সংস্কারের দাবি জানালেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। জানা গেছে, মনোহরগঞ্জ-আশিরপাড়ের ৪ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের জন্য ৮ কোটি ৬১ লাখ ৯৪ হাজার ৫৯৪ টাকা বরাদ্দ হলেও ঠিকাদার সৈয়দ আলী বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স কাজ না করেই পালিয়ে গেছেন।
এ সড়কে চলাচলকারী সিএনজি চালক মোঃ হানিফ, রাজ্জাক, খোরশেদ, লেয়াকত ও নুরুল ইসলাম জানান, ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল করে। টানা পাঁচ-ছয় বছর ধরে গর্তগুলো ভরাট করা হয়নি। প্রতিদিন সিএনজি, অটোরিকশা ও ভারী যানবাহন চলাচল করলেও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হচ্ছে না। সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের গর্তে কাদা পানি থইথই করছে, যার মধ্যে দিয়ে ধীর গতিতে যানবাহন চলাচল করছে। পথচারীদের হাঁটারও কোনো উপায় নেই। সম্প্রতি, মিন্টু নামের এক ব্যক্তির দোকানের সামনে পরপর কয়েকটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা উল্টে যায়, যেখানে নারী-শিশুসহ অনেক যাত্রী আহত হন। পরে স্থানীয়রা এসে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান।
খানাখন্দের সড়কের ছবি তুলতে গেলে আবুল কাশেম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "অনেকেই শুধু শুধু ছবি তুলে নিয়ে যান, কিন্তু রাস্তা মেরামতের কোনো কাজ হয় না। কিছু ইট-সুরকি ফেলে রাখলেও তো চলাচল করা যেত।" রশিদপুর গ্রামের সমাজসেবক হাছান আহম্মদ জানান, সড়কের গর্তে গাড়ি আটকে উল্টে গিয়ে যাত্রীরা আহত হচ্ছেন, হাত-পা ও মাথা ফাটার ঘটনাও ঘটছে, ফলে তাদের হাসপাতালে নিতে হচ্ছে।
মুদাফরগঞ্জ-শান্তির বাজার সড়কটি প্রায় ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ। শান্তির বাজার, মির্জাপুর ও বেরনাইয়া অংশে এটি খানাখন্দে ভরা, ফলে এ পথে চলাচল একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই সড়কটি লাকসাম, কুমিল্লা, ঢাকা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, চাঁদপুর, শাহারাস্তি, হাজীগঞ্জ, লক্ষ্মীপুরের রায়পুর, চাটখিল, হাসনাবাদ এবং পশ্চিম ও দক্ষিণ অঞ্চলের লোকজনের নিয়মিত যাতায়াতের প্রধান পথ। সড়কের গর্তে পড়ে চাকা আটকে ও ধাক্কা লেগে প্রায়ই গাড়ি নষ্ট হচ্ছে এবং যাত্রী দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। কুমিল্লা, ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে মালামাল আনতে এখন নিয়মের চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছে। হাটিরপাড় গ্রামের বাসিন্দা গৃহবধূ ছালেহা আক্তার বলেন, ভাঙা সড়ক দিয়ে অসুস্থ মানুষ, বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তিনি অবিলম্বে সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন। মনোহরগঞ্জ থেকে লাকসামের ৪০ টাকার ভাড়া বর্তমানে ৬০-৭০ টাকায় পৌঁছেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ শাহ আলম জানান, তারা সড়কটি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং ঠিকাদারকে বলে সপ্তাহ দশ দিনের মধ্যে কাজ শুরু করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভীন রুহি বলেন, তিনি প্রকৌশলীকে গর্তগুলো ভরাট করে দেওয়ার এবং দ্রুত সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও, জেলা মিটিংয়ে এই দুইটি সড়ক নিয়ে আলোচনা করবেন বলেও তিনি জানান।
এমএসএম / এমএসএম
মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়কে ব্যঙ্গ করে সভাপতির স্ট্যাটাস, এলাকায় উত্তেজনা
চাঁদপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে তিন মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
রাণীশংকৈলে ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন
নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে বিশেষ এ্যাডমিশন ফেয়ার এর উদ্বোধন
পাঁচ কোটির ঊর্ধ্বে তরুণ ভোটার ধানের শীষে ভোট দেবে: নিতাই রায় চৌধুরী
চট্টগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি থেকে গণপদত্যাগ
সিডিএতে চাকুরী নিশ্চয়তা দিয়ে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ
নিজের অহমিকা বিসর্জন দেয়াই শ্যামাপূজার মূলশিক্ষা:রণী
পুলিশ পরিদর্শক থেকে সহকারী পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি পেলেন খন্দকার রুহুল আমিন
ডাকাতিয়ার পাড়ে অধিগ্রহণ হচ্ছে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের ৩০ একর জমি
মোহনগঞ্জে দাড়ি নিয়ে কটাক্ষের অভিযোগ তুলে হিন্দু যুবককে জুতার মালা পরিয়ে নির্যাতন
ধামরাইয়ে প্রবাসীর বাড়িতে হামলা বাড়ি-ঘর ভাঙচুর