নেছারাবাদের সুটিয়াকাঠী-বলদিয়া সেতু মৃত্যুফাঁদে পরিণত, যেকোনো সময় দুর্ঘটনার শঙ্কা
পিরোজপুরের স্বরূপকাঠী উপজেলার সুটিয়াকাঠী ও বলদিয়া ইউনিয়নের সংযোগ সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। জেলার বালিহাড়ি ও পঞ্চবেকি দুই প্রান্তের মধ্যে অবস্থিত বয়া খালের ওপর নির্মিত এই সেতুটি এখন এলাকাবাসীর কাছে ‘মৃত্যুফাঁদ’ নামে পরিচিত। গত এক বছরে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সম্প্রতি জনসাধারণের পারাপারও প্রায় বন্ধের পথে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, বিশেষত নারী, শিশু ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে।
১৯৯৯ সালে জেলা পরিষদের অর্থায়নে কাঠের তৈরি এই সেতুটি নির্মিত হয়েছিল। এলাকাটি কাঠ ব্যবসায় সমৃদ্ধ হওয়ায় নৌপথে মালবাহী ট্রলার ও নৌকা চলাচলও ছিল নিয়মিত। কিন্তু বিভিন্ন সময় চালকের অদক্ষতার কারণে ভারী ট্রলার ধাক্কা দিয়ে সেতুর কাঠামো বারবার ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। একাধিকবার সংস্কারের পরও শেষ পর্যন্ত গত বছর যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
সম্প্রতি আবারো একটি মালবাহী ট্রলার ধাক্কা দেওয়ায় সেতুর মাঝের অংশ দেবে গিয়ে হেলে পড়েছে। এর ফলে হাঁটাচলার পথ সংকীর্ণ ও বিপজ্জনক হয়ে গেছে। বর্তমানে সেতুটি টিকে আছে মাত্র একটি নড়বড়ে নাট এবং পচা কাঠের পাটাতনের ওপর। লোহার কাঠামোও মরিচায় ক্ষয়প্রাপ্ত। ফলে প্রতিদিনই দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে মানুষ পারাপার করছেন।
বলদিয়া ইউনিয়ন থেকে ইন্দেরহাট-মিয়ারহাট বন্দর, সরকারি-বেসরকারি কলেজ, মাদ্রাসা এবং উপজেলা সদরে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হওয়ায় প্রতিদিন হাজারো মানুষ এই সেতু ব্যবহার করেন। বিকল্প কোনো যোগাযোগ পথ না থাকায় ঝুঁকি এড়ানোর সুযোগ নেই। বিশেষ করে স্কুলগামী শিশু, নারী ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি বিপদের মুখে।
শুধু মানুষ নয়, নৌযান চলাচলও ব্যাহত হচ্ছে। সেতুর মাঝের অংশ দেবে গিয়ে জোয়ারের সময় ট্রলার ও নৌকা পার হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। ভাটার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রলার চালকদের।
মো. রফিকুল ইসলাম (৫০), স্থানীয় ব্যবসায়ী, বলেন, "সেতুর ওপর দিয়ে পণ্য আনা-নেওয়া এখন অসম্ভব হয়ে পড়েছে। নৌপথও জোয়ারের সময় বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিদিন ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে।"
শাহিনা আক্তার (৩২), গৃহবধূ, বলেন, "আমি প্রতিদিন সন্তানদের নিয়ে স্কুলে যাই। এই সেতু দিয়ে হাঁটতে গিয়ে মনে হয় এখনই ভেঙে পড়বে। ভয়ে বুক কেঁপে ওঠে।"
মো. সোহাগ মোল্লা (১৭), কলেজ শিক্ষার্থী, বলেন, "আমাদের পড়াশোনার জন্য কলেজে যেতে হয়। সেতুর অবস্থা এত খারাপ যে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা হতে পারে। তবুও বিকল্প পথ নেই বলে ঝুঁকি নিয়েই যেতে হয়।"
মো. আজিজুল হক (৪৫), ট্রলারচালক, বলেন, "সেতুর নিচের অংশ ঝুলে পড়ায় জোয়ারের সময় নৌকা চালানো যায় না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। এতে যাত্রী আর ব্যবসায়ীরা দুই পক্ষই বিপদে পড়ছে।"
স্থানীয়দের দাবি, বহুবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পরও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এলাকাবাসীর অনুরোধ—অবিলম্বে এই সেতুটি নতুন করে নির্মাণ করা হোক, যাতে দুর্ঘটনা ও জনদুর্ভোগের অবসান ঘটে।
এমএসএম / এমএসএম
মির্জা ফখরুলকে নিয়ে কন্যার হৃদয়স্পর্শী পোস্ট
পিরোজপুর-২ আসনে বিএনপির মনোনয়নের বিরুদ্ধে তৃণমূলের তীব্র ক্ষোভে উত্তাল নেছারাবাদ উপজেলা
কুমিল্লায় মনিরুল হক চৌধুরীর সমর্থনে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ
ধামইরহাটে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিশুদেরকে কোরআনের ছবক প্রদান
আদমদীঘিতে নিখোঁজের ৩দিন পর ডোবার থেকে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার
পাবনায় রেজিস্টারদের প্রাণনাশের হুমকি! সেই শাহীনসহ ৬ দলিল লেখকের সনদ বাতিল
হালদা নদী থেকে বালুভর্তি ড্রেজার জব্দ, চালককে জরিমানা
শাল্লার কুশিয়ারা নদীতে অবৈধ ড্রেজার মেশিনের তান্ডব,নদীভাঙনের মুখে শত শত ঘরবাড়ি
বগুড়ার শেরপুরে মটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই বন্ধু নিহত
গ্রাম আদালতকে আরও গতিশীল করতে চেয়ারম্যানদের নিয়ে ২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
এমপিওভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয়করণের চেষ্টা চলবে-নেত্রকোনায় দেলাওয়ার হোসেন আজিজী
চট্টগ্রামের ৫টি আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে তৃণমূলে ক্ষোভ