রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিশেষ সিন্ডিকেট সদস্যদের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার স্ক্যাপ চুরি হচ্ছে

নির্মাণাধীন ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের চার নম্বর গেটের শেষ অংশের দিক থেকে প্রতিদিন রাতে কোটি কোটি টাকার মূল্যবান স্ক্যাপ চুরি হচ্ছে। দাদাপুর, রূপপুর ও ভেড়ামারা এলাকার একটি সংঘবদ্ধ চোর চক্র এই চুরির সঙ্গে জড়িত। তারা প্রকল্পের ফেলে রাখা দামি স্ক্যাপ কৌশল করে চুরি করে নৌপথে এবং সড়কপথে ইঞ্জিনচালিত নসিমন, করিমন ও অন্যান্য ছোট গাড়িতে করে বিভিন্ন স্থানে পাচার করছে। নামপ্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক সূত্র ও দেশপ্রেমী এলাকাবাসীর অভিযোগ সূত্রে,এসব তথ্য জানাগেছে।
সূত্রমতে, প্রকল্পের দায়িত্বশীলদের নজরদারির অভাব এবং কতিপয় কর্মচারীর সঙ্গে চোর চক্রের যোগসাজশেই এই স্ক্যাপ চুরি করা সম্ভব হচ্ছে। প্রতিদিন রাতে চক্রটি অত্যন্ত সুকৌশলে প্রকল্পের গাদা থেকে স্ক্যাপগুলো বের করে আনা হয়। এরপর সেগুলো বিভিন্ন গোপন স্থান দিয়ে রাতের অন্ধকারে নদীপথে এবং স্থলপথে দ্রুত সরিয়ে ফেলা হয় । মাঝেমধ্যে স্ক্যাপভর্তি যানবাহন রাস্তায় আটকে টাকা আদায় করা হয়। গত সপ্তাহের মধ্যে এমনভাবে যানবাহন আটকে একটি মাস্তান বাহিনী কর্তৃক যানবাহন আটকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ পর্যন্ত অন্তত: পাঁচ কোটি টাকারও বেশি স্ক্যাপ চুরি করা হয়েছে বলে সুত্রের দাবি।
সুত্রমতে,এলাকার সচেতন নাগরিকরা মনে করেন, ভেড়ামারা, রূপপুর এবং দাদাপুর এলাকার কিছু ব্যক্তির রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ’ বনে যাওয়ার পেছনে এই স্ক্যাপ চুরির হাত থাকতে পারে। তাদের জীবনযাত্রার মান হঠাৎ করে অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে নানা প্রকার সন্দেহ তৈরি হয়েছে। সচেতন মহল আরও দাবি করেছে, যদি পুলিশ প্রশাসন এই রহস্যের সঠিকভাবে তদন্ত করে, তবে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে এবং চোর চক্রের মূল হোতাদের মুখোশ উন্মোচন হবে। কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাব এবং প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেশপ্রেমী এই মহলের অভিযোগ, এই প্রকল্পের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এত বড় অঙ্কের স্ক্যাপ দিনে দিনে চুরি হচ্ছে, তা এক বড় প্রশ্ন। তাদের দাবি, সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বশীলরা যদি দেশপ্রেম নিয়ে তাদের নজরদারি জোরদার করেন এবং চোর চক্রের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক না থাকে, তবেই এই ধরনের চুরি বন্ধ করা সম্ভব। একই সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। প্রকল্পের নিরাপত্তার পাশাপাশি এই বিপুল পরিমাণ সম্পদ রক্ষায় পুলিশের আরও সক্রিয় হওয়া উচিত বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। এই স্ক্যাপচুরির বিষয়ে জানতে প্রকল্পের পরিচালক ডক্টর কবীর আহমেদ বিদেশে থাকায় মুঠোফোনে তাকে পাওয়া যায়নি। প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহেদুল ইসলামকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। তবে প্রকল্প সাইটের দায়িত্বশীল একটি সূত্র নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, স্ক্যাপ চুরির বিষয়টি অনেকের কাছে শোনার পর পাহারার দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষকে পাহারা বাড়ানোর কথা বলা হলে তারা পাহারা বাড়িয়েছে তার পরও কিভাবে স্ক্যাপ চুরি হচ্ছে তা বোধগম্য না। ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ আ,স,ম,আব্দুর নূর জানান,কিছুদিন আগে থানা পুলিশ ভুডভুডি ভর্তি স্ক্যাপসহ চোর ধরে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়। রুপপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নয়ন জানান,কুষ্টিয়ার পার্টি নৌকা নিয়ে এসে রাতে স্ক্যাপ চুরি করে নিয়ে যায়। এবিষয়ে নৌ থানা পুলিশের সাথে কথা বলেছি। গত মাসে আমরা ৮ আসামীকে গ্রেফতার করে ৪ টি মামলা করে কোর্ট হাজতে চালান দিয়েছি। লক্ষিকুন্ডা নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম জানান, স্ক্যাপ চুরির বিষয়টি সেনাবাহিনী জানানোর পর আমরা নদীতে টহল অব্যাহত রেখেছি।
এমএসএম / এমএসএম

গনতন্ত্র সুশাসন ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ধানের শীষে ভোট দিনঃ আবুল কালাম

জাকের পার্টির ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নৌ র্যালী অনুষ্ঠিত

মান্দায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ভেড়ামারায় সড়ক দুর্ঘটনায় বিএনপি নেত্রী ফরিদা ইয়াসমিন গুরুতর আহত

মুকসুদপুরে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

শেরপুরে শিশু ধর্ষণচেষ্টা মামলার আসামিকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন

দাগনভূঞা উপজেলা সমাজসেবা কার্যক্রম বাস্তবায়নে অংশীজনের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার

গলাচিপায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

টাঙ্গাইলে নদী খাল বিল ও ব্রাহ্ম সমাজের মন্দির রক্ষায় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

ফরিদপুরের মধুখালীতে বিএনপি’র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

রাণীনগরে বিএনপির আলোচনা সভা ও কারাবরণকারীদের সংবর্ধনা

সন্দ্বীপে বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
