ঢাকা রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

শিশু হাসপাতালে সেবার পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে ও দালালদের দৌরাত্ম্য কমেছে


অধ্যাপক ডা. মোঃ মাহবুবুল হক photo অধ্যাপক ডা. মোঃ মাহবুবুল হক
প্রকাশিত: ১৪-৯-২০২৫ দুপুর ৩:৩১

বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. মাহবুবুল হক বলেন, আমি দায়িত্ব নিয়েছি গত বছর অক্টোবর মাসে। পরিচালনা বোর্ড হয়েছে ফেব্রুয়ারী মাসে। আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর সেবার পরিধি বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছি। আমাদের এখানে নতুন নতুন কিছু মেশিনারিজ সংযোজন করা হয়েছে। ল্যাবের জন্য আন্তর্জাতিক মানের কিছু মেশিন আনা হয়েছে। বর্তমানে বায়োকেমিষ্ট্রি বিভাগে TORCH Panel, (10 test), IL-6, HAV IgM, Vit-B12 Folic Acid  নতুন পরীক্ষা’ চালু করা হয়েছে। গত ২৩/০১/২০২৫ তারিখ ডিএনএ ল্যাবের জন্য 3500 Genetic Analyzer  মেশিন ক্রয় করা হয়। |  উক্ত মেশিনের মাধ্যমে DNA analysis for SMA gene (Spinal Muscular Atrophy), DNA analysis for DMD gene (Duchenne Muscular Dystrophy), DNA analysis for CFTR gene (Cystic Fibrosis)  পরীক্ষা করে বিরল রোগ নির্ণয় করা যাবে।

এছাড়া নিজস্ব উদ্যোগে ‘OSECC এর ইমারজেন্সী, অবজারভেশন এন্ড রেফারেল ইউনিট’সহ ‘সার্জিক্যাল আইসিইউ (SICU)’ চালু করা হয়েছে। তাছাড়া রোগীদের অধিকতর সেবার স্বার্থে হাসাতালে ‘বৈকালীন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সেবা’ চালু করা হয়েছে। অত্র হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ৫ দিন ব্যাপী অফিস ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয় যা অত্র হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটে কখনও হয় নি। 

পরিচালনা বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ডা. আজিজুল হক ব্যক্তিগত উদ্যোগে মারাত্মকভাবে পুড়ে যাওয়া ‘কার্ডিয়াক আইসিইউ’ পুনরায় ‘আকিজ বশির গ্রুপ লিঃ’ এর অর্থায়নে পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও সভাপতি একমি ল্যাবরেটরীস হতে একটি অত্যাধুনিক ‘ইকো-কার্ডিওগ্রাম’ মেশিন অনুদান হিসেবে পাইয়ে দেন। যার মাধ্যমে হাসপাতালে প্রতিদিন ১৫-২১জন রোগীর ইকো করতে পারবে। Turkish Cooperation & Coordination Agency কর্তৃক ‘এন্ডোসকপি মেশিনসহ আরও কয়েকটি মেডিকেল ইকুইপমেন্ট’ অনুদান হিসেবে পাওয়া গেছে। নিয়মিতভাবে রোটারি ক্লাব এবং ‘মিতুলী ফাউন্ডেশন’ শিশু হাসপাতালকে সহযোগিতা করে আসছে এবং তারা বেশ কিছু দামি মেশিনপত্র  শিশু হাসপাতালকে অনুদান হিসেবে প্রদান করেন। 

প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ডেঙ্গু সেল চালু হয়েছে। বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট ‘সি’ ব্লক-এ ‘সম্প্রসারণ প্রকল্প-২’ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগীতায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এ প্রকল্পটি বাস্তাবায়ন হলে হাসপাতালে বিছানা সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। এ বিষয়ে সরকার খুবই আন্তরিক। 

শিশু রোগীর বিদেশে যাওয়ার প্রসঙ্গে পরিচালক বলেন, শিশুদের চিকিৎসার জন্য দেশের বাহিরে যাওয়ার প্রয়োজন পরে না, যদি না সে জটিল কোন রোগে আক্রান্ত হয় এবং দেশে রোগ নির্ণয় সম্ভব না হয়। জটিল রোগ সৃষ্টি হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখানে বলে রাখা ভালো যে জটিল রোগ গুলোর সৃষ্টি হচ্ছে তা কিছুটা পরিবেশ ও খাদ্যাভাসের কারণে। শিশুদের ঠান্ডা, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট হয় আবহাওয়ার কারণে। আমাদের ঢাকা শহরে বাতাসের দূষণের হার সর্বোচ্চ, এটা শীতকালে বেশি বৃদ্ধি পায় আবার বর্ষার সময় কিছুটা কমে।

অধ্যাপক ডা. মো. মাহবুবুল হক বলেন, শিশু হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্য অনেকাংশ হ্রাস পেয়েছে। আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর কঠোর হস্তে দালালমুক্ত করার চেষ্ঠা করছি। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে আনসারদের সতর্ক করা হয়েছে। স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছি। মুলত এ সমস্যাগুলো হয় হাসপাতালে পর্যাপ্ত বিছানা না থাকার কারণে। রোগীরা বিছানা না পেয়ে ফিরে যাওয়ার সময় দালালদের খপ্পরে পড়ছে। হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্য প্রতিহত করতে আলাদা হেল্পডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। যাতে রোগীর অভিভাবক হেল্পডেস্ক ছাড়া অন্য কারো সঙ্গে কথা বলতে না পারে। তাছাড়া সম্প্রসারণ প্রকল্প-২ বাস্তবায়ন হলে হাসপাতালে বিছানার সংকট লাঘব হবে।

এমএসএম / এমএসএম

মুসলিম রাষ্ট্রকে নিয়ে বৈশ্বিক শক্তির ষড়যন্ত্র-মো. হাসিব

শিশু হাসপাতালে সেবার পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে ও দালালদের দৌরাত্ম্য কমেছে

স্কুল-জীবনের স্মার্টফোন: শিক্ষার পথ সহজ, নাকি বাঁধার দেয়াল?

ডিজিটাল ইকোনমিতে তরুণদের অংশগ্রহণে বাড়ছে প্রবৃদ্ধির গতি

রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নে বাড়ছে অপরাধ

শিক্ষা ব্যবস্থায় ফিরে আসুক পুরনো দিনের ঐতিহ্য

মধ্যপ্রাচ্যের ভিসা সংকট থেকে প্রযুক্তি বাজার: বাংলাদেশের করণীয় কি?

পিআর পদ্ধতি নিয়ে হঠাৎ এতো আলোচনা

আ-তে আলো, আ-তে আধাঁর

মোদির চীন সফর ও বৈশ্বিক রাজনৈতিক প্রভাব

রিসাইক্লিং থেকে রেভিনিউঃ চক্রাকার অর্থনীতির বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি

বিপদের বন্ধু লোকনাথ বাবা ও তাঁর অলৌকিক কাহিনী

অতিরিক্ত স্বাধীনতা জীবনে আধাঁর ডেকে আনে