ঢাকা রবিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৫

ধর্ষণের মামলায় এএসপি নাজমুস সাকিব গ্রেপ্তার হচ্ছে না, চাকরিতে থেকে তদন্ত প্রভাবিত করছেন


মুহাম্মদ ওয়াহিদুন নবী বিপ্লব photo মুহাম্মদ ওয়াহিদুন নবী বিপ্লব
প্রকাশিত: ১৭-৯-২০২৫ রাত ৯:২০

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নাজমুস সাকিবের বিরুদ্ধে মামলা হয় গত মে মাসে। কিন্তু এখনো তিনি গ্রেপ্তার হচ্ছেন না। উপরন্তু মামলার তদন্তকে প্রভাবিত করে যাচ্ছেন তিনি। মঙ্গলবার ঢাকার কোর্ট রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে সংবাদ সম্মেলনে মামলার বাদী জনতা ব্যাংকের নারী কর্মকর্তা এই অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে মামলার বাদী বলেন, তিনি গত ২০ মেয়ে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এ মামলা দায়ের করে।ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. শওকত আলী বাদীর অভিযোগ এজার হিসেবে গণ্য করার জন্য শাহবাগ থানাকে নির্দেশ দেন। শাহবাগ থানা গত ২৯ মে মামলাটি রুজু করেন। মামলা রুজু হওয়ার চার মাস অতিবাহিত হলেও নাজমুস সাকিবকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। বাদী বলেন, তিনি জানতে পেরেছেন নাজমুস সাকিব পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে শাহবাগ থানাকে এই মামলার তদন্তে প্রভাবিত করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে বাদী আরো বলেন, এএসপি নাজমুস সাকিবের বৃত্তে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করার বিষয়টি তিনি পুলিশের মহাপরিদর্শক, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, ঢাকার ডিআইজি ও ঈশ্বরগঞ্জ থানার পুলিশ সুপারকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। কিন্তু এখনো তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে বাদী আশঙ্কা করেন, তাকে কর্মরত রাখা হলে তিনি ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হবেন। বাদী এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও দাবি করেন সংবাদ সম্মেলনে।বাদী জানান, নাজমুস সাকিব ভৈরব সার্কেল কিশোরগঞ্জে কর্মরত রয়েছেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০২৩ সালের ১৯ জুন ফেসবুক গ্রুপ 'পাত্র-পাত্রী দুজনেই হবে ঢাবিয়ান'-এ পাত্রী চেয়ে পোস্ট করেন আসামি নাজমুস সাকিব। সেই পোস্টের সূত্র ধরে ২০২৩ সালের জুন মাসে বাদীর সঙ্গে আসামির পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তবে আসামি তার পূর্ববর্তী বিয়ে ও সন্তান থাকার বিষয়টি গোপন রেখে তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন। পরবর্তী সময়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। তাদের এই সম্পর্ক দুই পরিবারের কাছেও সুপরিচিত ছিল এবং উভয়ের বাসায় অবাধ যাতায়াত ছিল। সর্বশেষ গত ৪ এপ্রিল রাতভর বাদী আসামির বাসায় অবস্থান করেন এবং সেখানে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে শারীরিক সম্পর্ক ঘটে। পরে বাদী জানতে পারেন, আসামি ইতোমধ্যে অন্য এক নারীকে বিয়ে করেছেন। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সময় আসামি তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান এবং মামলা করলে নানা রকম ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেন।

উল্লেখ্য, নাজমুস সাকিবের প্রথম স্ত্রী ইসরাত রহমান ও দ্বিতীয় স্ত্রী মুক্তা এর আগেও তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও যৌতুক আইনে মামলা দায়ের করেছিলেন। কয়েক মাস জেলও খেটেছেন নাজমুস সাকিব। আওয়ামী লীগ সরকার আমলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়ে তাকে চাকরি থেকে সাময়িক দরখাস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তিনি আওয়ামী লীগ শাসন আমলে বঞ্চিতের শিকার দাবি করে আবার চাকরিতে যোগদান করেন।

এমএসএম / এমএসএম

ঝিনাইদহ অফিসার্স ফোরামের নতুন কমিটি গঠন

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

বিনামূল্যে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ শিখাচ্ছে পাথওয়ে

উত্তরায় SEDA ফাউন্ডেশনের ১৭তম মেধা যাচাইয়ে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে রাজউক চেয়ারম্যান, ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনায় নকশা দাখিল ও অপসারণের নির্দেশ

হাতপাখা নির্বাচিত হলে ঢাকা-১৮ কে একটি মডেল সিটি হিসেবে গড়ে তুলা হবেঃ আলহাজ্ব আনোয়ার

ডেমরায় সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর মত মতবিনিময় সভা

গণধোলাইয়ে মারা গেলো চোর, হত্যা মামলায় ফাঁসলো নারী সাংবাদিক

আত্মনিবেদিত রাজনীতিবিদ শেখ ফজলে বারী মাসউদ

যুবদের আত্মরক্ষামূলক মৌলিক প্রশিক্ষণের প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপ্ত

গেমপ্লিফাই সফলভাবে আয়োজন করল অনসাইট স্পোর্টস কুইজ প্রতিযোগিতা

মাদক সন্ত্রাস প্রতিরোধে ঐক্যের ডাক, পরিবর্তনের অঙ্গীকার কামাল হোসেনের

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে রাজউকের জরুরি তৎপরতা