সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ অপরিহার্য

মানুষ একটি সামাজিক প্রাণী। সমাজ ছাড়া মানুষের অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। এককভাবে মানুষ যতই শক্তিশালী হোক না কেন, তাকে টিকিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজন সহযোগিতা, সহমর্মিতা, বোঝাপড়া এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ। সুন্দর সমাজ মানে এমন একটি সমাজ, যেখানে শান্তি, ন্যায়, সাম্য, সহযোগিতা এবং মানবিক মূল্যবোধ বিকশিত হয়। কিন্তু এগুলো কেবল আইন-কানুন বা কঠোর বিধিব্যবস্থা দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব নয়, বরং এর জন্য প্রয়োজন একে অপরের প্রতি সম্মান প্রদর্শন, শ্রদ্ধার মনোভাব লালন এবং তা চর্চা করা।
পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ শুধু একটি নৈতিক গুণ নয়, বরং সমাজের সুস্থ ও টেকসই উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য ভিত্তি। শ্রদ্ধা মানে কেবল বয়সে বড় কাউকে সম্মান জানানো নয়; বরং এটি হলো প্রত্যেককে মানুষ হিসেবে মর্যাদা দেওয়া, তার অধিকার ও মতামতকে স্বীকৃতি দেওয়া, তার অবস্থান ও পরিচয়কে মান্য করা। পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মক্ষেত্র, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা, প্রতিটি জায়গায় শ্রদ্ধাবোধের চর্চা সুন্দর সমাজ বিনির্মাণের জন্য অপরিহার্য। আর সুন্দর সমাজ মানেই একটি সুখী, সমৃদ্ধ জাতি। একটু মনযোগী হলেই আমরা সেই সমৃদ্ধ জাতি গঠনে ভূমিকা রাখতে পারি।
এই প্রবন্ধে শ্রদ্ধাবোধের সংজ্ঞা ও তাৎপর্য, ইতিহাসে এর গুরুত্ব, পরিবার, শিক্ষা, সমাজ, রাষ্ট্র ও ধর্মীয় জীবনে এর ভূমিকা, শ্রদ্ধাহীনতার ক্ষতিকর প্রভাব, আধুনিক চ্যালেঞ্জ ও করণীয় এবং শেষ পর্যন্ত কিভাবে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের ভিত্তিতে সুন্দর সমাজ গড়ে তোলা যায় এসব বিষয় নিয়ে কিছু আলোচনা করার চেষ্টা করছি।
শ্রদ্ধাবোধের সংজ্ঞা:
শ্রদ্ধা শব্দটির অর্থ হলো কাউকে মর্যাদা দেওয়া, সম্মান করা, তার অবস্থান, ব্যক্তিত্ব ও অধিকারকে মূল্যায়ন করা। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ মানে একে অপরের প্রতি একই ধরনের সম্মান প্রদর্শন করা, বয়স, লিঙ্গ, ধর্ম, জাতি, অর্থনৈতিক অবস্থা, শিক্ষা বা সামাজিক অবস্থান নির্বিশেষে সবাইকে সমান মর্যাদায় দেখা।
শ্রদ্ধাবোধের তাৎপর্য:
জীবনের জন্য পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের তাৎপর্য অপরিসীম। শ্রদ্ধাবোধ মানবিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করে: শ্রদ্ধা ছাড়া ভালোবাসা, বন্ধুত্ব, সহযোগিতা টেকসই হয় না। শ্রদ্ধাবোধ সংঘাত কমায়, যখন মানুষ একে অপরকে শ্রদ্ধা করে, তখন মতপার্থক্য হলেও তা সহনশীলভাবে মেনে নেয়। যাদের মধ্যে শ্রদ্ধাবোধ আছে, তারা অন্যের অধিকার লঙ্ঘন করতে চায় না। সম্মান প্রদর্শন ছাড়া সমানাধিকার বা সামাজিক ন্যায় সম্ভব নয়। শ্রদ্ধাবোধ মানুষকে অহংকার, হিংসা ও বিদ্বেষ থেকে দূরে রাখে, সমাজে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করে:
মানব সমাজে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট:
মানবসভ্যতার ইতিহাসে আমরা দেখতে পাই, যে সমাজগুলো পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধকে ভিত্তি করেছে, সেই সমাজগুলো টেকসই উন্নয়ন অর্জন করেছে। ইসলামী সভ্যতায় নবী করীম (সা.) বলেছেন: “তোমাদের মধ্যে উত্তম সেই ব্যক্তি, যে অন্যের প্রতি উত্তম আচরণ করে।” এখানে শ্রদ্ধা সামাজিক সম্পর্কের মূল ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়েছে। বাংলার গ্রামীণ জীবনে প্রবীণদের প্রতি শ্রদ্ধা, কণ্যার প্রতি মমতা, প্রতিবেশীর প্রতি সৌহার্দ্য, এসবই ছিল সামাজিক বন্ধনের মূল শক্তি। প্রাচীন গ্রিক ও রোমে গণতন্ত্রের বিকাশে শ্রদ্ধাবোধ ছিল গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। ভারতীয় সভ্যতায় “অতিথি দেবো ভব” বা অতিথিকে দেবতার মতো সম্মান করার সংস্কৃতি সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করেছে।
অতএব, ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, শ্রদ্ধাহীন সমাজ টিকতে পারে না। সাম্রাজ্য ধ্বংস হয়, সভ্যতা বিপর্যস্ত হয়, যখন পারস্পরিক শ্রদ্ধা ভেঙে যায়।
পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও নৈতিক মূল্যবোধ:
নৈতিকতার ভিত্তি হলো শ্রদ্ধা। যদি মানুষ একে অপরকে শ্রদ্ধা না করে, তবে নৈতিকতার সব শিক্ষা কেবল তাত্ত্বিক হয়ে পড়ে। পারস্পরিক শ্রদ্ধা ছাড়া পরোপকার সম্ভব হয়না, শ্রদ্ধা না থাকলে সহমর্মিতা আসে না, ফলে অন্যের কষ্ট বুঝেনা আর অন্যের কষ্ট উপলব্ধি করা মানেই তাকে মানুষ হিসেবে মর্যাদা দেওয়া। শ্রদ্ধা না থাকলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়না, বরং শক্তিশালীর অন্যায়ই প্রাধান্য পায়। সত্য বলার সাহস আসে অন্যকে সম্মান করার মানসিকতা থেকে। আজকের সমাজে নৈতিক অবক্ষয়ের অন্যতম কারণ হলো পারস্পরিক শ্রদ্ধার অভাব। যখন মানুষ একে অপরকে তুচ্ছ করে দেখে, তখন হিংসা, দুর্নীতি, প্রতারণা স্বাভাবিক হয়ে যায়।
পরিবারে শ্রদ্ধাবোধের ভূমিকা:
পরিবার হলো সমাজের ক্ষুদ্রতম একক। পরিবারে শ্রদ্ধার চর্চা না থাকলে সমাজে শ্রদ্ধাবোধ গড়ে ওঠে না। ধর্মীয় ও সামাজিকভাবে বাবা-মাকে বা পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের শ্রদ্ধা করা অপরিহার্য। এটি পরিবারে শান্তি আনে। আবার এটি শুধু সন্তানের কর্তব্য নয়; বাবা-মারও দায়িত্ব সন্তানের ব্যক্তিত্বকে সম্মান করা। এতে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। পারস্পরিক শ্রদ্ধ বোধ ভাই, বোন ও আত্মীয়তার সম্পর্ককে দৃঢ় করে, প্রতিযোগিতাকে সুস্থ রাখে। বিবাহিত জীবনে শ্রদ্ধা ছাড়া ভালোবাসা টেকসই হয় না। স্বামী স্ত্রী পরস্পরকে মর্যাদা দিলে পরিবার সুখের নীড় হয়। যে পরিবারে শ্রদ্ধা নেই, সেখানে ঝগড়া, হিংসা, অবিশ্বাস ও অশান্তি বিরাজ করে। সেই অশান্তি সমাজে ছড়িয়ে পড়ে।
শিক্ষাঙ্গনে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের প্রয়োজনীয়তা:
শিক্ষা কেবল জ্ঞান অর্জনের মাধ্যম নয়, এটি চরিত্র গঠনেরও ক্ষেত্র। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই প্রথম পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ গড়ে ওঠে। ছাত্ররা শিক্ষককে সম্মান না করলে ছাত্র প্রকৃত শিক্ষা পায় না। তদ্রুপ ছাত্রের প্রতি শিক্ষকেরও দায়িত্ব আছে। ছাত্রদের চিন্তা, মতামত, প্রশ্ন করার অধিকারকে সম্মান করা শিক্ষার অঙ্গ। বিদ্যালয়, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে সহপাঠীদের প্রতি শ্রদ্ধা না থাকলে সহিংসতা, বুলিং, র্যাগিং দেখা দেয়।
আজকাল শিক্ষাঙ্গনে শ্রদ্ধার অভাবই অনেক সমস্যার কারণ। তাই শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক, সিনিয়র-জুনিয়র সম্পর্ক, এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশে শ্রদ্ধা প্রতিষ্ঠা করা জরুরী।
সামাজিক সম্পর্ক ও শ্রদ্ধাবোধ: মানুষ একে অপরের সহযোগিতায় বেঁচে থাকে। সামাজিক সম্পর্কগুলো যদি শ্রদ্ধাহীন হয়, তবে তা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। যেমন, প্রতিবেশী সমাজের নিকটতম অংশ। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সৌহার্দ্য না থাকলে সমাজে অশান্তি জন্ম নেয়। বন্ধুত্বের সম্পকের প্রকৃত বন্ধুত্বের ভিত হলো পারস্পরিক শ্রদ্ধা। যেখানে একে অপরকে মর্যাদা দেওয়া হয় না, সেখানে বন্ধুত্ব টেকে না। পেশাগত ক্ষেত্রে যেমন, অফিস, কর্মক্ষেত্র, ব্যবসা-বাণিজ্যে শ্রদ্ধা ছাড়া সহযোগিতা সম্ভব নয়। সামাজিক ভারসাম্যের জন্য প্রয়োজন নারী-পুরুষ উভয়ের প্রতি সমান শ্রদ্ধা। অসম্মান থেকেই বৈষম্য ও সহিংসতা জন্ম নেয়। সামাজিক জীবনে যদি শ্রদ্ধাবোধের চর্চা বিস্তৃত হয়, তবে মানুষ হিংসা, বিদ্বেষ, প্রতিহিংসা থেকে দূরে থাকবে।
রাষ্ট্রীয় জীবনে পারস্পরিক শ্রদ্ধা:
রাষ্ট্রের মূল ভিত্তিই হলো নাগরিকদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক। রাষ্ট্রের উন্নয়নে শাসক ও শাসিত উভয়ের মধ্যে শ্রদ্ধা থাকা অপরিহার্য। নাগরিকরা যদি শাসকদের সম্মান না করে, তবে শৃঙ্খলা নষ্ট হয়। আবার শাসক যদি জনগণকে সম্মান না করে তাহলে রাষ্ট্রে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয় না। রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে বিরোধী দল, ভিন্ন মতাবলম্বী, সংখ্যালঘু গোষ্ঠী, সবার প্রতি সম্মান প্রদর্শন ছাড়া গণতন্ত্র টেকসই হয় না। প্রশাসনের কর্মকর্তারা যদি জনগণকে সম্মান না করেন, তবে দুর্নীতি ও বিশৃঙ্খলা বাড়ে। সুতরাং রাষ্ট্রকে সুন্দর করতে হলে নাগরিক ও সরকার, উভয়ের সম্পর্ককে শ্রদ্ধার ভিত্তিতে গড়ে তুলতে হবে।
ধর্ম ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে শ্রদ্ধাবোধ:
সব ধর্মেই শ্রদ্ধাবোধকে অপরিহার্য গুণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। ইসলাম শেখায়, “তোমরা একে অপরকে অপমান করো না।” হিন্দুধর্মে বলা হয়েছে, প্রতিটি প্রাণীর মধ্যে ঈশ্বরের অংশ বিদ্যমান, তাই সবাইকে শ্রদ্ধা করতে হবে। খ্রিষ্টধর্মে যিশুখ্রিষ্ট বলেছেন, “তুমি যেমন সম্মান আশা করো, অন্যকে তেমন সম্মান দাও।” বৌদ্ধধর্মে মৈত্রী, করুণা ও সম্মানকে মানবতার মূলনীতি ধরা হয়েছে। বাংলার লোকসংস্কৃতি, গান, কবিতা, সাহিত্য, সবখানেই পারস্পরিক শ্রদ্ধার মূল্যবোধ বিদ্যমান। লালন, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, সবাই মানবিক শ্রদ্ধা ও মর্যাদার কথা বলেছেন।
পারস্পরিক শ্রদ্ধাহীনতার কারণ ও পরিণতি:
পারস্পরিক শ্রদ্ধাহীনতার ফলে সমাজে অহংকার ও আত্মকেন্দ্রিকতা বৃদ্ধি পায়, শিক্ষার অভাব, দুর্নীতি ও বৈষম্য, সামাজিক অবক্ষয় ও নৈতিক মূল্যবোধের পতন, অসহিষ্ণুতা ও গোঁড়ামি দেখা দেয়। এর ফলে আমরা করুণষ পরিণতির শিকার হই। যেমন, পরিবার ভেঙে যায়, বিবাহ বিচ্ছেদ বাড়ে, শিক্ষাঙ্গনে সহিংসতা ও বুলিং ছড়িয়ে পড়ে, সমাজে অশান্তি, দাঙ্গা, হানাহানি শুরু হয়, রাষ্ট্র দুর্বল হয়ে পড়ে, মানবিক মূল্যবোধ ধ্বংস হয়, ফলে সভ্যতাও হুমকির মুখে পড়ে।
আধুনিক সমাজে চ্যালেঞ্জ ও শ্রদ্ধাহীনতার প্রভাব:
আজকের বিশ্বায়নের যুগে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ দেখা দিচ্ছে। ডিজিটাল যুগে শ্রদ্ধাহীনতার ফলে সোশ্যাল মিডিয়ায় গালি, হুমকি, অপমান এখন সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধনী-গরিব বৈষম্যের কারণে পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা কমছে। ভিন্ন মতের প্রতি শ্রদ্ধাহীনতা থেকেই রাজনৈতিক সহিংসতা বাড়ছে। নারীর প্রতি অসম্মান থেকে সমাজে ওযৗন হয়রানিসহ নানবিদ ভয়ঙ্কর অপরাধ বাড়ছে। যদি এই শ্রদ্ধাহীনতা বন্ধ না হয়, তবে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
শ্রদ্ধাবোধ গড়ে তুলতে শিক্ষা ও নীতি:
শ্রদ্ধবোধ গড়ে তুলতে হলে, শিক্ষা ব্যবস্থায় মানবিক মূল্যবোধের চর্চার জন্য কেবল পাঠ্যবই নয়, ব্যবহারিক জীবনে সম্মান প্রদর্শনের অনুশীলন থাকতে হবে। পরিবারে ছোটবেলা থেকে সন্তানের মধ্যে শ্রদ্ধাবোধ গড়ে তুলতে হবে। ধর্মীয় মূল্যবোধের আলোকে মানবিক শ্রদ্ধা শেখানো উচিৎ। শ্রদ্ধাবোধমূলক সংস্কৃতি প্রচারের মাধ্যমে এই ক্ষেত্রে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। সমানাধিকার, সামাজিক ন্যায়, দুর্নীতি রোধ, সংখ্যালঘু অধিকার রক্ষা, এসব রাষ্ট্রীয় নীতিতেই শ্রদ্ধা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তরুণ প্রজন্ম ও শ্রদ্ধাবোধ: তরুণ প্রজন্মই ভবিষ্যতের সমাজ গড়বে। তাদের মধ্যে যদি শ্রদ্ধা না থাকে, তবে সমাজ অন্ধকারে তলিয়ে যাবে। শিক্ষার্থীদের সহপাঠীদের প্রতি শ্রদ্ধা, শিক্ষকের প্রতি সম্মান শেখানো জরুরি। ডিজিটাল শিষ্টাচার হিসেবে অনলাইনে ভদ্রতা ও শ্রদ্ধা শেখানো দরকার। বড়রা যদি শ্রদ্ধার চর্চা না করে, তবে তরুণরাও শিখবে না।
ডিজিটাল সমাজে পারস্পরিক শ্রদ্ধা:
আজকের দিনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু এখানেই শ্রদ্ধাহীনতা সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে। অনলাইন বুলিং, গালি-গালাজ, ভিন্ন মতকে অপমান, গুজব ছড়ানো। এসব রোধ করতে হলে ডিজিটাল শিষ্টাচার শেখানো এবং অনলাইনে পারস্পরিক শ্রদ্ধা চর্চা করতে হবে।
সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে শ্রদ্ধাবোধের ভবিষ্যৎ ভূমিকা:
একটি সুন্দর সমাজ গড়তে হলে, প্রত্যেকে প্রত্যেককে সম্মান করবে। মতপার্থক্য থাকলেও তা সহনশীলভাবে গ্রহণ করবে। নারী-পুরুষ, ধনী-গরিব, ভিন্ন ধর্ম-বর্ণ সবাইকে সমান মর্যাদায় দেখা হবে। শিক্ষা, সংস্কৃতি, রাজনীতি ও ধর্ম, সব জায়গায় শ্রদ্ধার ভিত্তি তৈরি হবে।
উপসংহার:
শ্রদ্ধাবোধ ছাড়া সুন্দর সমাজ কল্পনা করা যায় না। এটি সমাজের শান্তি, ন্যায়, সাম্য ও উন্নয়নের মূলভিত্তি। পরিবার থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় জীবন পর্যন্ত, প্রতিটি জায়গায় পারস্পরিক শ্রদ্ধা প্রতিষ্ঠিত হলে সমাজ হবে শান্তিময়, উন্নত, মানবিক।
অতএব, সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ অপরিহার্য, এটি শুধু একটি বক্তব্য নয়; এটি মানবতার বাঁচার একমাত্র উপায়।
লেখক: সাংবাদিক ও সভাপতি, রেলওয়ে জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন।
এমএসএম / এমএসএম

সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ অপরিহার্য

আন্তর্জাতিক বিশ্বব্যবস্থা ও বৈশ্বিক বাস্তবতা

উপাচার্য ড. শওকাত আলীর এক বছর: শিক্ষা, প্রশাসন ও সৃজনশীল নেতৃত্বের মূল্যায়ন

প্লাস্টিকের বোতল: একটি নীরব পরিবেশগত মহামারির সুদূরপ্রসারী পরিণতি

নিরাপদ পৃথিবীর জন্য ওজোন স্তর রক্ষায় প্রয়োজন বিশ্বজনীন অঙ্গীকার

মুসলিম রাষ্ট্রকে নিয়ে বৈশ্বিক শক্তির ষড়যন্ত্র-মো. হাসিব

শিশু হাসপাতালে সেবার পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে ও দালালদের দৌরাত্ম্য কমেছে

স্কুল-জীবনের স্মার্টফোন: শিক্ষার পথ সহজ, নাকি বাঁধার দেয়াল?

ডিজিটাল ইকোনমিতে তরুণদের অংশগ্রহণে বাড়ছে প্রবৃদ্ধির গতি

রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নে বাড়ছে অপরাধ

শিক্ষা ব্যবস্থায় ফিরে আসুক পুরনো দিনের ঐতিহ্য

মধ্যপ্রাচ্যের ভিসা সংকট থেকে প্রযুক্তি বাজার: বাংলাদেশের করণীয় কি?
