ঢাকা শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

গণতান্ত্রিক অধিকার ও নতুন নেতৃত্বের অন্বেষণ


লায়ন নূর ইসলাম photo লায়ন নূর ইসলাম
প্রকাশিত: ২৬-৯-২০২৫ রাত ১০:৩৩

একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য সবচেয়ে বড় আমানত হলো তার ভোটাধিকার। এই অধিকার প্রয়োগের মাধ্যমেই জনগণ দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে এবং নিজেদের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণের সুযোগ পায়। প্রতিটি নির্বাচন আমাদের সামনে সেই আত্মজিজ্ঞাসার সুযোগ করে দেয় আমরা কেমন বাংলাদেশ দেখতে চাই? আমাদের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে কাদের হাতে তুলে দেব এর পবিত্র দায়িত্ব? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার সময়ই একজন নাগরিকের দেশপ্রেমের সর্বোচ্চ পরীক্ষা হয়।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচিত রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যক্রম দেখে আসছি। মাতৃভূমির স্বাধীনতা অর্জন ও সুরক্ষায় প্রতিটি দলের অবদান ইতিহাস দ্বারা স্বীকৃত এবং একইসাথে তাদের সাফল্য ও সীমাবদ্ধতা নিয়েও জনমনে রয়েছে বিস্তর আলোচনা-সমালোচনা। এই গতানুগতিক রাজনৈতিক ধারার বাইরে যখন কোনো নতুন চিন্তা বা নতুন নেতৃত্ব আত্মপ্রকাশ করে, তখন তাকে স্বাগত জানানো এবং এর সম্ভাব্যতা যাচাই করাও গণতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরের নেতৃত্বে ‘গণঅধিকার পরিষদ’ নামক একটি নতুন দলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের মতো একটি অহিংস ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে উঠে আসা নুরুল হক নূরের রাজনীতি, আদর্শ ও দর্শন  রাজনৈতিক নেতাদের চেয়ে ভিন্ন এমনটিই মনে করেন তাঁর অনুসারীরা। তাদের বিশ্বাস, প্রচলিত রাজনীতির বাইরে এক নতুন ধারার সূচনা করার সম্ভাবনা রয়েছে এই দলটির মধ্যে। যদি কোনো নেতার জন্ম, রাজনৈতিক ইতিহাস এবং নীতি-আদর্শ জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে সক্ষম হয়, তবে তার নেতৃত্বে একটি ব্যতিক্রমধর্মী, উন্নত ও মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ কি সত্যিই অসম্ভব?

এই প্রশ্নের চূড়ান্ত উত্তর দেওয়ার মালিক জনগণ এবং সেই উত্তর দেওয়ার প্রধান মঞ্চ হলো জাতীয় নির্বাচন। ২০২৬ সালে অনুষ্ঠেয় আগামী সংসদ নির্বাচন তেমনই একটি সুযোগ। এই নির্বাচনে প্রতিটি ভোটারের মূল্যবান রায় নির্ধারণ করে দেবে দেশের পরবর্তী গতিপথ। কোনো প্রার্থী বা দলকে সমর্থনের পূর্বে তার দেশপ্রেম, ত্যাগ, আদর্শ এবং দেশের মানুষের জন্য কাজ করার আন্তরিকতাকে মূল্যায়ন করা অত্যন্ত জরুরি। এটি কেবল একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নয়, বরং একে একটি ঈমানী ও নৈতিক দায়িত্ব হিসেবেও বিবেচনা করা উচিত।

ভোটারদের দায়িত্ব হবে, ব্যক্তিগত বা দলীয় পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের স্বার্থে সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থীকে বেছে নেওয়া।

পরিশেষে, প্রতিটি নাগরিক ও ভোটারের কাছে আহ্বান থাকবে, আপনার ভোট একটি পবিত্র আমানত। এই আমানত রক্ষার ক্ষেত্রে বিচক্ষণতার পরিচয় দিন। দেশের জন্য কে বেশি ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত, কার আদর্শে নতুন দিনের স্বপ্ন লুকিয়ে আছে, এবং কার নেতৃত্বে আগামীর বাংলাদেশ আরও সুন্দর ও সমৃদ্ধ হতে পারে এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে আপনার ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন। আমাদের সম্মিলিত ইচ্ছাই নির্ধারণ করবে আমরা কেমন ভবিষ্যৎ পেতে যাচ্ছি।

 

লেখকঃ লায়ন নূর ইসলাম, চেয়ারম্যান জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা

এমএসএম / এমএসএম

গণতান্ত্রিক অধিকার ও নতুন নেতৃত্বের অন্বেষণ

দুঃখই সবচেয়ে আপন

জাতিগত নিধন বন্ধে জাতিসংঘের ব্যর্থতা

গণতান্ত্রিক হতে হলে মৌলিক অধিকার সমুন্নত রাখতে হয়

স্মার্ট ডিভাইস-আসক্তিতে বিপদগামী হচ্ছে শিশু-কিশোররা

মানবসম্পদ উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক নিশ্চয়তা

সৌদির ভূরাজনৈতিক কণ্ঠস্বর: তেল, জোট ও পুরোনো মার্কিন চুক্তির টানাপোড়েন

শুভ মহালয়া : দূর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গার আগমনী মঙ্গল বার্তা

সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ অপরিহার্য

আন্তর্জাতিক বিশ্বব্যবস্থা ও বৈশ্বিক বাস্তবতা

উপাচার্য ড. শওকাত আলীর এক বছর: শিক্ষা, প্রশাসন ও সৃজনশীল নেতৃত্বের মূল্যায়ন

প্লাস্টিকের বোতল: একটি নীরব পরিবেশগত মহামারির সুদূরপ্রসারী পরিণতি

নিরাপদ পৃথিবীর জন্য ওজোন স্তর রক্ষায় প্রয়োজন বিশ্বজনীন অঙ্গীকার