তালায় ক্যান্সারযোদ্ধা মেধাবী কলেজ ছাত্র মেহেদী হাসান বাঁচতে চাই

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানা নোয়াকাটি গ্রামের দিনমজুর হামিদ খানের একমাত্র পুত্র। সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে অর্থনীতি বিভাগের অনার্স পড়ুয়া মেধাবী ছাত্র মেহেদী হাসান (২০) মরণব্যাধি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে অর্থের অভাবে চিকিৎসা বঞ্চিত হয়ে নিজ বাড়িতে মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। দরিদ্রতার সঙ্গে প্রতিদিন যুদ্ধ করে মেহেদী হাসান আজ বড় ক্লান্ত। এক সময় স্বপ্ন দেখত বড় হয়ে ডাক্তার হবে। বাবা-মার মুখে হাসি ফুটাবে, ভাইবোনদের খেয়াল রাখবে। কিন্তু হঠাৎ করেই সব থেমে গেল,বিপর্যস্ত সেই স্বপ্নগুলো এখন নিজ বাড়ির বিছানায় মৃত্যুপথযাত্রীর মতই অবস্থা। ২০ বছর বয়সী এই কিশোরের চোখে ভবিষ্যতের হাজারো প্রশ্ন। যে বয়সে তার স্কুলব্যাগ কাঁধে নিয়ে ছুটে বেড়ানোর কথা ছিল, অথচ ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে সে এখন নিঃশব্দে তাকিয়ে থাকে সিলিংয়ের দিকে।অপেক্ষা করে, হয়তো আর দেখা হবে না তার প্রিয় স্কুল,প্রিয় বন্ধুদের সাথে। প্রায় ছয় বছর আগে অর্থাৎ মেহেদী হাসান যখন অষ্টম শ্রেণীতে পড়ালেখা করতো তখনি ধরা পড়ে লিউকেমিয়া (রক্ত ক্যান্সার)। দরিদ্র কৃষক বাবার পক্ষে তখনও চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া ছিল দুঃসাধ্য। বহু কষ্টে নিজের সহায় সম্বল বিক্রি ও ধার দেনা করে শুরু হয়েছিল কেমোথেরাপি। কিন্তু ক্যান্সারের খরচ থেমে নেই পক্ষান্তরে থেমে গেছে পরিবারটির সব উপার্জনক্ষমতা।বর্তমানে অবস্থা এতটাই সংকটাপন্ন যে, হাসপাতাল ছেড়ে দিতে হয়েছে। এখন মলিন মুখের মেহেদী হাসান ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে, ব্যথায় কাঁপে, চোখ দিয়ে জল পড়ে,কিন্তু মুখে কোনো অভিযোগ নেই। শুধু একটাই প্রশ্ন আবার কি আমি পড়ালেখা করতে পারবো। পারবো কি বাবা-মা সহ পরিবারের কষ্টের সংসারে পাশে দাঁড়াতে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দ্রুত কেমোথেরাপির চতুর্থ ধাপ শুরু না করলে পরিস্থিতি আরও জটিল হবে। প্রয়োজন প্রায় ১৫ লাখ টাকা। এই টাকা যদি আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে না জোগাড় হয়, তবে হয়তো আর কোনও সুযোগ থাকবে না। মেহেদী হাসানের মা হেনা বেগম কাঁদতে কাঁদতে বলেন,আমার সন্তান বিনা চিকিৎসায় ধুকে ধুকে চোখের সামনে মরতে বসেছে অথচ কিছুই করতে পারছি না। বাবার বাড়ি যতটুকু জমি পেতাম সেটুকু বিক্রি করে ছেলের রোগের পিছনে খরচ করেছি। তবুও ছেলেটা এখনো সুস্থ হলো না, ওর মুখের দিকে তাকালে আমার আসমান-জমিন এক হয়ে যায়। আমি একজন মা হিসেবে এর চেয়ে বড় কষ্ট কী হতে পারে ? মেহেদী হাসানের পিতা আব্দুল হামিদ দুঃখ করে বলেন,ছেলে মেয়ে নিয়ে ভালোই চলছিল সংসার। কিন্তু বিধিবান,২০১৯ সালের দিকে ছেলের ডান পায়ে একটি টিউমার দেখা দেয এবং পরে ক্যান্সার ধরা পড়ার পথ থেকে পিতার রেখে যাওয়া আমার ভাগের সাড়ে ছয় বিঘা জমি বিক্রি সহ প্রায় ৩০ লাখ টাকা আজকের পর্যন্ত ছেলের পিছনে খরচ করেছি। বর্তমানে ডাক্তাররা বলেছেন ঢাকায় নিয়ে ছেলেকে অপারেশন করতে হবে যা প্রায় ১৫ লাখ টাকার প্রয়োজন। অথচ ১৫ হাজার টাকা জোগাড় করার ক্ষমতা এখন আমার আর নেই। তাই সমাজের বিত্তবান দানশীল ব্যক্তিরা যদি আমার ছেলের প্রতি একটু করুণা করেন তাহলে আমার ছেলেটা হয়তো বেঁচে যেতে পারে।আজ যদি সমাজ একটু এগিয়ে আসে, তা হলে আবার সে সুস্থ হয়ে উঠতে পারে। আবার হাঁটতে পারবে পড়তে পারবে, আর হয়তো তার স্বপ্ন একদিন কারো চিকিৎসা করার বাস্তবে রূপ নিতে পারবে।সহায়তার জন্য যোগাযোগ ০১৭৩৪-৭৪০০০৬ (পিতা) । সব মিলিয়ে, মেহেদী হাসানের জীবন এখন সময়ের ওপর দাঁড়িয়ে। একদিকে মৃত্যু, অন্যদিকে সমাজের সামান্য সহানুভূতি। হয়তো আমাদের একটুখানি সহায়তা পারে একটি জীবন বাঁচাতে। আসুন, মানবতার হাতে হাত রেখে বলি আমরা অসহায় মেহেদী হাসানের পাশে আছি।
এমএসএম / এমএসএম

পটুয়াখালীতে বিজয় দশমীর শেষ মুহূর্তে চলছে প্রতিমা বিসর্জনের আয়োজন

নবীনগরে জালিয়াতির মাধ্যমে সম্পত্তি দখলের চেষ্টা অভিযোগ

ঘোড়াঘাটে দিন দিন বেড়েই চলছে চুরি-ছিনতাই, জনমনে আতংক

আত্রাইয়ে বিএনপি'র বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন

বাল্যবিয়ে করতে এসে কারাগারে গেলেন বর

কোনাবাড়ীতে ২ মাদককারবারী গ্রেফতার

তালায় ক্যান্সারযোদ্ধা মেধাবী কলেজ ছাত্র মেহেদী হাসান বাঁচতে চাই

চার দিন পর পুনরায় চালু হলো সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি

মোহনগঞ্জে দুর্গাপূজায় বখাটেদের হামলায় আহত ৮

চৌগাছার ভারত সীমান্ত কুলিয়া বাওড় থেকে কঙ্কাল উদ্ধার

বিজয়া দশমীতে রাঙামাটিতে গুর্খা সম্প্রদায়ের তিলক প্রদান

গহীন পাহাড় থেকে ২১ জনকে উদ্ধার
