গাজার ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক উদ্যোগ

ইসরাইল-হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের কয়েক ঘণ্টা পরেই প্যারিসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউরোপীয় ও আরব দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এই সম্মেলনে গাজার যুদ্ধপরবর্তী শাসন ব্যবস্থা, পুনর্গঠন এবং স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্যারিস সম্মেলনের উদ্দেশ্য ও অংশগ্রহণকারীরা ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বৈঠক উদ্বোধন করে বলেছেন, 'আগামী কয়েক ঘণ্টা গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নির্ণায়ক হবে।' তিনি জোর দিয়েছেন যে প্যারিস সম্মেলনের উদ্দেশ্য হচ্ছে মার্কিন উদ্যোগের পাশাপাশি কাজ করা। ইইউ এর পররাষ্ট্রনীতি প্রধান কাটজা কালাস বলেছেন, 'এটি আমাদের এখনই সবচেয়ে ভালো সুযোগ। তবে যুদ্ধপরবর্তী পরিকল্পনায় আমাদের কাজ করতে হবে যাতে এটি টেকসই হয়।'ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, গত ৯ মাসে আটটি যুদ্ধ বন্ধে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। আর এ কারণে তিনি নিজেকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য অন্যতম দাবিদার হিসেবে দাঁড় করিয়েছিলেন। গত ১০ অক্টোবর নোবেল কমিটি এ বছরের শান্তি পুরস্কারের জন্য তাঁকে নির্বাচিত না করে নির্বাচিত করলেন ভেনেজুয়েলার রাজনীতিবিদ মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে। হোয়াইট হাউস থেকে এর প্রতিক্রিয়ায় জানানো হয়েছে যে নোবেল কমিটি শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা পালনকে নয়, বরং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যকে আমলে নিয়ে এই পুরস্কার দিয়েছে। এ ধরনের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এক ধরনের হতাশার প্রকাশ ঘটেছে। কেননা ট্রাম্প তাঁর সাম্প্রতিক উদ্যোগগুলোর এক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাচ্ছিলেন। এই বিষয়টির অবতারণা এ জন্য যে দীর্ঘ দুই বছর ধরে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার চলমান যুদ্ধ যেখানে বৈশ্বিক অনেক আহবানকে উপেক্ষা করেও অব্যাহত ছিল।
তবে এর পেছনে একমাত্র রাষ্ট্র হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিরবচ্ছিন্নভাবে ইসরায়েলকে সহায়তা দিয়ে আসছিল।
এমন পরিস্থিতিতে হঠাৎ করেই ট্রাম্পের উদ্যোগের মধ্য দিয়ে গত ৯ অক্টোবর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি বা শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে মতৈক্য হয়। এর থেকে এটিই আরো স্পষ্ট হলো যে এই উদ্যোগটি আরো আগেই নেওয়া যেত এবং এত দিন ধরে গাজায় যে হত্যাযজ্ঞ বা গণহত্যা চলেছে, এর নেপথ্যে মার্কিন পৃষ্ঠপোষকতাই ছিল মুখ্য কারণ। কোন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে একটি ভয়ংকর যুদ্ধাবস্থা থেকে আজ একটি যুদ্ধবিরতির মতো অবস্থা সৃষ্টি হলো, সেটি বিশ্লেষণ করতে গেলে আমরা দেখব যে গাজা ও হামাসকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের যে পরিকল্পনা ছিল, সেখানে কোনো ধরনের যুদ্ধবিরতি কিংবা শান্তিচুক্তির অস্তিত্ব ছিল না, বরং সেখানে ছিল গোটা গাজাকে ধ্বংস করা এবং হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল করার মতো পরিকল্পনা। এর আগে এই যুদ্ধ থেকে পিছু হটার কোনো ইচ্ছা তাদের ছিল না। দুই বছর ধরে যে কায়দায় গণহত্যা এবং ধ্বংসযজ্ঞ সাধন করা হয়েছে, এর মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ইসরায়েল এবং এর জনগণ একদিকে যেমন ঘৃণার পাত্রে পরিণত হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রও একমাত্র পৃষ্ঠপোষক হিসেবে নিজের অবস্থানকে পরিষ্কার করেছে। এই সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত ইউরোপীয় মিত্র দেশগুলোর একটি অংশ পর্যন্ত ইসরায়েলের বিরুদ্ধাচরণ করতে শুরু করে, দ্বিরাষ্ট্রিক সমাধানের জন্য চাপ দিতে থাকে এবং এক পর্যায়ে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে থাকে। এ বছরের জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে দায়িত্ব গ্রহণের পর থকে এ পর্যন্ত মোট চারবার বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হোয়াইট হাউসে গিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এটি একটি রেকর্ড বলা যায়। এতে স্পষ্ট হয়, তাঁরা একে অন্যের সঙ্গে স্বার্থের সম্পর্কে কতটা আবদ্ধ।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর এই যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ট্রাম্পের দায়িত্ব নেওয়ার আগের দিন পর্যন্ত দুই দফা অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি পালিত হলেও দ্বিতীয়বারের এই বিরতিটি কোনো ধরনের সংগত কারণ ছাড়াই ভেঙে যায় এবং গাজায় নতুন করে ইসরায়েলের হামলা শুরু হয়। এটি ছিল অনেকটা পিছু হটা অবস্থার মতো। এ যেন যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সাময়িক বিরতি নিয়ে আবারও শক্তি সঞ্চয় করে নতুন উদ্যমে হামলা পরিচালনা করা।আজ যে বিষয়গুলোকে কেন্দ্র করে একটি যুদ্ধবিরতি স্বাক্ষরিত হয়েছে, এর ভেতরে কী এমন মাহাত্ম্য ছিল, যা আগে ছিল না বলে এ ধরনের কোনো সমঝোতা আগে হয়নি? সেটি বিশ্লেষণ করতে গেলে আমরা দেখতে পাব যে এখানে এমন নতুন কিছুই নেই, যা এই যুদ্ধ বন্ধে সহায়তা করেছে, বরং এর সব উপাদানই আগের মতোই। ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর মধ্যে শেষ সাক্ষাতে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে যুদ্ধ বন্ধে যে ২০ দফা ফর্মুলার কথা বলা হয়েছে, এটিই যে এই যুদ্ধ বন্ধে একমাত্র নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করেছে, সেটিও কিন্তু নয়। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে যে ট্রাম্পের প্রস্তাব হামাস মেনে নিয়েছে। আমরা এটি বিশ্লেষণ করলে দেখব যে এসব ফর্মুলার মধ্যে কেবল হামাসের কাছে ইসরায়েলের জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টি হামাস মেনে নিয়েছে। ট্রাম্পের প্রস্তাবের এবং ইসরায়েলের দাবির অন্যতম শর্ত হামাসের নিরস্ত্রীকরণের বিষয়টিকে হামাস সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে যে একমাত্র দ্বিরাষ্ট্রিক সমাধান ছাড়া তারা কোনো ধরনের নিরস্ত্রীকরণে সম্মত নয়। যে উদ্দেশ্য নিয়ে ইসরায়েল এই যুদ্ধকে চালিয়ে যাচ্ছিল, কোনো ধরনের আন্তর্জাতিক চাপ, এমনকি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে গণহত্যার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ার পরও কোনো কিছুই ইসরায়েলকে যুদ্ধ বন্ধে সম্মত করতে পারেনি। ইসরায়েলের শহরগুলোতে প্রতিনিয়ত জিম্মিমুক্তির দাবি এবং ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা হুমকির আতঙ্কে হাজার হাজার মানুষের নেতানিয়াহুবিরোধী বিক্ষোভও নেতানিয়াহু সরকারকে টলাতে পারেনি।
তাহলে কোন কারণে এই অবস্থায় এসে একটি যুদ্ধবিরতি সম্ভব হলো? আমরা যদি প্রশ্ন করি, হামাস কি দুর্বল হয়েছে কিংবা পরাজিত? এর এককথায় জবাব, না। তার পরও মহাসমারোহে চালিয়ে যাওয়া হত্যাযজ্ঞ থামানোর কারণ একটিই, আর সেটি হলো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ক্রমেই এই যুদ্ধ নিয়ে অসহিষ্ণু হয়ে পড়েছে। ইসরায়েলের মানুষ, যারা বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করছে, তারা লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে; আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে ইসরায়েল আজ সারা বিশ্ব থেকে এক অর্থে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাদের স্টার্টআপগুলোতে বিনিয়োগে ধস নেমেছে ৯০ শতাংশ। গোটা বিশ্ব ইসরায়েল ও জায়োনিজম আজ এক ঘৃণিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পশ্চিমা যে দেশগুলো এত দিন ধরে জায়োনিজমকে পেলেপুষে আজকের এই অবস্থায় নিয়ে এসেছে, সেসব দেশের রাজনীতিবিদদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের এ নিয়ে ব্যাপক দূরত্ব বেড়েছে। আর তাই অনেক দেশের সরকারের ভূমিকা পরিবর্তন হয়ে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহমর্মিতায় রূপ নিয়েছে। আর এর মধ্য দিয়ে এর আগে দাবিকৃত নেতানিয়াহুর মানচিত্রে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অস্তিত্বহীনতায় এক ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখানো হলো বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে। ট্রাম্প এর আগে গাজা খালি করে গাজাকে মধ্যপ্রাচ্যের বিলাসবহুল পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে তৈরি করার পরিকল্পনার কথা প্রচার করেছিলেন। আজ তিনিই একটি যুদ্ধবিরতির রূপকার হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করছেন। তিনি জানান দিতে চাইছেন যে হামাস নিরস্ত্রীকরণ, সংগঠন হিসেবে নিজেদের বিলুপ্ত করতে এবং গাজার ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার বিষয়টি সমাধানে একটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগের মাধ্যমে পরিচালিত হতে সম্মত হয়েছে। হামাসের প্রতিক্রিয়া হচ্ছে, তারা এ ধরনের কোনো প্রস্তাবে সম্মত হয়নি। যদি এটিই সত্য হয়ে থাকে, তাহলে আমাদের বুঝতে হবে কোনো এক ছুতায় ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুকে এর থেকে সরে যেতে হয়েছে।যার অর্থ হচ্ছে গাজা ও হামাস থেকে তাদের লক্ষ্য অর্জিত হয়নি, বরং অসম্পূর্ণ রয়েছে, যার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
এখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল যে নতুন বিষয়টির জন্য অপেক্ষা করবে, তা হচ্ছে হামাসের দিক থেকে নতুন করে কোনো ভুল করা হয় কি না কিংবা এমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখানো হয় কি না, যা পরিস্থিতিকে অশান্ত করে তুলতে পারে। আপাতত ইসরায়েল তাদের হাতে বন্দি এক হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে। এর বিনিময়ে হামাস তাদের হাতে ইসরায়েলি জিম্মি ৪৮ জনকে ছেড়ে দেবে, যার মধ্যে ২০ জন জীবিত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ সবকিছু তখনই একটি প্রকৃত সমাধান বলা যাবে, যখন আমরা এটি দেখব যে ইসরায়েল একটি পৃথক ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অস্তিত্বকে স্বীকার করে নিচ্ছে। তারা তো মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্রে ফিলিস্তিনের অস্তিত্বকেই স্বীকার করতে চায় না। এটিই আসলে মৌলিক সমস্যা। সুতরাং আমাদের এটিই ধরে নিতে হবে যে কৌশলগত কারণে আপাতত একটি যুদ্ধাবস্থার অবসান হয়েছে, যার মধ্য দিয়ে নেতানিয়াহু নতুন করে যুদ্ধক্ষেত্রে ফিরে আসতে পারেন। সম্প্রতি প্যারিস সম্মেলনে গাজার জরুরি মানবিক প্রয়োজন মেটানো এবং ব্যাপক পুনর্গঠন কার্যক্রমের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস চুক্তিকে ঐতিহাসিক সুযোগ বলে অভিহিত করে জাতিসংঘ মানবিক সাহায্য বিতরণ বৃদ্ধি ও গাজার পুনর্গঠনে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন। ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাঁ-ইভ লে দ্রিয়ঁ জানিয়েছেন যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গাজায় দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই প্যারিস বৈঠক গাজার যুদ্ধপরবর্তী ভবিষ্যৎ নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। যদিও ইসরাইলি আপত্তি ও বিভিন্ন দেশের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এই সমন্বিত উদ্যোগ গাজায় দীর্ঘমেয়াদী শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনতে পারে। ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ফ্রান্স গাজা স্থিতিশীলতা বাহিনীতে ভূমিকা পালনের জন্য প্রস্তুত, তবে সফলতা নির্ভর করবে সব পক্ষের সহযোগিতা- বিশেষত ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমন্বয়ের ওপর। যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়ন এবং পরবর্তী পর্যায়গুলোর সফল সম্পাদন এই অঞ্চলে নতুন শান্তিযুগের সূচনা করতে পারে।
লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক, লন্ডন
Aminur / Aminur

তুরস্কের প্রত্যাবর্তন: মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির নতুন সম্ভাবনা

জীবনের জয়গানে সড়ক হোক মুখরিত

এক ভয়ংকর সন্ধিক্ষণে বাংলাদেশ

জয় হোক বিশ্ব মানবতার

আলোর উৎসব দীপাবলি :শান্তি ও সম্প্রীতির জয়গান

কর্পোরেট দুনিয়ায় মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিলুপ্তির সম্ভাবনা: প্রযুক্তির ঝড়, না কি মানবিক পুনর্জাগরণ?

জুলাই সনদ স্বাক্ষর হলো, সংশয় কি কাটলো

পুলিশ - সাংবাদিক দূরত্ব কাম্য নয়

গাজার ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক উদ্যোগ

নতুন আশা ও সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনে নোবেল প্রাইজ

বিএনপির ভাবনায় আগামীর শিক্ষা ব্যবস্থা: জ্ঞানভিত্তিক দেশ গড়ার দূরদর্শী রোডম্যাপ

রেলের উন্নয়ন কেবল প্রকল্প নয়, দরকার র্কাযকর ব্যবস্থাপনা
