ঢাকা শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৫

ফারইষ্ট লাইফের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাসহ নানা ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন


ওমর ফারুক photo ওমর ফারুক
প্রকাশিত: ২১-১০-২০২৫ দুপুর ৩:১৮

ফারইষ্ট লাইফ ইন্সুইরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা,হামলাসহ নানা ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে। সোমবার রাজধানীর তোপখানা রোডের ফারইস্ট টাওয়ারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে  প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. ফখরুল ইসলাম  বলেন, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি আমাদের হাত ধরে ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠার পর খুব অল্প সময়ের মধ্যে দেশীর তথা দক্ষিণ এশিয়ার একটি সর্ববৃহৎ বীমা কোম্পানি হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলা ও গ্রামে গঞ্জে ছড়িয়ে পড়ে এই কোম্পানির সুনাম। কিন্তু ২০০৮ সালে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এই কোম্পানির প্রতি লোলুপ দৃষ্টি দেয় কতিপয় ব্যক্তি। এর মধ্যে অন্যতম হলো নজরুল-খালেক-হেমায়েত গং। তারা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দখল নেয় ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির একের পর এক দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয় এই কোম্পানির হাজার হাজার কোটি টাকা। তাদের দুর্নীতির বিষয়টি জানতে পেরে আমি ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর হাইকোর্টে একটি মামলা করি। ওই মামলায় হাইকোর্ট একটি আদেশ জারি করে নজরুল-খালেকের নেতৃত্বাধীন বোর্ড ভেঙে দেয়। একই সঙ্গে আমার অভিযোগটি তদন্ত করারও নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের নির্দেশে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন নজরুল খালেকের দুর্নীতির বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পায়। সত্যতা পাওয়ার পর দুর্নীতির বিষয়ে কোম্পানীর পক্ষ থেকে নজরুল-খালেক গংদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ১২শ ৫৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুদকও তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। 
 
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো জানান, নজরুল-খালেকের নেতৃত্বাধীন বোর্ড বিদায় নেওয়ার সময় কোম্পানির মুলধন ছিল প্রায় শূন্যের কোটায়। আর বর্তমানে এ দায় দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ হাজার ৮২ কোটি টাকা। তবে অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, গত ৮ সেপ্টেম্বর নজরুল-খালেক গং ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী ও তাদের দুর্নীতির দোসর চাকরিচ্যুত কিছু কর্মকর্তা কর্মচারীদের দিয়ে হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে ফারইস্ট প্রধান কার্যালয়ে হামলা করে ভাঙচুর ও লুটপাট করিয়েছে। এ ঘটনায় কোম্পানির পক্ষ থেকে আদালতে মামলা করলে নজরুল-খালেক গংরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে। তারা ফারইস্টের চাকরিচ্যুত কর্মচারী ও অর্থ আত্মসাতের মামলার আসামি শাহিনুল ইসলামের ভাই শাহাদাত হোসেন আকন্দকে দিয়ে পাল্টা একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। যে মামলায় কোম্পানির চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও বোর্ড সদস্যসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের আসামি করা হয়েছে। এখানেই থেমে থাকেনি ওই মহল। তারা ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে নানা বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা তথ্য প্রচার করে আসছে।  

তাদের এই অপপ্রচারের মূল উদ্দেশ্য হলো— দীর্ঘদিনের সফল ও জনগণের আস্থাভাজন বীমা প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। আমাদের গ্রাহক, এজেন্ট, কর্মকর্তা ও শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো এবং প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি নষ্ট করা। আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড বর্তমানে সম্পূর্ণ বৈধ, কার্যকর ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (ওউজঅ)-এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে। কোম্পানির সমস্ত আর্থিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন হচ্ছে, এবং নিয়মিত অডিট ও পর্যালোচনার আওতায় রয়েছে। কোম্পানির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে আবারও আর্থিক স্থিতিশীলতা সহ গ্রাহক আস্থা ফিরে পেয়েছে। আমরা আমাদের গ্রাহকদের নিকট বকেয়া দাবি নিষ্পত্তি ও সেবা প্রদান দ্রুততর করার উদ্যোগ নিয়েছি, যা ইতোমধ্যে দৃশ্যমান ফলাফল দিচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানটির এই চেয়ারম্যান বলেন, আমরা কতটুকু আন্তরিকতা দিয়ে গ্রাহকদের পবিত্র আমানত ফেরত দেয়ার চেষ্টা করছি তার একটি ছোট্ট বিবরণ তুলে ধরছি। নজরুল-খালেকের নেতৃত্বাধীন বোর্ড আদালতের নির্দেশে বাতিল হওয়ার সময় ২ লাখ ৩৫  হাজার ৩৫টি ম্যাচুরিটি পাওয়া পলিসির বিপরীতে ১ হাজার ৫ শত ৯ কোটি ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৪ টাকা দায় রেখে গিয়েছে। এটি জুলাই-২০২৪ পর্যন্ত। আমরা দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর এই অল্প সময়ের মধ্যে ২শ ৬৮কোটি ৮০ লাখ ৪৭ হাজার ৮৯৪টাকা পরিশোধ করেছি। অথচ, নজরুল-খালেক গং এবং তাদের অনুসারীরা যারা অতীতে কোম্পানির বিভিন্ন অনিয়মে জড়িত ছিল এবং পরবর্তীতে প্রশাসনিক পদক্ষেপে দায়িত্বচ্যুত হয়েছে, তারা এখন নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়ায় রয়েছি।

সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স সব সময় দেশের বীমা খাতের উন্নয়ন, গ্রাহকের অধিকার সংরক্ষণ, এবং ইসলামী নীতিমালার আলোকে সেবা প্রদান করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও সে ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবে। এই কোম্পানি কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। এটি আমাদের গ্রাহক, এজেন্ট, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শেয়ারহোল্ডারদের সম্মিলিত আস্থার প্রতিষ্ঠান। সেই আস্থার প্রতি আমরা দায়িত্বশীল, দৃঢ় ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এমএসএম / এমএসএম

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

বিনামূল্যে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ শিখাচ্ছে পাথওয়ে

উত্তরায় SEDA ফাউন্ডেশনের ১৭তম মেধা যাচাইয়ে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে রাজউক চেয়ারম্যান, ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনায় নকশা দাখিল ও অপসারণের নির্দেশ

হাতপাখা নির্বাচিত হলে ঢাকা-১৮ কে একটি মডেল সিটি হিসেবে গড়ে তুলা হবেঃ আলহাজ্ব আনোয়ার

ডেমরায় সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর মত মতবিনিময় সভা

গণধোলাইয়ে মারা গেলো চোর, হত্যা মামলায় ফাঁসলো নারী সাংবাদিক

আত্মনিবেদিত রাজনীতিবিদ শেখ ফজলে বারী মাসউদ

যুবদের আত্মরক্ষামূলক মৌলিক প্রশিক্ষণের প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপ্ত

গেমপ্লিফাই সফলভাবে আয়োজন করল অনসাইট স্পোর্টস কুইজ প্রতিযোগিতা

মাদক সন্ত্রাস প্রতিরোধে ঐক্যের ডাক, পরিবর্তনের অঙ্গীকার কামাল হোসেনের

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে রাজউকের জরুরি তৎপরতা

ভূমিকম্পে আহতদের চিকিৎসায় ডিএমসি হাসপাতালে ড্যাবের টিমের জরুরি প্রস্তুতি