ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫

বেনাপোল বন্দরে ঘোষণা বহির্ভূত ১৩ কোটি টাকার পণ্য চালান আটক


সুমন হোসাইন, শার্শা photo সুমন হোসাইন, শার্শা
প্রকাশিত: ২৩-১০-২০২৫ দুপুর ১০:২০

 বেনাপোল বন্দরে ভারত থেকে আমদানি নিষিদ্ধ ও ঘোষণা বহির্ভূত পণ্য আমদানির অভিযোগে ৩টি ভারতীয় ট্রাক আটক করেছে বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। যার মানিফ্যাস্ট নং ৬০১-২০২৫-০০৩-০০৬১২৪৭-০৯। ভারতীয় ট্রাক নং ডাব্লু বি-০২সি-৫৯২১, ডাব্লু বি-৩৩ডি-১০২৭ ও ডাব্লু বি-১১সি-৩১৩৩। ট্রাক গুলোতে কাগজপত্রবিহীন বিভিন্ন উচ্চ শুল্কযুক্ত ঘোষণা বহির্ভূত কোটি কোটি টাকার পণ্য রয়েছে বলে জানা গেছে। 
 
বুধবার (২২ অক্টোবর) দিনব্যাপী বেনাপোল স্থলবন্দরের ৪২ পণ্যগারে ভারতীয় গাড়ি থেকে পণ্য নামিয়ে কাস্টমস (আইআরএম) পরীক্ষণ করে ঘোষণা বর্হিভূত ১০ লাখ ৮০ হাজার জিলেট ব্লেড ও তিন প্যাকেজ অতিরিক্ত ঘোষণা বহির্ভূত পণ্য পাওয়া যায়। ঘোষণা বর্হিভূত এসব পণ্যর মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা। তবে সম্পূর্ন ইনভেন্টরির পর জানা যাবে কত কোটি টাকার ঘোষণা বর্হিভূত পণ্য আছে এ চালানে।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, এই পণ্যের আমদানিকারক ‘মেসার্স আশিকুল ইসলাম অ্যান্ড সন্স’ এবং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ‘হুদা ইন্টারন্যাশনাল’বেনাপোল, যশোর। আমদানি কারক প্রতিষ্ঠান সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধি দ্বারা বন্দরের শেড ইনচার্জের সাথে পূর্ব চুক্তি মোতাবেক শুল্কফাঁকি চেষ্ঠায় পণ্যগুলো ভারত থেকে আমদানি করেছিলো। তবে চালানটি এনএসআই এর তথ্যের ভিত্তিতে প্রবেশের পরেই আটক করতে সক্ষম হয়। 

সূত্রটি আরও জানায়, পণ্য চালানটি পরীক্ষণের সময় দেখা যায় ২৮ সেপ্টেম্বর পণ্য প্রবেশের সময় ডকুমেন্টে যে পণ্য ছিল তা পরিবর্তন করা হয়েছে। কাস্টমসের অসৎ কর্মকর্তাদের কারণে এভাবেই হয়তো ডকুমেন্ট ব্যতীত অথবা ভুয়া ডকুমেন্ট তৈরি করে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বেনাপোল স্থল বন্দর থেকে পণ্যর শুল্কফাঁকি দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। এসময় আরও দেখা যায়, পূর্বের ডকুমেন্টে ব্লেড আমদানির উল্লেখ নেই এবং বর্তমান ডকুমেন্টে ৯ লাখ পিচ ব্লেড দেখানো হয়েছে। কিন্তু তার পরও পরীক্ষণে ১০ লক্ষ ৮০ হাজার ব্লেড ও তিন প্যাকেজ অতিরিক্ত পণ্য পাওয়া যায়। সম্পূর্ণ পরীক্ষণের পর আরও অনেক ঘোষণা বর্হিভূত ও কাগজপত্রবিহীন পণ্য পাওয়া যাবে বলে নিশ্চিত করেন। এছাড়া জিলেট ব্লেড প্রক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বল উৎপাদিত পণ্য। এই পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বা তার অনুমোদিত পরিবেশক ছাড়া কেউ আমদানি করতে পারবে না এই মর্মে হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বেনাপোলের একটি চক্র সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। চক্রটি জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে স্থলবন্দর ও কাস্টমসের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজসে ভারত থেকে পণ্য আমদানি করে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন অসাধু আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মালিক। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ‘হুদা ইন্টারন্যাশনাল’ এমনই একটি প্রতিষ্টান। 

বন্দর ব্যবসায়ী সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ভারতীয় গাড়ি তিনটি বাংলাদেশের প্রবেশের সাথে সাথে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কাস্টমস আটক করলেও রহস্যজনক কারণে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ভারতীয় গাড়ি তিনটি পরীক্ষণে ২৫ দিন অতিবাহিত করে। অবশেষে পরীক্ষণ করে আমদানি নিষিদ্ধ ও ঘোষণা বহির্ভূত পণ্য আটক করেছে কাস্টমস। তারা আরও জানায় এই পণ্য চালানটি নো-এন্ট্রি ও কাগজপত্রবিহীন ছিলো। গোয়েন্দা সংস্থা কর্তৃক আটকের পর এলসি সহ অনান্য কাগজপত্র করতে কাস্টমস সময় ক্ষেপণ করেছে। এর পেছনে অনেক বড় শুল্কফাঁকির মাফিয়া চক্রদ্বারা নিয়ন্ত্রন হচ্ছে। আর এ কারনেই ডকুমেন্ট তৈরী করতে দীর্ঘ সময় দিয়ে সময় ক্ষেপণে সহযোগিতা করেছে কাস্টম কর্তৃপক্ষ। ব্যাংকের পূর্ণ তথ্য যাচাই ও ভারতের রপ্তানীর ডকুমেন্ট নিয়ে আসলে মিলে যাবে লো ইনভয়েসিং ও শুল্ক ফাঁকির হিস্টরি। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর আমদানি কারক “মেসার্স আশিকুল ইসলাম অ্যান্ড সন্স” ভারত থেকে  বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় তিনটি গাড়িতে ত্রিশ হাজার ৮৩৮ কেজি ওজনের স্টিল আইটেম অ্যান্ড আদার্স পণ্য আমদানি করেন। বেনাপোল স্থল বন্দরে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ২৮ সেপ্টেম্বর ভারতীয় গাড়ি তিনটি বাংলাদেশের প্রবেশের সাথে সাথে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে জানলে তারা ট্রাকগুলো আটক করে। পরে বেনাপোল স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ ভারতীয় ট্রাক তিনটি গাড়ি অতিরিক্ত নিরাপত্তায় রাখে। 

গোয়েন্দা সংস্থার এক প্রতিনিধি জানান, আমদানি নিষিদ্ধ ও ঘোষণা বহির্ভূত পণ্য চালানটি ভারত থেকে রপ্তানির সময় কত ডলারে শিপমেন্ট হয়েছে এবং এই চালানে কি কি পণ্য ছিলো তা বের করতে সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিকট চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। এবং এই পণ্য চালানে কারা কারা জড়িত সেটাও ক্ষতিয়ে দেখতে তৎপর রয়েছে সংস্থাটি। এছাড়াও আমদানিকৃত এলসিতে লো ইনভয়েস ভ্যালু দেখানো হয়েছে বলে তথ্য পেয়েছে সংস্থাটি। 

সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই ঘটনা কেবল একটি চালান আটক নয় এটি রাষ্ট্রের ভেতরে গজিয়ে ওঠা ভয়ঙ্কর শকুনের থাবা। যে থাবায় আক্রান্ত হয়েছে রাজস্ব প্রশাসনের নৈতিক ভিত্তি। আর কাস্টমস প্রশাসনের ভেতরকার অসাধু কিছুু কর্মকর্তার বহুদিনের অনিয়ম, দুর্বলতা ও দায়হীনতার নগ্ন প্রতিচ্ছবি। যা সরকারের রাজস্ব নিরাপত্তার জন্য বড় সতর্ক সংকেত আর হুমকির মুখে পড়েছে প্রশাসনিক শুদ্ধাচার।

এ বিষয়ে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট হুদা ইন্টারন্যাশনালের মালিক মোঃ আনিছুর রহমানের মুঠোফোনে কল দিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিলে তার স্ত্রী রং নাম্বার বলে ফোন কেটে দেন।
আটক পণ্য চালানের বিষয়ে জানতে বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশানার ও আইআরএমের রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল ইসলামের মুঠোফোন ও খুদে বার্তা দিলে কোন জবাব দেননি। 

এমএসএম / এমএসএম

চাঁদপুরে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে এলপিজিসহ জ্বালানি

শ্যামনগর উপজেলা প্রসাশনকে ম্যানেজ করে এখনও বহাল তবিয়তে বির্তকিত সেই তিন ঠিকাদার

কালকিনি কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে জমে উঠেছে,কুন্ডুবাড়ির মেলা

লাকসামে আবুল কালাম কলেজের কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

বাঘায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে শুরু হলো ‘ইউএনও কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫’

তানোরের কচুয়া আইডিয়াল কলেজে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান, দীর্ঘ ২৭ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি

কমিউনিটি বেইজড ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদনে স্বাবলম্বী দম্পতি দুদু মিয়া ও জড়িনা বেগম

রাণীনগরে অভিযান চালিয়ে আটশ মিটার চায়না দুয়ারী জাল পুড়ে ভূষিবত

ছাতক এলজিইডি কার্যালয়ে ‘ঘুষ সম্রাট’ রিয়াজ: পিয়ন থেকে কোটিপতি

বিটেশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির মাদক বিরোধী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

সরকারি ব্রীজ নির্মাণে নদী থেকে বালু উত্তোলন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ২কর্মকর্তার কারাদন্ড

কামারখন্দে স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ"র‌্যাবের হাতে প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

কেশবপুরে সাংবাদিকের উপর হামলার মামলায় প্রধান আসামি উত্তম গ্রেফতার