ঢাকা সোমবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৫

কুতুবদিয়ায় বনভূমি বিলীন ও বেদখলে, লবণ মাঠে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার


কুতুবদিয়া প্রতিনিধি photo কুতুবদিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২-১১-২০২৫ বিকাল ৫:৯

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে বনভূমি। একদিকে সাগরের ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বিপুল বনাঞ্চল, অন্যদিকে বাকি অংশ দখলে নিয়েছে প্রভাবশালী মহল। এতে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, তেমনি সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।

সরকারি হিসাব অনুযায়ী, কুতুবদিয়ায় বন বিভাগের মোট জমি ৮৬৭ একর ১৯ শতক। এর মধ্যে বন বিভাগের দখলে রয়েছে প্রায় ৮০০ একর। তবে গত মে মাসের সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী, খুদিয়ারটেক মৌজার ১৮৭.৫৭ একর এবং চর ধুরুং এলাকার প্রায় ১০০ একর ভূমি ইতোমধ্যে সাগরে বিলীন হয়ে গেছে। বাকি অংশও বিভিন্ন ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর দখলে চলে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বর্তমানে যে পরিমাণ বনাঞ্চল টিকে আছে, তার মধ্যে প্রায় ২০০ একর প্যারাবন (বাইন, কেওড়া) এবং ৯১ একর ঝাউবন, যা নন-ম্যানগ্রোভ প্রজাতির বলে জানা গেছে।

এদিকে লবণ উৎপাদনের মৌসুম শুরু হওয়ায় দখলকৃত বনভূমির ওপর গড়ে উঠেছে অসংখ্য লবণ মাঠ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লবণচাষীরা প্রতি ভাগে ৩০০ টাকা করে বন বিভাগের কিছু কর্মকর্তাকে ‘ম্যানেজ’ করে নির্বিঘ্নে মাঠে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

অভিযোগ রয়েছে, ২০১৬ সাল থেকে একসনা দাখিলার বিপরীতে খাজনা আদায় বন্ধ থাকলেও কেউই দখল ছাড়েননি। ফলে খাজনা ছাড়া লবণ উৎপাদন চলমান থাকায় সরকার প্রতিবছর বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে।

বাপা কুতুবদিয়া শাখার সভাপতি অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, “যদি দ্রুত ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ না নেওয়া হয়, তবে কুতুবদিয়া আগামী এক দশকের মধ্যেই উপকূলীয় সুরক্ষা হারাবে। ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ক্ষতি তখন আরও ভয়াবহ হবে।”

স্থানীয় পরিবেশকর্মী মহিউদ্দিন বলেন, “কুতুবদিয়ার চারপাশে ম্যানগ্রোভ বন গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি। কিন্তু দখলদার আর লবণ ব্যবসায়ীদের কারণে তা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।”

বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদু রাজ্জাক বিষয়টি স্বীকার করে বলেন,

 “যেসব এলাকায় লবণ চাষ হচ্ছে বা বাঁধ তৈরির জন্য মাটি নেওয়া হচ্ছে, সেসব জমির মালিকানা সবই বন বিভাগের নয়। কিছু ভূমি অফিসের, কিছু পানি উন্নয়ন বোর্ডের, আবার কিছু জেলা প্রশাসনের। বন বিভাগ জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই গাছ লাগিয়েছে। প্যারাবন ধ্বংস করে মাটি নেওয়ার বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।”

তবে এখনো পর্যন্ত পরিবেশ ও বন বিভাগ দখলমুক্তকরণ কিংবা পুনঃবনায়নে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে দিনদিন বিলীন হয়ে যাচ্ছে কুতুবদিয়ার বনভূমি, হারিয়ে যাচ্ছে উপকূলের প্রাকৃতিক সুরক্ষা—আর সরকারের রাজস্ব ক্ষতির অঙ্কও বাড়ছে প্রতি বছর।

এমএসএম / এমএসএম

চুপ্পু থেকে যদি জুলাই সনদের সার্টিফিকেট নিতে হয় এরচেয়ে ভালো পানিতে ডুবে মরা: হাসনাত আব্দুল্লাহ

‎সিইউএফএল সার কারখানায় উৎপাদন শুরুর ১২ ঘন্টা পর ফের বন্ধ

চুয়াডাঙ্গায় অনেক বাড়ি বিক্রি হয়েছে কেউ দিয়েছেন ভাড়ায়

জুড়ীতে রাস্তা সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন

ধোপাছড়িতে ইউএনও'র প্রচেষ্টায় মেরামত হচ্ছে পাহাড়ি ঢলে ভেঙে যাওয়া কাঠের সেতুটি

কুতুবদিয়ায় বনভূমি বিলীন ও বেদখলে, লবণ মাঠে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

মান্দায় ভূয়া প্রকল্পের নামে অর্থ হরিলুটের অভিযোগ

পাবনায় প্রিপেইড মিটার সরবরাহ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত

বাউফলে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিক পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকী; থানায় অভিযোগ

তুলশীখালী ও মরিচা সেতুর ইজারা বন্ধে ডিসিকে চিঠি দিয়েছে নৌকা বাইচ ঐতিহ্য রক্ষা জাতীয় কমিটি

বড়লেখায় র‍্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযানে হত্যা মামলার পলাতক আসামী সুনাম গ্রেফতার

জামালপুরে বিদায়ী ওসি আবু ফয়সল মোঃ আতিককে সংবর্ধনা

ভূমিদস্যু গুলজারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ