ঢাকা শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৫

নফল নামাজ নিষেধ যখন


ডেস্ক রিপোর্ট  photo ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১২-১১-২০২৫ দুপুর ১১:২

পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নত নামাজ ছাড়া অন্য সব নামাজকে নফল নামাজ বলে। নফল নামাজ হলো- তাহাজ্জুদ, ইশরাক, চাশত ও আউওয়াবিনের নামাজ। এ ছাড়া আরও কয়েকটি অনির্ধারিত নফল নামাজ রয়েছে। নফল নামাজের কোনো সীমারেখা নির্ধারিত নেই। কিন্তু প্রতি ২৪ ঘণ্টায় কিছু সময় এমন আছে যখন নফল নামাজ পড়া মাকরুহ। 
এমন কিছু সময় হচ্ছে- 
১. ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর থেকে ফরজ নামাজের আগ পর্যন্ত ফজরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ ছাড়া অন্য কোনো নফল নামাজ পড়া মাকরুহ (মুসলিম : ১১৮৫)। হজরত হাফসা (রা.) বলেন, ‘ফজরের ওয়াক্ত শুরু হলে রাসুল (সা.) সংক্ষিপ্ত দুই রাকাত নামাজ ছাড়া আর কোনো নামাজ পড়তেন না।’ তবে এ সময়ে কাজা নামাজ পড়া যাবে। 
২. ফজর নামাজের পর সূর্য উদয় হওয়া পর্যন্ত নফল বা সুন্নত নামাজ পড়া মাকরুহ (বুখারি : ৫৫১)। 
৩. আসরের পর সূর্যাস্ত পর্যন্ত নফল নামাজ পড়া মাকরুহ (বুখারি, হাদিস: ৫৫১)। 
৪. ইমাম যখন জুমার খুতবার জন্য বের হন, তখন থেকে ফরজ নামাজ থেকে ফারেগ হওয়া পর্যন্ত নফল নামাজ পড়া মাকরুহ (কানযুল উম্মাল : ২১২১২)। 
৫. ইকামতের সময় যেকোনো নামাজ পড়া মাকরুহ (মুসলিম : ১১৬০)। তবে ফজরের সুন্নতের অত্যধিক গুরুত্বের কারণে ইকামতের পরও মসজিদের যেকোনো কর্নারে তা আদায় করতে বলা হয়েছে; যদি দ্বিতীয় রাকাত পাওয়ার পুরোপুরি সম্ভাবনা থাকে (মুসলিম : ১১৯৩)। সময় যদি এত কম হয় যে, সুন্নত পড়তে গেলে ফরজ নামাজ শেষ হয়ে যাবে; তা হলে সুন্নত পড়া মাকরুহ। 
৬. খুব ক্ষুধা এবং খানার প্রতি তীব্র চাহিদা হলে ওই অবস্থায় নফল নামাজ পড়া মাকরুহ। কেননা এর ফলে খাবারের সঙ্গেই মন লেগে থাকবে; নামাজের সঙ্গে নয় (মুসলিম : ৮৬৯)। 
৭. মলমূত্রের বেগ হলে (মুসলিম : ৮৬৯)। 
৮. এমন কোনো বস্তুর উপস্থিতিতে, যে বস্তু নামাজ থেকে বিমুখকারী এবং খুশুখুজুতে ব্যাঘাত সৃষ্টিকারী (মুসলিম : ৮৬৯)। 
৯. ঈদের নামাজের আগে নফল নামাজ পড়া মাকরুহ। ঈদের নামাজের পর ঘরেও কোনো নামাজ নেই, ঈদগাহেও নেই (ইবনে মাজাহ : ১২৮৩)। ১০. আরাফার ময়দানে, বিশেষ করে হজযাত্রীদের জন্য জোহর আর আসরের মধ্যবর্তী সময়ে নফল নামাজ পড়া মাকরুহ। মুজদালিফায় বিশেষ করে হজযাত্রীদের জন্য মাগরিব ও এশার মধ্যবর্তী সময়ে। (মুসলিম : ১২৩৭) 

Aminur / Aminur