অবশেষে স্বস্তি—চলাচলযোগ্য হলো ঘাঘর-বাঁশবাড়ীয়া সড়ক
গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সংযোগ সড়ক ঘাঘর-বাঁশবাড়ীয়া-টুঙ্গিপাড়া উপজেলা হেড কোয়ার্টার সড়ক এখন প্রায় সম্পূর্ণভাবে চলাচলের উপযোগী। বহু বছর পর এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি নতুন রূপে ফিরে আসায় এলাকাবাসীর মধ্যে বইছে স্বস্তির হাওয়া।
মোট ২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কটির মধ্যে কোটালীপাড়া অংশে ৮ কিলোমিটার এবং টুঙ্গিপাড়া অংশে ২১ কিলোমিটার রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ভাঙাচোরা ও কাদা-পানিতে পরিপূর্ণ এই সড়কটি ছিল চলাচলের অনুপযোগী। সামান্য বৃষ্টিতেই তৈরি হতো বড় বড় গর্ত, ফলে জনজীবনে দেখা দিত চরম দুর্ভোগ। বিশেষ করে শিক্ষার্থী, কৃষক, ব্যবসায়ী ও কর্মজীবী মানুষ প্রতিদিনই ভোগান্তি পোহাতেন। বর্ষায় রোগী পরিবহন ছিল সবচেয়ে বড় সমস্যা; অনেক সময় অ্যাম্বুলেন্সও চলাচল করতে পারত না।
দীর্ঘদিনের এই দুর্ভোগ লাঘবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) উদ্যোগ নেয় সড়কটির পুনর্গঠন ও উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে। প্রশাসনিক জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু হয়। বর্তমানে সড়কের ৯৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন, মাত্র ৬০০ মিটার এলাকায় কাজ চলমান রয়েছে।
এই সড়কটি বাস্তবায়িত হচ্ছে এলজিইডির দুটি বৃহৎ প্রকল্পের আওতায়—১. ঢাকা বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ প্রকল্প (DDIRWSP) এবং ২. রুরাল কানেকটিভিটি ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (RCIP)।
সড়কটি চালু হওয়ার পর স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষিপণ্য পরিবহন, শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতে এসেছে ইতিবাচক পরিবর্তন। প্রতিদিন শত শত ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা নির্বিঘ্নে চলাচল করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ জসিম শেখ বলেন, “আগে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল মানেই ছিল দুর্ভোগ। এখন মনে হয় শহরের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি। ব্যবসা-বাণিজ্য করতে অনেক সুবিধা হচ্ছে।”
শিক্ষার্থী সিরাজুল ইসলাম বলেন, “আগে কলেজ যেতে কাদা আর ধুলোয় ভুগতে হতো। এখন আর কোনো সমস্যা নেই।”শিক্ষার্থীরাও পেয়েছে স্বস্তি। স্কুলে যাওয়া-আসায় আর কাদা, ধুলো বা দুর্ভোগ নেই।
স্থানীয় অটোরিক্সা চালক রবিউল ইসলাম জানান, এখন সারাদিনে বেশি ট্রিপ দেওয়া যায়, আয়ও বেড়েছে। আগে গাড়ি নষ্ট হলে মেরামতে খরচ হতো, এখন আর সেই ঝামেলা নেই।”
বাঁশবাড়িয়া ব্যবসায়ী মিলন শেখ বলেন, “এখন পণ্য আনা-নেওয়া অনেক সহজ হয়েছে। এতে আমাদের এলাকার অর্থনীতি চাঙ্গা হয়েছে।”
কোটালীপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী শফিউল আজম বলেন, “সব বাঁধা অতিক্রম করে আমরা কাজ শেষ করেছি। মানসম্মত কাজ নিশ্চিত করাই ছিল আমাদের প্রধান লক্ষ্য।”
গোপালগঞ্জ এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ এহসানুল হক তিনি বলেন, "ঘাঘর-বাশবাড়ীয়া সড়কটি তিন উপজেলার মানুষকে সরাসরি সংযুক্ত করেছে। এর ফলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নতুন গতি এসেছে"। দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান ঘটিয়ে ঘাঘর-বাশবাড়ীয়া সড়ক উন্নয়ন এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। তিন উপজেলার মানুষের মুখে আজ প্রকৃত স্বস্তি ও উন্নয়নের হাসি ফুটেছে।
দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান ঘটিয়ে ঘাঘর-বাঁশবাড়ীয়া সড়ক এখন উন্নয়নের প্রতীক হয়ে উঠেছে। সড়কটির উন্নয়ন শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থার নয়, বরং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান, শিক্ষার সুযোগ এবং জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তিন উপজেলার মানুষের মুখে এখন একটাই কথা — “এ সড়ক আমাদের জীবনে এনেছে প্রকৃত স্বস্তি ও উন্নয়নের হাসি।”
এমএসএম / এমএসএম
শার্শায় ১৫ বাঁওড় দখল কর্মহীন ১ লাখ জেলে
ঠাকুরগাঁওয়ে বিশ্ব ডায়াবেটিক দিবস
কাউনিয়ায় চলন্ত বাসে ওঠার চেষ্টা, পড়ে গিয়ে প্রাণ গেল তাজেলের
পিরোজপুরে চলাচলের পথ বন্ধ: চার গ্রামের হাজারো মানুষের চরম ভোগান্তি
মৌলভীবাজারের একাধিক আসনে মনোনয়ন নিয়ে টানাপোড়েন: বিপাকে পড়তে পারেন বিএনপি প্রার্থীরা
বর্ণাঢ্য বিদায় সংবর্ধনায় সিক্ত মোল্লা আজাদ মেমোরিয়াল সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাহবুবুল হক দুলু
নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
পাঁচবিবির আওলাই ইউনিয়ন বিএনপি নেতাদের সাথে রানা প্রধানের মতবিনিময় সভা
পিরোজপুরে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে অগ্নিসংযোগ
হাতিয়ায় প্রকৌশলী দিদারুল ইসলাম ট্রাস্ট বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
তারেক রহমানের ‘রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা’ বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন চন্দনাইশের এডভোকেট নাজিম উদ্দিন চৌধুরী
বারহাট্টায় ফ্রি আই ও মেডিক্যাল ক্যাম্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ফেব্রুয়ারীর ভোটে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার আহ্বান