ভেড়ামারা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের কেয়ারটেকার ৪৮ মাসেও বেতন পাননি
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনটি বর্তমানে কার্যত অভিভাবকহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এক সময় এই ভবনে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন কর্মসূচি ও অনুষ্ঠান আয়োজন করা হলেও বর্তমানে তদারকির অভাবে এর কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
ভবনটি উদ্বোধনের পর গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ ইং তারিখে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা মমতাজ ভেড়ামারা পৌরসভার ফারাকপুর ১ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আলম বক্স ও বুড়ি ওহিয়া খাতুনের ছেলে শওকত আলীকে সম্পূর্ণ মাস্টার রোল ভিত্তিতে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের রক্ষণাবেক্ষণ কেয়ারটেকার কাম নাইটগার্ড হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন।
দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই শওকত আলী ভবনটিতে সংরক্ষিত মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিবিজড়িত গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস, ইতিহাসভিত্তিক বই-পুস্তক, আসবাবপত্রসহ অন্যান্য মালামাল নিষ্ঠার সঙ্গে আগলে রেখে আসছেন। প্রতিদিন সকাল থেকে ভবনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করেন এবং রাতভর পাহারায় থাকেন—যাতে কোনো প্রকার চুরি বা ক্ষয়ক্ষতি না ঘটে।
কিন্তু বিস্ময়কর ও দুঃখজনক বিষয় হলো, দায়িত্ব গ্রহণের দীর্ঘ ৪৮ মাস পার হলেও তিনি আজ পর্যন্ত কোনো ধরনের বেতন-ভাতা, সরকারি অনুদান কিংবা আর্থিক সহায়তা পাননি। একাধিকবার বিষয়টি নিয়ে ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামের কাছে গেলেও কোনো সুরাহা মেলেনি। বরং তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। এমনকি ভবনের মূল্যবান কাগজপত্র ও মালামাল বুঝে নিতে চাইলে নির্বাহী কর্মকর্তা তা গ্রহণ করতেও অস্বীকৃতি জানান।
কেয়ারটেকার শওকত আলী একজন দিনমজুর শ্রেণির মানুষ। মাস্টার রোলভিত্তিক চাকরি করলেও তিনি জানেন না—কোন দপ্তরে গেলে তার পাওনা আদায় হবে, কে দেবে তার বেতন। অভিযোগ বা আবেদন করবেন কোথায়, তাও তার অজানা। দিশেহারা হয়ে গত ছয় মাস আগে তিনি মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর রেজিস্ট্রি ডাকযোগে বেতন-ভাতার আবেদন করেন। এর অনুলিপি খুলনা বিভাগীয় কমিশনার, কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক ও ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছেও পাঠানো হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত তিনি কোনো উত্তর পাননি।
এ বিষয়ে ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন,
“আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। তবে মুক্তিযোদ্ধারা এখনো ভবনটি আনুষ্ঠানিকভাবে বুঝে নেননি। তারা বুঝে নিলে ভবনের নিচতলার দোকানগুলো ভাড়া দেওয়া হবে। সেই ভাড়ার অর্থ থেকেই কেয়ারটেকারের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হবে।”
প্রশ্ন উঠেছে—ভেড়ামারা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের রক্ষণাবেক্ষণ কেয়ারটেকার কাম নাইটগার্ড শওকত আলী কি আদৌ তার দীর্ঘ ৪৮ মাসের বকেয়া বেতন ফিরে পাবেন? কে দেবে তাকে আশ্বাস, কে নেবে তার দায়?
সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও কর্তৃপক্ষ মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে বিষয়টি বিবেচনা করে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন—এই প্রত্যাশায় দিন কাটাচ্ছেন অসহায় শওকত আলী।
এমএসএম / এমএসএম
তানোরে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন
বিজয়ের চেতনায় মুখর বাঘা: তিন দিনব্যাপী বিজয় মেলার শুভ উদ্বোধন
তারুণ্যের উৎসবে বারি’র প্রযুক্তি প্রদর্শনী এবং কর্মশালা
মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মনিরুল হক চৌধুরী
সিংগাইরে শহীদ আনিস রমিজ ও শরীফের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ : শ্রদ্ধাভরে স্মরণ ও আলোচনা সভা
ধামইরহাটে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৩দিন ব্যাপী বিজয় মেলার উদ্বোধন
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে সকল আন্দোলন সংগ্রামে সাংবাদিকদের ভূমিকা প্রশংসনীয়-ড.সরওয়ার সিদ্দিকী
শ্রীমঙ্গলে এবার হচ্ছে না হারমোনি ফেস্টিভ্যাল
অষ্টগ্রামের কাস্তুলে ইউপি সদস্য জামাল ভূইয়ার গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধনে উত্তাল অষ্টগ্রাম
কলমাকান্দায় ডোবার পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
ভেড়ামারা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের কেয়ারটেকার ৪৮ মাসেও বেতন পাননি
ফল আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহারে দাবি ব্যবসায়ীদের