ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

কর্ণফুলী নদীতে বেপরোয় বালুদস্যুঃ ভাঙ্গনে অস্তিত্ব হারাচ্ছে অজস্র পরিবার!


চট্টগ্রাম ব্যুরো photo চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশিত: ৬-১০-২০২১ দুপুর ২:২

 রাঙ্গুনিয়ার বেতাগীর মির্জাখীল এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে শুক্কুর ও মনছুর। তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে বাপের রেখে যাওয়া বসতিঘরে সুখেই কাটাচ্ছিলেন দিন। হঠাৎ একদিন তাদের থাকার বসতবাড়ি কর্ণফুলী নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। সুখের সংসার যেনো দুমড়ে মুচড়ে যায়, দুঃখের পরশে ব্যথিত হয়, তাদের সংসার জীবন। তারা এখন ভাড়া বাসায় জীবন অতিবাহিত করছেন। বেতাগীর স্থানীয়রা জানান কর্ণফুলী নদীর তীরে ২ একর ফসলি জমি ছিল তার। ফসলি জমির সাথে একটি বিশাল দিঘী ছিল। গত ৩০ বছরে দিঘী ও ফসলি জমি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। নদীর তীরবর্তী এলাকা মানুষের চরম এই নিয়তি মুছতে কর্ণফুলীর রাঙ্গুনিয়া অংশে নদী ভাঙ্গন রোধে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপির সহযোগিতায় কয়েক দফা নদী ভাঙ্গন রোধ প্রকল্প চলমান রয়েছে। এরমধ্যেও উপজেলার  বেতাগী, সরফভাটা, শিলক, মরিয়মনগর এবং পৌর এলাকার বসতবাড়ি ও ফসলি জমি ভেঙ্গে নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে অস্তিত্ব হারিয়েছ অনেকে এবং সংকটে রয়েছ অজস্র পরিবার।
জানা যায়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি ২০০৮ সালে ক্ষমতা আসার পর ইছামতি, শিলক ও কর্ণফুলী নদীর রাঙ্গুনিয়া অংশে ৫০ কোটি টাকার ব্লক বসানো হয়। এছাড়া নদী ভাঙন রোধে তথ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে ব্লক স্থাপনের প্রকল্প নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। ৩৯৮ কোটি টাকার এ প্রকল্পে পানি উন্নয়ন বোর্ড রাঙ্গুনিয়াসহ, বোয়ালখালী ও কাপ্তাই উপজেলা যুক্ত করে ব্লক স্থাপনের কাজ করলে নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করেন। কিন্তু পরবর্তীতে নদী ভাঙন তীব্র হওয়ায় বালু উত্তোলনকেই দায়ী করছেন স্থানীয়রা।  নদী ভাঙ্গন ও পরিবেশ দুষণের জন্য স্থানীয়রা কর্ণফুলী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার কারণে ভাঙ্গন হচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
বেতাগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর কুতুবুল আলম জানান, বেতাগী ইউনিয়নে ৩০০ পরিবারের অধিক রয়েছে নদী ভাঙ্গনের হুমকির মুখে। এছাড়া গোলাম ব্যাপারী জামে মসজিদ ও সড়কের কিছু অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। দরবারে বেতাগী আস্তানা শরীফের শাহজাদা গোলামুর রহমান আশরাফ শাহ জানান, নদী ভাঙ্গন রোধ করতে হলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে। বালু উত্তোলনের কারনেই কর্ণফুলী নদী সর্বনাশা নদীতে পরিণত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (রাঙামাটি) মো, নুরুল ইসলাম জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি প্রকল্পে নদী ড্রেজিং ও নদী রক্ষার কাজ চলমান আছে। সেখান থেকে ভাঙ্গনকবলিত এলাকায় ব্লক বসানো হবে।
 রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দায়িত্বে নিয়োজিত সহকারী কমিশনার (ভুমি) রাজীব চৌধুরী জানান, পরিবেশ ও নদীর তীরবর্তী এলাকার যাতে ক্ষতি না হয়, আইনিভাবে সবকিছু ঠিক রেখে কর্ণফুলী নদীতে ইজারা দেয়া হয়। প্রশাসন অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী ব্যক্তিদের শতাধিক ড্রেজার জব্দ করেছে। বিভিন্ন অংকে অপরাধীদের জরিমানা করা হয়েছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কোনো সুযোগ নেই। এছাড়া আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইফতেখার ইউনুস জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর পেলে ব্যবস্থা নেবো। কিন্তু ইজারা নেওয়া হলে বালু উত্তোলন বন্ধ করার এখতিয়ার আমাদের নেই। এটা জেলা প্রশাসকের কাজ। তবে রাঙ্গুনিয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি প্রকল্পের কাজ চলমান আছে।

এমএসএম / এমএসএম

মধুখালীতে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে র‍্যালি ও আলোচনা সভা

যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিদেশি পিস্তল ও ম্যাগাজিন উদ্ধার

রাণীশংকৈলে ইয়াবা ও গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

লালমনিরহাটে মাদক ব্যবসায়ীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

মোহনগঞ্জ হাসপাতালে সেবা বঞ্চিত হাওরপাড়ের দুই লাখ মানুষ

রায়গঞ্জ প্রেসক্লাবে আল আরাফাহ গ্রুপের অনুদান প্রদান

বগুড়ায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় ৭ জন গ্রেফতার

হাটহাজারীতে জশনে জুলুস পবিত্র ঈদ-এ- মিলাদুন্নবী পালিত

রাজশাহীতে ৬ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ছাতকে ধর্ষন মামলার আসামী রুহুল গ্রেফতার

চিতলমারীতে বিএনপি’র স্থায়ী কার্যালয়ের উদ্বোধন

প্রবাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হাটহাজারীর এক ব্যক্তির মৃত্যু

রৌমারীতে অসাধু সার ডিলারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল