জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও টেকসই উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ

ব্রিটেনের আয়োজনে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে ১৩ দিনব্যাপী ‘কপ-২৬’ নামের জলবায়ু সম্মেলন শুরু হয়েছে। এখন বিশ্বের সকলের দৃষ্টি জাতিসংঘের এ বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের দিকে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ করা ১০টি দেশের তালিকার চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের পরেই রয়েছে ভারত, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইন্দোনেশিয়া, রাশিয়া, ব্রাজিল, জাপান, ইরান ও সৌদি আরব। স্কটল্যান্ডের এ জলবায়ু সম্মেলনে মিলিত হচ্ছেন বিশ্ব নেতারা। এ সম্মেলনে ২০৩০ সালের মধ্যে কোন দেশ কতটা কার্বন নির্গমন কমাবে, সেই পরিকল্পনা সেখানে তুলে ধরার কথা। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারতসহ সবচেয়ে বেশি কার্বন নির্গমনকারী দেশগুলো কী পরিকল্পনা দেয়, সেটা থাকবে সবার মনোযোগের কেন্দ্রে। কিন্তু শিল্পোন্নত দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় আর্থিক সহায়তার যেসব অঙ্গীকার করেছিল, সেগুলো পূরণ না হওয়ায় বিশ্বব্যাপী এক ধরনের আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর অন্যতম বাংলাদেশ। জলবায়ু পরিবর্তন ছাড়াও নদী বিধৌত ব-দ্বীপ বাংলাদেশ আরও প্রাকৃতিক সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে। তবে উষ্ণায়নের ফলে হিমালয়ের হিমবাহ গলতে থাকায় সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং প্রাণঘাতী দুর্যোগ ঝুঁকি আরও বাড়ার শঙ্কা আছে। বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে বন্যা, ঘুর্ণিঝড়, খরা, জলোচ্ছ্বাস, টর্নেডো, ভূমিকম্প, নদী ভাঙন, জলাবদ্ধতা ও পানি বৃদ্ধি এবং মাটির লবণাক্ততাকে প্রধান প্রাকৃতিক বিপদ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
১৯৯৬ থেকে ২০১৫ সাল, এই ২০ বছরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে পর্যায়ক্রমে হন্ডুরাস, মিয়ানমার ও হাইতি৷ চতুর্থ অবস্থানে আছে নিকারাগুয়া, পঞ্চম ফিলিপাইন ও ষষ্ঠ অবস্থানে বাংলাদেশ৷ জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক জাতিসংঘের আন্তঃসরকার প্যানেল (আইপিসিসি) তাদের চতুর্থ মূল্যায়ন প্রতিবেদনে আশঙ্কা জানিয়েছে যে, এই শতাব্দীর মধ্যে বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ এলাকা ডুবে যেতে পারে৷ দেশের ১৯টি জেলার প্রায় ৬০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা ওই ডুবে যাওয়ার ঝুঁকি আছে৷ এ কারণে প্রায় দুই কোটি মানুষ ঘর হারাতে পারে।
অনেক সময় বন্যার কারণে নদী ভাঙন হয়। আবার নদী ভেঙেও লোকালয় প্লাবিত হয়। এর ফলশ্রুতিতে প্রাণহানি, জমি ও সম্পদ বিনষ্ট এবং বহু মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের তিন জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা ও ভোলায় জলবায়ু পরিবর্তন ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলছে। ঘন ঘন দুর্যোগের সম্মুখীন হচ্ছে এই জেলাগুলো। বঙ্গোপসাগরের উপকূল ঘেঁষে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি সংকটকে আরও ঘনীভুত করছে। পানির লবণাক্ততাও একটি প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপকূলের অনেক এলাকা এখন এই সমস্যায় আক্রান্ত।
জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত ঝুঁকিগুলির মধ্যে অন্যতম হলো দাবদাহ, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ও উপকূলীয় এলাকায় বন্যা, যা এরই মধ্যে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে৷ বিভিন্ন দেশের সরকারের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির ২০১৪ সালের মূল্যায়নে এই বিষয়গুলো উঠে আসে৷ ইউরোপ, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার বড় অংশে দাবদাহ ক্রমাগত বাড়ছে৷ একইভাবে, উত্তর অ্যামেরিকা ও ইউরোপে ভারী বৃষ্টিপাতের তীব্রতা বেড়েছে এবং কিছু দিন পরপরই বিশ্বের নানা জায়গায় একই উদাহরণ সৃষ্টি হচ্ছে৷
জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ মোকাবিলার বিষয়টিকে মাথায় রেখে টেকসই উন্নয়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হয়েছে। আর এসব পরিকল্পনা করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের চাহিদা ও প্রয়োজনকে মাথায় রেখে। বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে টেকসই উন্নয়নের বিষয়টিকে মাথায় রেখে সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা তৈরি করেছে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায়ও সরকার নিজস্ব তহবিল ও আন্তর্জাতিক সহায়তা নিয়ে কাজ করছে।
আসলে সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি)' বা টেকসই উন্নয়ন বলতে ঐ ধরনের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডকে বোঝায় যার মাধ্যমে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাও নিশ্চিত হয় আবার প্রকৃতি এবং বাস্তুতন্ত্র বা ইকোসিস্টেমেও কোনো বাজে প্রভাব পড়ে না। ভিন্নভাবে বললে, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা হলো, ভবিষ্যৎ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংক্রান্ত একগুচ্ছ লক্ষ্যমাত্রা।
টেকসই উন্নয়নের ব্যাপারটা প্রথম আলোচনায় আসে ১৯৮৭ সালে, ব্রুন্টল্যান্ড কমিশন এর রিপোর্টে। ২০০০ সালে শুরু হওয়া ‘মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল’ বা এমডিজি অর্জনের সময় শেষ হয় ২০১৫ সালে। এরপর জাতিসংঘ ঘোষণা করে ১৫ বছর মেয়াদি এসডিজি। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ২০১৬ থেকে ২০৩০ মেয়াদে এসডিজির ১৭টি লক্ষ্য ও ১৬৯ টি সহায়ক লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হবে। অন্যদিকে ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে বিশ্ব এক নতুন যুগে পদার্পণ করেছে। ২০১৫ সালে বিশ্ব টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য (এসডিজি), দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসের জন্য সেনদাই-কাঠামো ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্যারিস অ্যাগ্রিমেন্ট পেয়েছে। এখন এই বিষয়গুলোকে কেন্দ্রে রেখে ভবিষ্যতের উন্নয়নের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হচ্ছে।
মূলত জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন ১৯৯২ সালে প্রণীত হয়। ২৩ বছর ধরে অনেক সাধনার পর ২০১৫ সালে প্যারিসে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে সারা বিশ্ব চুক্তিবদ্ধ হয়। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধের লক্ষ্যে ২০১৫ সালে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে জাতিসংঘের নেতৃত্বে ওই জলবায়ু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। অবশ্য এ চুক্তি স্বাক্ষরে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ব্যাপক ভূমিকা ছিল। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন ২০১৭ সালে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে সকলকে চমকে দেয়। তার যুক্তি ছিল, এটি মার্কিন স্বার্থবিরোধী এবং তিনি যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষাকারী একটি পরিবেশ চুক্তি করতে আগ্রহী। তবে, ২০ জানুয়ারি ২০২১ তারিখ ডেমোক্রেটিক দলের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করেই ১৫টি নির্বাহী আদেশে সই করেন যার একটি প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ফিরে আসা এবং এটা একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।
বিশ্বের ১৮৯টি দেশের সমর্থনে করা প্যারিস জলবায়ু চুক্তির মূল লক্ষ্য বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি রোধ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র দেশগুলোকে অর্থসহায়তা দেওয়া। ঐতিহাসিক এই চুক্তিতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির গড় হার দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে বা সম্ভব হলে দেড় ডিগ্রির মধ্যে রাখতে বিশ্বের দেশগুলো একমত হয়। এই চুক্তি অনুযায়ী দেশগুলো বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ধরে রাখতে লক্ষ্য নির্ধারণ করে। তবে এই লক্ষ্য অর্জনে এ পর্যন্ত অগ্রগতি খুব কমই হয়েছে। তবে জাতিসংঘ বলেছে, চলতি শতকে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ধরে রাখতে হলে ২০৩০ সালের মধ্যে বার্ষিক কার্বন নিঃসরণের হার ৭ দশমিক ৬ শতাংশ কমাতে হবে।
১৭টি এসডিজির মধ্যে রয়েছে দারিদ্র্য বিমোচন ও ক্ষুধামুক্তি, খাদ্যনিরাপত্তা ও উন্নত পুষ্টির লক্ষ্য অর্জন, টেকসই কৃষিব্যবস্থা, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন নিশ্চিত করা, সব বয়সের সবার কল্যাণে কাজ করে যাওয়া, অন্তর্ভুক্তি ও সমতাভিত্তিক মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা, আজীবন শিক্ষার সুযোগ তৈরি করা, লিঙ্গসমতা অর্জন, নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি।
কভিড-১৯ মহামারীর কারণে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং এসডিজি বাস্তবায়ন কার্যক্রম কিছুটা বিলম্বিত হতে পারে। ‘টেকসই উন্নয়ন প্রতিবেদন ২০২০’-এ এমন আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দেশগুলোর অগ্রগতি যাচাইয়ে সম্প্রতি প্রকাশ করা হয় এ প্রতিবেদন। এতে বিশ্বের ১৬৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৯তম। আর দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ পঞ্চম স্থানে রয়েছে। তবে ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে। এমডিজির ৮টি লক্ষ্য সফলভাবে পূরণ করলেও প্রকাশিত এই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে এসডিজির ১৭ টি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ৮ টি তেই ‘লাল কার্ড’ পেয়েছে বাংলাদেশ, ২০১৭ তে যার সংখ্যা ছিলো ১০টি।
জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বর্তমান সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ কার্বন বাজেটিং, কার্বনবিহীন উৎপাদন পথ এবং নিম্ন কার্বন শিল্পায়নের মতো বিশেষ পরিকল্পনাসহ জলবায়ু ও দুর্যোগ সৃষ্ট বহুমাত্রিক ঝুঁকির কথা বিবেচনায় রেখে সম্প্রতি যুগান্তকারী ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ গ্রহণ করেছে যা পরবর্তী ১০০ বছরের টেকসই উন্নয়নকে পথ দেখাবে। তাছাড়া, জলবায়ু সংক্রান্ত প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত জাতীয় লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জাতীয় পরিকল্পনা ও টেকসই উন্নয়ন কৌশলে জলবায়ু ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত পদক্ষেপ সন্নিবেশিত করা হয়েছে। জিডিপি’র একভাগেরও বেশি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সরকার ব্যয় করছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষি খাতকে জলবায়ু পরিবর্তন সহনশীল কৃষিখাতে রূপান্তরিত করা হচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে সর্বাপেক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি হলো বাংলাদেশ। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস বন্ধ করতে হলে আমাদেরকে এজেন্ডা-২০৩০ এবং প্যারিস চুক্তি ও সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক সত্যিকারভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। বৃহৎ কার্বন উদগীরণকারী দেশগুলোকে অবশ্যই দ্রুততার সঙ্গে গ্রিন হাউস গ্যাস উদগীরণ বন্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এরই মধ্যে অবকাঠামো, ব্যবসা-বাণিজ্য, কর্মসংস্থানসহ নানা ক্ষেত্রে পড়ছে। বদলে যাচ্ছে জীবনযাত্রা। এ জন্য টেকসই উন্নয়ন দরকার। অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষা ও পরিবেশ সংরক্ষণ নিশ্চিত করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতে কাজ করতে হবে। গ্লাসগো সম্মেলনের অন্যতম প্রধান একটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো জীবাশ্ম জ্বালানির অবসান ঘটানো এবং জলবায়ুর ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর জন্য তহবিল সংগ্রহ ও এর কৌশল নির্ধারণ।
এমএসএম / এমএসএম

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার গণতন্ত্রের জন্য চ্যালেঞ্জ

কোচিং-এর গোলকধাঁধায়, শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে গুরুত্ব নেই

সাংবাদিকের দল সমর্থন গণতন্ত্রের জন্য হুমকি

ইঁদুরের কৃতজ্ঞতা

নাগরিক সেবা ও প্রত্যাশার সংকট: রাষ্ট্রীয় কর্মচারী কোথায়?

টেকসই সমাজ গঠনে সাম্য একটি অপরিহার্য ভিত্তি

শুভ জন্মাষ্টমী : সত্য, সুন্দর ও সাম্য প্রতিষ্ঠায় শান্তির বার্তা

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অপরিহার্য

জনগণের অংশগ্রহণে নির্বাচিতরাই কাশ্মীরের শাসক

স্বৈরশাসকের বিদায়, বিদ্রোহ ও পলায়ন

জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় তারেক রহমান

এপিআই ও এক্সিপিয়েন্ট উৎপাদনে বাংলাদেশের আত্মনির্ভরশীলতা: স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির নবদিগন্ত উন্মোচন

ট্রাম্প-উরসুলার বাণিজ্য চুক্তিতে স্বস্তির হাওয়া
Link Copied