ঢাকা সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫

একটি ডিএনএ টেস্ট ও অবুঝ শিশুর পিতৃপরিচয়


জাহিদুল ইসলাম শিশির photo জাহিদুল ইসলাম শিশির
প্রকাশিত: ৪-১১-২০২১ দুপুর ১:১

এক অবুঝ শিশুর পিতৃ পরিচয় নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়ায় তা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। সন্তানের মায়ের দাবি এ শিশুর পিতা দেশের একজন স্বনামধন্য প্রফেসর। সমাজের যার প্রতিষ্ঠা আছে। নাম, যশ খ্যাতিও রয়েছে। আছে অগাধ অর্থ। অন্য ঘরের সন্তানদেরও রয়েছে সংসার জুড়ে সামাজিক প্রতিষ্ঠা। সেই সাথে রয়েছে প্রফেসরের মাথা ভরা কুটবুদ্ধি। অর্থ, কুটবুদ্ধি আর সমৃদ্ধির অন্ধ আক্রোশের কাছে একেবারেই অসহায় হয়ে পড়েছে অবুঝ ছোট্ট শিশুটি। সে হারাতে বসেছে তার বাবার পরিচয়! সরকারের এজেন্সি, বিজ্ঞ আইনজীবির স্বাবলীল আইনের মারপ্যাচে তৈরী আইনী জটিলতা ও মেধাবি চৌকষতায় তৈরী করা জালজালিয়াতির সুক্ষ্ম ডকুমেন্টসের কঠোর বলয় ভাঙতে হিমশিম খাচ্ছেন এক অসহায় মা। এমনি এক জটিল কাহিনী উঠে এসেছে দৈনিক সকালের সময়ের অনুসন্ধানে।  
ডিএনএ টেস্ট নয় দেশ ছাড়তে চান সালাম: সন্তানের মায়ের দাবি অনুযায়ী প্রফেসর আব্দুস সালামের ডিএনএ টেস্ট করে আদালতে জমা দিতে সময় বেধে দেয় ঢাকার নারী ও শিশু আদালত। সিআইডিকে নির্দেশ দিলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আদালতে সে রিপোর্ট দেয়নি সিআইডি। কেন সিআইডি রিপোর্ট দিতে পারেনি তাও এক রহস্য ঘেরা ব্যাপার। এরই মধ্যে আদালতের  নির্দেশনার সময়ের শেষ প্রান্তে এসে চৌকষ আইনজীবির মাধ্যমে স্বনামধন্য প্রফেসর উচ্চ আদালত থেকে সম্প্রতি ডিএনএ টেস্ট না করাতে ৬ মাসের সময় নিয়ে এসেছেন। সে স্টে অর্ডারই এখন ঘটনার সাথে জড়িত তদন্ত কর্মকর্তা, প্রফেসর আইনজীবিদের মোক্ষম হাতিয়ার! মজার ব্যাপার হচ্ছে উচ্চ আদালতে প্রফেসর নিজে আবেদন না করে উল্লেখিত সন্তানের পিতৃত্ব দাবি করে রিট করেছে কামাল নামের অন্য এক ব্যক্তি। এতেই ৬ মাসের স্টে অর্ডার দিয়েছে উচ্চ আদালত। এখন মা বলছেন সন্তান প্রফেসর সালামের। আর জনৈক কামাল বলছেন সন্তান তার। এ নিয়েই দেখা দিয়েছে জটিলতা। এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, আদালতের এই স্টে অর্ডারের ৬ মাসের মধ্যে দেশ ছেড়ে যাবেন প্রফেসর সালাম। সে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। সংশ্লিষ্ট সূত্র আরো বলছে, কামালকে অর্থ দিয়ে এমন রিট করিয়েছেন প্রফেসর সালাম। এদিকে সন্তানের পিতৃপরিচয়ের স্বীকৃতি দাবি করে মা আসমা দীর্ঘ এক সংগ্রামে নেমেছেন। এ জন্য তাকে হারাতে হয়েছে জীবিকার একমাত্র অবলম্বন চাকুরি। সামাজিক অবজ্ঞা আর পারিবারিক জীবনের সব অপমানের পাশাপাশি আদালতের কঠিন অঞ্চলে হাঁটতে হাঁটতে তিনি এখন অনেকটাই ক্লান্ত। প্রভাবশালী, মেধাবি, অর্থশালী প্রফেসরের প্রলোভনের জালে আটকে তিনি এখন দু’চোখে শুধু অন্ধকার দেখছেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, প্রভাবশালী আইনজীবিসহ সমাজের প্রভাবশালীদের মাধ্যমে শিশুটির মায়ের উপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। সেই সাথে তাকে অফার করা হচ্ছে মোটা অংকের অর্থের। যা নিয়েই তাকে সন্তুষ্ট থাকতে হবে। সমঝোতায় আসতে হবে। না হলে মা ও শিশু সন্তানকে বড় ধরনের কোন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। এমনি এক পরিস্থিতিতে প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে শিশু সন্তানটির পিতৃ পরিচয় কী হবে! (বিস্তারিত আগামী পর্বে)

এমএসএম / এমএসএম

গণপূর্তের ইএম কারখানা বিভাগে নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ইউসুফের দুর্নীতির রাজত্ব

দুর্নীতিতে পিছিয়ে নেই এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলীগন

‘এনবিআর’এ স্বৈরাচার সরকারের পালিয়ে থাকা চক্রের চক্রান্ত

প্রাণ ধ্বংসকারী কোম্পানি প্রাণ

বিসিএসআইআরের ৬ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনায় ভাগ বাটোয়ারা

কোতোয়ালীতে অপহৃত ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

রেজিস্ট্রি অফিসের প্রভাবশালী নকলনবিশের কাণ্ডঃ মন্ত্রীদের প্রভাবে চাঁদাবাজি ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

বিসিক এর নীরিক্ষা কর্মকর্তা সাবধান আলী হতে সাবধান!

কেরানীগঞ্জ উপজেলার রাজাবাড়ী রোডে অবৈধ এলপিজি বটলিং প্লান্ট এর সন্ধান

গডফাদার মুরাদ জং-এর বোন পরিচয়ে দলিল দাতা-গ্রহীতাদের জিম্মি করার অভিযোগ

গাজীপুরের কাশিমপুরে সরকারি খাস জমি ভূমিদস্যুদের দখলে

বগুড়ায় সাবেক অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে 'ফ্যাসিস্ট সিন্ডিকেটের' মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আইন যেন শুধু খাতা কলমে