জবিতে শিক্ষকদের স্বার্থপরিপন্থী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কার্যকর থাকবে আশরাফ-আনোয়ার প্যানেল

আগামী ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (জবিশিস) কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন-২০২২। এই নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় নীল দল (একাংশ)। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, অসাম্প্রদায়িকতা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষকবৃন্দের সংগঠন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীল দলের (একাংশ) সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাকারিয়া মিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক ড. মোস্তফা কামাল স্বাক্ষরিত ইশতেহারটি প্রকাশ করা হয়।
আসন্ন শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীল দল (একাংশ) দক্ষ ও মেধাবী, সহকর্মীদের অধিকার ও সম্মানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও যোগ্য শিক্ষকবৃন্দের সমন্বয়ে প্যানেল দিয়েছে। নীল দলের পক্ষ থেকে অধ্যাপক মো. আশরাফ-উল-আলম-অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে এ প্যানেলের মনোনয়ন দেয়া হয়।
এই প্যানেলের সভাপতি পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক মো. আশরাফ-উল-আলম-আলম, সাধারণ সম্পাদক সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। প্যানেলে সহ-সভাপতি হিসেবে রয়েছেন রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. শামছুন নাহার, কোষাধ্যক্ষ পদে ফার্মেসি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুকুমার বেপারী এবং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জিএম আল-আমীন।
এছাড়াও সদস্য হিসেবে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নূরে আলম আবদুল্লাহ, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নিগার সুলতানা, ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সামাদ, প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম, লোক প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শামীমা আক্তার, ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ তাসফিক, ফিন্যান্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শেখ আলমগীর হোসেন, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. রুমানা তাছমীন, আইন বিভাগের সহকারী মো. মেফতাহুল হাসান, শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রভাষক সানজিদা আক্তার তান্নি।
অধ্যাপক মো. আশরাফ-উল-আলম-অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের প্যানেলের এজেন্ডায় চাকরি স্থায়ীকরণ, গবেষণা, বিশ্ববিদ্যালয় আইনের অসংগতিসমূহ দূরীকরণ, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবীমা নিয়ে মোট ১৭ টি এজেন্ডা ঘোষণা এবং বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করা হয়। এছাড়াও উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় শিক্ষকদের পিএইচডি ছুটি সবেতনে ৫ বছর উন্নীতকরণ, পিএইচডি, এম. ফিল. দ্বিতীয় মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনকারী শিক্ষকদের জন্য ইনক্রিমেন্ট এর ব্যবস্থাকরণ এবং শিক্ষকদের বাৎসরিক গবেষণা ভাতা যৌক্তিক পর্যায়ে উন্নীতকরণ; নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রমের ব্যাঘাত না ঘটিয়ে গুণগত মান বজায় রেখে সান্ধ্যকালীন প্রোগ্রাম পুনঃচালুকরণ; অস্থায়ী পদে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জন্য স্থায়ী পদে পদায়নের ব্যবস্থাকরণ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন ব্যবস্থার যুগোপযোগীকরণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষকের কাজের উপযুক্ত পরিবেশ বজায় রাখার উদ্দ্যোগ গ্রহণ সহ বিভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকবেন বলে জানানো হয়।
নীল দলের এই অংশে সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাকারিয়া মিয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও সাধারণ সম্পাদক ড. মোস্তফা কামাল সহ শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, তরুণ মেধাবী এবং বিভিন্ন দপ্তরে দায়িত্বপ্রাপ্ত অভিজ্ঞ শিক্ষকরা রয়েছেন।
এ অংশ থেকে মনোনীত সভাপতি পদপ্রার্থী অধ্যাপক মো. আশরাফ-উল-আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক মঙ্গলের জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আমাদের সহকর্মীরা এই নির্বাচনে ভোট প্রদান করবে, তাদের মতামতের প্রতি আমাদের আস্থা আছে।
সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা সহকর্মীদের স্বার্থ ও মর্যাদা রক্ষায় বদ্ধপরিকর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে আমরা সচেষ্ট থাকবো। তাদের সমর্থন নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমাবদ্ধতাগুলোকে অতিক্রম করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের জন্য আমরা আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমরা যখন নির্বাচনের মাঠে নেমেছি, পুরো প্যানেলকেই আমরা জয়ী হওয়ার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ভোটারদের কাছে যাচ্ছি, তাঁদের কাছে আমাদের যে নির্বাচনী উদ্দেশ্য, লক্ষ্য আছে সেগুলো তুলে ধরছি। যাতে করে আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকদের সমর্থন নিয়ে এবং তাদের সাথে নিয়েই আমরা বিজয় অর্জন করতে পারি।
জবিশিস কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সুরঞ্জন কুমার দাস বলেন, নির্বাচন ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। প্রাথমিক তালিকা আমরা ইতিমধ্যে প্রকাশ করেছি। শিক্ষক সমিতির কার্যালয়কে নির্বাচন কমিশনের অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে নির্বাহী ৫ টি পদের জন্য ২ জন করে আর সদস্য পদের জন্য ১০ টি পোস্টের বিপরীতে ২২ জন পদপ্রার্থী ছিলো। মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) ছিলো প্রার্থীতা প্রত্যাহার এর শেষ দিন। দুই জন সদস্য প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছে। এখন সদস্য পদের জন্য ২০ জন আর নির্বাহী পদের জন্য প্রতি পদে দুই জন করে প্রার্থী রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত আমার কাছে কারও কোনো অভিযোগ আসেনি। সর্বশেষ সিন্ডিকেট সভা অনুযায়ী যেসব শিক্ষকের নামের তালিকা প্রকাশ হয়েছে, তারাই ভোট দিতে পারবেন।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ২২ মাস পর আগামী ৮ নভেম্বর শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রত্যেক প্যানেল দল মত নির্বিশেষে সাদা দল, নীল দলের উভয় অংশের শিক্ষকদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চাচ্ছেন।
এমএসএম / জামান

মতামতবিহীন মতবিনিময় সভায় পবিপ্রবিতে ইউজিসি চেয়ারম্যান: সাংবাদিকদের প্রশ্নে বাধা

‘সি আর আবরার, আর নেই দরকার’ স্লোগানে শিক্ষকদের পতাকা মিছিল

শাবিপ্রবিতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গোবিপ্রবি উপাচার্যের প্রবন্ধ উপস্থাপন

২০ বছরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: অর্জন, সংকট ও নতুন স্বপ্নে একুশে পদার্পণ

রাকসুর ভিপি-এজিএস শিবিরের, জিএস আধিপত্য বিরোধী ঐক্যের

ভুলত্রুটি ছাড়াই ফল প্রস্তুত হয়েছে, বাড়ানো হয়েছে পরীক্ষকদের সম্মানী

২০২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল

এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ

অপেক্ষার অবসান ১২ লাখ শিক্ষার্থীর, সকাল ১০টায় এইচএসসির ফল

পিআরসহ ৫ দফা দাবিতে ঝিনাইদহে জামায়াতের মানববন্ধন

গোবিপ্রবিতে কর্মকর্তাদের ডিজিটাল অফিস ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষণ শুরু

চাকসুর প্রচারণা শেষ, ভোট আগামীকাল

বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, গোবিপ্রবি শাখার নেতৃত্বে ইমন-জান্নাতি
Link Copied