ঢাকা বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫

বিভক্ত নীলদলে জবির শিক্ষক সমিতির নির্বাচন সোমবার


ইউছুব ওসমান, জবি  photo ইউছুব ওসমান, জবি
প্রকাশিত: ৭-১১-২০২১ রাত ১১:২১
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির (জবিশিস) কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন-২০২২ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সোমবার। দীর্ঘ ২২ মাস পর জবিশিসের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জবি নীলদলের দুটি বিভক্ত প্যানেল এই নির্বাচনে লড়াই করবে। নির্বাচনকে ঘিরে এর মধ্যেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রধান নির্বাচন কমিশন সহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা। এ উপলক্ষে রোববার শেষ দিনের মত প্রচারণা চালিয়েছেন শিক্ষকরা। নির্বাচনকে ঘিরে শিক্ষকদের মাঝে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
 
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন জবিশিসের এবারের নির্বাচনে ভোট দিবেন ৬৮৪ জন শিক্ষক৷ পূর্ব নির্ধারিত সময় ও তারিখ অনুযায়ী ৮ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে  শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ৬টি পদে মোট ৩০ জন পদ প্রত্যাশী শিক্ষক লড়াই করছেন। এদের মধ্যে থেকে ১৫ জন নির্বাচিত হবেন। সদস্যপদে ১০ জন ও বাকি ৫ পদে একজন করে নির্বাচিত হবেন। নির্বাচনে সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ নির্বাহী প্রতিটি পদের বিপরীতে দুই প্যানেল থেকে দুই জন পদপ্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়াও প্রতিটি সদস্য পদের বিপরীতে ২ জন করে মোট ২০ জন শিক্ষক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন।
 
এদিকে শিক্ষক সংগঠনের এই নির্বাচনে নীল দলের (জাকারিয়া-মোস্তফা) প্যানেল থেকে সভাপতি পদে পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক মো. আশরাফুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক পদে সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন নির্বাচন করছেন। নীল দলের (আবুল হোসেন-কামাল হোসেন) প্যানেল থেকে সভাপতি পদে সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক মো. আবুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক পদে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান নির্বাচন করছেন।
 
বরাবরই নীলদলের এ বিভক্তিতেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্যানেল দুইটি সরাসরি সাবেক উপাচার্য পক্ষ ও বিপক্ষ হিসেবে পরিচিত ছিলো।  বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র অধ্যাপকরা মনে করছেন উপাচার্যের পরিবর্তনে রদবদল হতে পারে শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বও।
 
এদিকে সাদা দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার মধ্যেও রয়েছে নীলদলের বিভক্ত যেকোনো এক অংশের নেতৃত্বে আসার সম্ভাবনা। অন্যদিকে বিএনপি ও জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের সদস্য সংখ্যা ১০৯ জন হলেও বর্তমানে এ সংখ্যা প্রায় দেড় শতাধিক ছুঁই ছুঁই বলে জানিয়েছেন সাদা দলের একাধিক সিনিয়র শিক্ষক। অভিযোগ আছে এই সাদা দলের শিক্ষকরা ভাগ হয়ে নীলদলের দুই অংশের মধ্যে মিলে গেছে। এদের ভোটেই নির্বাচনের নেতৃত্ব পালটে যাবে বলছেন সাবেক শিক্ষক সমিতির নেতারা। তবে অভিযোগ মানতে নারাজ নীলদলের উভয় অংশ। একাংশ বলছে তারা আশ্রায়ণে বিশ্বাসী নয়। অপর অংশ বলছে এমন কোনো অভিযোগ আসলে তারা সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় নীলদলের দুই ভাগ নিয়ে একাংশ বলছে সাদা দল নির্বাচনে আসলে তারা এক হওয়ার বিষয়টি ভাববে। অন্যদিকে অপর অংশ বলছে নির্বাচনের পর তারা বিষয়টি নিয়ে ভাববে।
 
নীলদলের (আবুল হোসেন-কামাল হোসেন) প্যানেল থেকে সভাপতি পদপ্রার্থী অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন সকালের সময়কে বলেন, আমরা এই প্রশাসনকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। অতীতের যে ভুলভ্রান্তিগুলো হয়েছে, সেগুলো পূরণ করে এবং সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে সবার সহযোগিতায় এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। সবাই যদি আমাদের সহযোগিতা করেন তাহলে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কালচার আনার চেষ্টা করবো।
 
সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান বলেন, আমরা যে ইস্তেহার দিয়েছি, সেগুলো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়, ছাত্রসমাজ এবং সবারই কল্যাণ হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় যদি আরো ভালোর দিকে যায়, তাহলে ছাত্র হিসেবেও সেটা সবার জন্যই গর্বের হবে। আমি চাই সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের যে নির্বাচনী অঙ্গীকার সেটা আমরা বাস্তবায়ন করতে পারবো এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনের দিকে বিশ্বমানের উন্নীত করা প্রচেষ্টা আমাদের থাকবে ও সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করবো।
 
নীল দলের অপর অংশ (জাকারিয়া-মোস্তফা) প্যানেল থেকে সভাপতি পদপ্রার্থী অধ্যাপক মো. আশরাফ-উল-আলম সকালের সময়কে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক মঙ্গলের জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আমাদের সহকর্মীরা এই নির্বাচনে ভোট প্রদান করবে, তাদের মতামতের প্রতি আমাদের আস্থা আছে।
 
সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা সহকর্মীদের স্বার্থ ও মর্যাদা রক্ষায় বদ্ধপরিকর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে আমরা সচেষ্ট থাকবো। তাদের সমর্থন নিয়ে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমাবদ্ধতাগুলোকে অতিক্রম করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের জন্য আমরা আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
 
নির্বাচনের বিষয়ে সাদা দলের সাধারণ সম্পাদক ড. মো. রইস উদ্দিন বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে অংশ নেই না। তবে আমাদের একটা ভোট ব্যাংক আছে। দক্ষ ও যোগ্য প্রার্থী দেখে ভোট দেয়ার জন্য আমাদের নির্দেশনা থাকবে। তিনি আরো সাদা দলের নিয়মিত সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পরিস্থিতির কারণে সাদা দল নির্বাচন থেকে বিরত আছে।
 
নির্বাচন ও ভোটগ্রহণের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন-২০২২ এর প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সুরঞ্জন কুমার দাস বলেন, আমরা সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। ব্যালট বাক্স আনা হয়েছে, ভোট গ্রহণের জন্য বুথও স্থাপন করা হয়েছে।
 
তিনি আরো বলেন, যেহেতু সবাই এখানে শিক্ষক। সেহেতু নিরাপত্তার জন্য আমরা আলাদা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছিনা। বিএনসিসি এবং রোভার স্কাউট ভোটগ্রহণ চলাকালে শৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করবে।
 
সর্বশেষ ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। গত বছর জানুয়ারিতে শিক্ষক সমিতির বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়।

এমএসএম / এমএসএম

শিক্ষার্থীদের অধিকার ও রেজিস্টারের পদত্যাগের দাবিতে চবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ৷

সামুদ্রিক শৈবাল দিয়ে পুষ্টিকর স্যুপ উদ্ভাবন শেকৃবির গবেষকের

প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ

নজরুলকে নিয়ে যথাযথ গবেষণা হয়নি: কবির মৃত্যুদিবসে জাককানইবি ভিসি

হত্যাচেষ্টা মামলায় ডাকসু ভিপি প্রার্থী জালাল গ্রেপ্তার

জবির সিন্ডিকেটে জকসু সংবিধির প্রস্তাব গৃহীত

রুমমেটকে ছুরিকাঘাত, ডাকসু ভিপি প্রার্থী জালাল হল থেকে বহিষ্কার

ইবিতে নভেম্বরে ইকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

ডিআইইউতে হল থেকে হাতেনাতে গাঁজা উদ্ধার, কিন্তু তদন্তে লাগবে ১২ দিন

কম্বাইন্ড ডিগ্রি দাবিতে অচলাবস্থা, উদ্বেগে বাকৃবির পশুপালন অনুষদের শিক্ষকরা

ইবিতে আ'লীগপন্থী শিক্ষকের বহিষ্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

চবি মেডিকেলে প্যাথলজি বিভাগ উদ্বোধন, করানো যাবে ২১ ধরনের পরীক্ষা

ইবিতে (ইকসু)গঠনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন