বশেমুরবিপ্রবির ক্রপ ক্যাফেটেরিয়ার ইভ্যালুয়েশন অনুষ্ঠিত

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) কৃষি বিভাগের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো পরিচালিত হচ্ছে ‘ক্রপ ক্যাফেটেরিয়া’ কার্যক্রম। বিভাগটির সহকারী অধ্যাপক ড. জিলহাস আহমেদ জুয়েলের নির্দেশনায় বিভাগটির শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে পরিচালিত এ কার্যক্রমের অধীনে গোপালগঞ্জের পরিবেশে মোট ২১ প্রজাতির ধানের ফলনসহ বিভিন্ন বিষয় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী নূর মোহাম্মদ ফারুকী সিয়াম বলেন, আমরা এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে একদিকে যেমন হাতে-কলমে শিখতে পারছি, অপরদিকে এর মাধ্যমে গোপালগঞ্জের কৃষকরাও লাভবান হচ্ছেন। ইতোমধ্যে আমরা বেশ কয়েকটি জাত শনাক্ত করেছি, যেগুলো গোপালগঞ্জে প্রচলিত যেসব ধানের জাত চাষ করা হয় সেগুলোর তুলনায় ফলনের দিক থেকে এগিয়ে। বিষয়গুলো কৃষকদের কাছে তুলে ধরলে তারা হয়তো ভবিষ্যতে এসব ধানের জাত চাষ করে অধিক লাভবান হবেন।
প্রোগ্রামটি প্রসঙ্গে ড. জিলহাস আহমেদ জুয়েল বলেন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক নতুন বিভিন্ন জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে, যেগুলো এখনো আমাদের এই অঞ্চলে খুব একটা প্রচলিত হয়নি। আমাদের একটি লক্ষ্য, এই প্রজাতিগুলো এখানে চাষ করে শিক্ষক-রিসার্চারসহ স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে একটি মূল্যায়ন সংগ্রহ করা এবং এই মূল্যায়নের ওপর নির্ভর করে পরবর্তীতে স্থানীয় কৃষকদের নতুন এসব ধানের জাত চাষ করার বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করা।
এদিকে, ইতোমধ্যে গতকাল (শুক্রবার) ক্রপ ক্যাফেটেরিয়ায় চাষকৃত ধানের প্রজাতিগুলোর ভ্যারাইটি ইভ্যালুয়েশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রোগ্রামে ড. জিলহাস আহমেদ জুয়েল এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- গোপালগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সেকান্দার শেখ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান ড. মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, বশেমুরবিপ্রবি কৃষি বিভাগের সভাপতি এইচএম আনিসুজ্জামান, সহকারী অধ্যাপক ড. গোলাম ফেরদৌস, মো. আরিফুল ইসলাম, প্রভাষক ফারজানা জেরিন আইভিসহ কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় কৃষক ও মিলার ডিলাররা।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান ড. মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা ক্রপ ক্যাফেটেরিয়ার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পেয়েছি এখানে বেশ কয়েকটি জাতের ধানের ফলন বেশ ভালো। এটি স্থানীয় কৃষকদের জন্য সৌভাগ্যের যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগ এ ধরনের একটি ক্রপ ক্যাফেটেরিয়া কার্যক্রম শুরু করেছে। এর মাধ্যমে তারা সহজেই বুঝতে পারবেন কোন জাতের ধান চাষ করলে তারা অধিক লাভবান হবেন। আমি কৃষি বিভাগের এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি এবং প্রত্যাশা করছি তারা এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।
সমগ্র প্রোগ্রামটির বিষয়ে কৃষি বিভাগের চেয়ারম্যান এইচএম আনিসুজ্জামান বলেন, নতুন বিভাগ হওয়ায় আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবুও এ ধরনের একটি কার্যক্রম পরিচালনা করায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আশা করছি আমাদের বিভাগে ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
এমএসএম / জামান

মতামতবিহীন মতবিনিময় সভায় পবিপ্রবিতে ইউজিসি চেয়ারম্যান: সাংবাদিকদের প্রশ্নে বাধা

‘সি আর আবরার, আর নেই দরকার’ স্লোগানে শিক্ষকদের পতাকা মিছিল

শাবিপ্রবিতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গোবিপ্রবি উপাচার্যের প্রবন্ধ উপস্থাপন

২০ বছরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: অর্জন, সংকট ও নতুন স্বপ্নে একুশে পদার্পণ

রাকসুর ভিপি-এজিএস শিবিরের, জিএস আধিপত্য বিরোধী ঐক্যের

ভুলত্রুটি ছাড়াই ফল প্রস্তুত হয়েছে, বাড়ানো হয়েছে পরীক্ষকদের সম্মানী

২০২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল

এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ

অপেক্ষার অবসান ১২ লাখ শিক্ষার্থীর, সকাল ১০টায় এইচএসসির ফল

পিআরসহ ৫ দফা দাবিতে ঝিনাইদহে জামায়াতের মানববন্ধন

গোবিপ্রবিতে কর্মকর্তাদের ডিজিটাল অফিস ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষণ শুরু

চাকসুর প্রচারণা শেষ, ভোট আগামীকাল
