ঢাকা সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫

বশেমুরবিপ্রবিতে আন্দোলন : একজন অস্থায়ী শিক্ষক দিয়েই চলছে বিভাগ!


বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি photo বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৭-১২-২০২১ বিকাল ৫:১২

★একজন অস্থায়ী শিক্ষকে চলছে বিভাগ, নেই স্থায়ী শিক্ষক।
★নেই ক্লাসরুম, ডিজাইন স্টুডিও(ল্যাব), ও পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস।
★অপেক্ষার নেই শেষ, প্রশাসনের ডেডলাইন নেই।

২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি)  
আর্কিটেকচার বিভাগের যাত্রা শুরু হয়। ৫ বছরের কোর্সে বর্তমানে ৭০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছেন। প্রায় তিন বছর পার হলেও এই বিভাগে অস্থায়ী শিক্ষক মাত্র একজন, ক্লাসরুম ও ল্যাব নেই, এমনকি পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস নেই। এরই প্রেক্ষিতে শিক্ষক নিয়োগ ও বিভাগের অবকাঠামোগত উন্নয়নের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে আর্কিটেকচার বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় প্রশাসনিক ভবনের ২য় তলায় অবস্থান নেন তারা। 

এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, স্থায়ী শিক্ষক বিভাগের শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার হলেও আমাদের বিভাগের কোন স্থায়ী শিক্ষক নেই। অস্থায়ী শিক্ষক দ্বারা পাঠদান কোনভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে যার পরিনতি শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ভবিষ্যতের জন্য হুমকিস্বরূপ। ২০১৯ সালের মাঝামাঝিতে এই বিভাগের জন্য ২ জন অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ দিলেও বর্তমানে ১ জন অস্থায়ী  শিক্ষক আছেন। এই ১ জন শিক্ষক এবং কয়েকজন গেস্ট টিচার নিয়ে বিভাগের দুই ব্যাচ চলমান। এছাড়া ২য় বর্ষের সেশনাল কোর কোর্স পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাবে বন্ধ রয়েছে। 

তারা আরও বলেন, আমাদের শিক্ষা পরবর্তী আর্কিটেক্ট হিসাবে পরিচয়ের জন্যে দরকার ইন্সটিটিউট অফ আর্কিটেক্টস বাংলাদেশ (IAB) এর এক্রিডেশন। IAB এর মানদন্ড অনুযায়ী একটি ডিজাইন স্টুডিও তে ২০ জন শিক্ষার্থীর জন্য দরকার ২ জন শিক্ষক সাথে স্টুডিও তে প্রয়োজন ড্রাফটিং টেবিল সহ পর্যাপ্ত জায়গা যা আমাদের নেই। 

ডিজাইন স্টুডিও( ল্যাব) ব্যাপারে তারা বলেন, সেমিস্টারে সর্বমোট ক্রেডিটের ৫০-৬০ ভাগ ক্রেডিট আমাদের ডিজাইন ক্লাস। একই সাথে ক্রেডিট ঘন্টাও বেশি, রুটিন সপ্তাহে আমাদের প্রতিদিনই সকাল ৯-৫ টা ডিজাইন ক্লাস করে বাকি সময় ডিজাইন স্টুডিওতে অবস্থান করে ডিজাইন এবং মডেলের কাজ করতে হয়। ২য় ব্যাচের শিক্ষার্থীদের জন্য কোন ডিজাইন স্টুডিও এবং ক্লাস রুমের ব্যাবস্থা নেই। 

প্রশাসনের গড়িমসি নিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা দুই ব্যাচের শিক্ষার্থীরা প্রথম থেকেই প্রশাসনকে আমাদের বিভাগে দ্রুত স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের জন্যে অবগত করেছিলাম। ২০২০ সালের ৩ নভেম্বর এবং ২০২১ সালের ৭ই ফেব্রুয়ারিতে দুই ব্যাচের সকল শিক্ষার্থীসহ করোনা মহামারীতেও গোপালগঞ্জ এসে প্রশাসনের কাছে দরখাস্ত করেছিলাম  কিন্তু প্রতিবার আমাদের মিথ্যা আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। প্রতিবার আমাদের গেস্ট টিচার দিয়ে ক্লাস শুরু করে অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে। গত ৮ সেপ্টেম্বর  স্থায়ী শিক্ষকের নিয়োগের দাবি জানালে 
প্রশাসন শিক্ষার্থীদের সার্বিক পরিস্থিতির মুখে পরে শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। এরপর ২ মাস পার হলেও এখনো শিক্ষক নিয়োগ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের কোন অগ্রগতি নেই৷ 

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও উপাচার্যের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা ব্যস্ততা দেখিয়ে কথা বলেন নি।

এমএসএম / জামান

মাংসের খাটিয়ায় কুকুর, ছবি তুলতেই সাংবাদিককে হুমকি

ইবি'র ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

ঢাবির একাডেমিক কার্যক্রম ২ সপ্তাহ বন্ধ, হল ত্যাগের নির্দেশ

ভিকারুননিসায় রোববারের প্রথম-নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত

ইবি'র ৪৭তম জন্মিদনে নানা কর্মসূচি গ্রহণ

জকসু নিয়ে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য পদপ্রার্থী অবন্তির ভাবনা

জকসু নিয়ে কেন্দ্রীয় পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক পদপ্রার্থী ইমনের ভাবনা

ছাত্রদলের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত ও ছিন্নমূল শিশুদের সাপ্তাহিক স্কুল উদ্বোধন

শেকৃবিতে নিয়োগে আওয়ামী পুনর্বাসন, এলাকাপ্রীতি ও অর্থ লেনদেনের অভিযোগ

উত্তরায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন

জকসুতে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচন করবে সাংবাদিক সম্পদ

দীর্ঘ তিন যুগ পর জাবিতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের মিছিল

জকসু নির্বাচন: ছাত্রশিবিরের ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা