ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে কলাই ডাল ও আমন ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিতে দিশেহারা কৃষকরা। বিরামহীন বৃষ্টির কারণে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন কৃষকরা। জমিতে পানি জমে থাকার কারণে একদিকে যেমন আমন ধানে ন্যায্য দাম নিয়ে শংকার মধ্যে আছেন কৃষক, অপরদিকে খেসারি ডাল (কলাই ডাল) চাষিদের ক্ষেত ডুবে যাওয়ার কারণে গাছ পচে যাচ্ছে।
মৌসুমের শেষ সময়ে এসে এমন দুর্যোগে হতাশ হয়ে পড়ছেন কৃষকরা তেমনই একজন খতিগ্রস্থ কৃষক মোঃ আলাউদ্দীন খাঁন, গলাচিপা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের উত্তর হরিদেবপুর গ্রামের ৯ নং ওয়ার্ডে তার বাড়ি তিনি জানান আমি ৪ একর জমিতে আমন ধান চাষ করেছি এতে আমার ১৫০.০০০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে । ধান প্রায় অর্ধপক্ক হয়ে এসেছে এরই মধ্যে ঘুর্নিঝর জাওয়াদ আমার সব শেষ করে দিয়েছে । উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নেই ফসলের ক্ষয়ক্ষতির কারনে দিশেহারায় রয়েছে ভুক্তভোগী কৃষকরা। দেখা গেছে, অনেক কৃষকই ওই কৃষির ওপর নির্ভর করে জীবন যাপন করে।
এ বিষয়ে উপজেলার কৃষি অধিদপ্তরের সুত্রে থেকে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৪২ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। অপর দিকে খেসাড়ি ডাল প্রাথমিক হিসাব মতে চাষ করা হয়েছে কিছু কিছু জমিতে । তবে, সরজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকাসহ চরাঞ্চল ও গ্রামঞ্চলে ঘুরে দেখা গেছে, খেত জুড়ে এখন সবুজ ও সোনালী রংয়ের আমন ধানে ভরা। প্রায় ৯০ ভাগ জমির ধান কাটার উপযুক্ত হয়েছে। কিন্তু এমন সময় ঘুর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে বিরামহীন বৃষ্টি হওয়ার কারণে কৃষকরা ধান কাটতে পারছেন না। অনেক জমির ধান নুয়ে পড়েছে। অপর দিকে খেসাড়ি ডালের খেতে পানি জমে থাকার কারনে অনেক গাছ পচে যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোসা. আরজু আক্তার বলেন, আমন ধান ৯০ ভাগেরও বেশি পেকে গেছে। উৎপাদনে আর ক্ষতি হওয়ার কোন আশংকা নাই। মূল সমস্যা হবে কৃষকদের ন্যায্য মূল্য পাওয়া নিয়ে। কারন খেত থেকে ধান কাটা শুরু হয়ে মাড়াই পর্যন্ত সকল স্থানে এখন পানি। এ অবস্থায় ধান ভেজা ছাড়া কোন উপায় নাই। শুকনো ধানের যে সোনালী রং থাকে ভেজা ধানে সে রং টা থাকে না। অপর দিকে ভেজা ধান চাতাল মালিকদের কাছে চাহিদা কম থাকায় বাজার দরও কম পাওয়া যায়।
এদিকে যে সকল কৃষক খেসারি ডাল চাষ করেছেন পানি কমলে তাদের পূনরায় চাষ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তা মোসা. আরজু আক্তার।
এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাওয়াদের প্রভাবে কৃষকদের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা আমরা পর্যবেক্ষণ করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা হবে এবং সরকারি প্রণোদনার বাজেট এলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে থাকব।
এমএসএম / জামান

সিডিএ'র কাজ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের বাধার মুখে ঠিকাদার

পটুয়াখালীতে কিন্ডারগার্ডেন স্কুলের শত শত কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ

বেনাপোল বন্দরে পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞায় বাণিজ্যে স্থবিরতা

রাণীনগরে বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

অবসরে যাওয়া পুলিশ কনস্টেবলদের বিদায় সংবর্ধনা

সম্প্রীতি বিনিষ্টকারীদের ছাড় নেই: গোপালগঞ্জে সম্মেলনে ডিসি

পল্লী বিদ্যুতের খুঁটির টানায় শক লেগে ৫ শিশু হাসপাতালে

আমন চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে হাটহাজারীর কৃষকরা

রৌমারীতে আশ্রয়ণ কেন্দ্রের ঘর সংস্কারের অভাবে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে

ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা মৃত্যুকে ভয় পায় না বলেই আন্দোলন মুছতে পারেনি : এটিএম আজহারুল

বোদায় ১৩৫০ টাকার সার ১৮০০ টাকায় বিক্রি, যৌথ বাহিনীর অভিযান

সমাজ উন্নয়নে শিক্ষার বিকল্প নেই : জহুরুল আলম

নেত্রকোনায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মোহাম্মদ বশির
Link Copied