মাদারীপুরে আসামি শনাক্তকারীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে দুই পা ভেঙে দিয়েছে আসামিরা
মাদারীপুরে পা কাটা মামলার আসামি শনাক্তকারী লিয়াকত আলী খানকে হাতুড়িপেটা করে দুই পা ভেঙে দিয়েছে অসামিপক্ষ। আজ মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে কালকিনি থানা পুলিশের সাথে কালাই সরদারের চর এলাকার মিরাজ খানের বাম পা কাটা মামলার আসামিদের ট্রলারে করে ধাওয়া করে পুলিশ। পরক্ষণে আসামি শনাক্তকারী লিয়াকত আলী খানকে পুলিশ চরের মধ্যে নামিয়ে দিয়ে গেলে আসামিপক্ষ চারদিক বেড় দিয়ে আপাং কাজির লোকেরা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে দুই পা ভেঙে দেয় বলে জানান লিয়াকত আলী খান।
এলাকা, ভুক্তভোগী পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর এলাকার কালাই সরদারের চর গ্রামের ভুলু খানের ছেলে মিরাজ খানের সম্প্রতি বাম পা কেটে নিয়ে যায় স্থানীয় প্রভাবশালী আপাং কাজীর লোকজন। এ ঘটনায় মিরাজ খানের ভাই কালাম খান বাদি হয়ে কালকিনি থানায় আপাং কাজীসহ ৩৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার আসামীদের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরে থানা পুলিশ মামলার আসামিদের গ্রেফতার করার জন্য ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই পা কাটা মামলার বাদির চাচা একই এলাকার তিতাই খানের ছেলে লিয়াকত খানের দুই পা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ভেঙে দিয়েছে আসামিরা। পরে স্থানীয় লোকজন আহত কৃষককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।
পা কাটা মামলার বাদী ও আহত লিয়াকত খানের ভাতিজা কালাম খান বলেন, আমার ভাই মিরাজ খানের পা কেটে নেয় আপাং কাজীর লোকজনে। তাই আমি আপাং কাজীসহ ৩৫ জনকে আসামি করে কালকিনি থানায় একটি মামলা করি এবং আদালত আসামিদের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পুনরায় আমার চাচা লিয়াকত খানের দুই পা ভেঙে দিয়েছে আসামিরা।
এ ব্যাপারে ওয়ারেন্ট তামিল দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার এসআই কাঞ্চন মিয়া বলেন, ওয়ারেন্টের আসামি ধরতে গিয়ে আসামি না পেয়ে চলে আসি। পরক্ষণে শুনতে পাই লিয়াকত আলীকে কারা মারধর করেছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএসএম / জামান