ঢাকা বুধবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৫

মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে জবির সামনের রাস্তা


ইউছুব ওসমান, জবি  photo ইউছুব ওসমান, জবি
প্রকাশিত: ২০-১২-২০২১ দুপুর ২:২০

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রধান ফটকের সামনের রাস্তা দিনে দিনে মরণফাঁদে পরিণত হয়ে উঠছে। রাস্তায় কোনো গতিরোধক না থাকায় বেপরোয়াভাবে চালানো হচ্ছে যানবাহন। এতে প্রতিনিয়তই দূর্ঘটনার কবলে পড়ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সাধারণ পথচারীরা। নেই কোনো ফুটওভার ব্রিজও। এতে দূর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়েই রাস্তা পার হতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। ঘটছে দূর্ঘটনাও।

সরেজমিনে দেখা যায়, ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে মিলিত হয়েছে বেশ কয়েকটি রাস্তা। লক্ষ্মীবাজার, গুলিস্তান ও সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালসহ শ্যামবাজার ও ইসলামপুরমুখী গাড়ি চলাচল করে এই রাস্তা দিয়েই। বাহাদুর শাহ পরিবহনসহ অন্যান্য গাড়ির বেপরোয়া গতির কারণে প্রতিনিয়তই ঘটছে দূর্ঘটনা। কিছুদিন আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সহকারী প্রক্টরকে ধাক্কা দেয় বাহাদুর শাহ পরিবহনের একটি বাস। এতে তাঁরা দু'জন বেঁচে গেলেও গুরুতর আহত হোন এক রিকশাচালক। কোনোরকম গতিরোধক না থাকায় বেপরোয়াভাবেই চালানো হচ্ছে যানবাহন। এখনও পর্যন্ত তৈরি হয়নি কোন ফুটওভার ব্রিজ। এমনকি নেয়া হয়নি বিকল্প কোনো ব্যবস্থাও।

এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি দিনের অধিকাংশ সময়ই থাকে যানজটে। তাছাড়াও যানজট এর অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা যায় বাহাদুর শাহ পরিবহন নামের মিনিবাস, রিকশা ও সিএনজি বিভিন্ন ধরনের টং দোকান রাস্তার দুইপাশ দখল করে  রাখায় যানজট তীব্র আকার ধারণ করে প্রতিনিয়ত।তাছাড়াও মূল ফটকের পাশেই ভিক্টর ক্লাসিক, সাভার পরিবহন, তানজিল, বিহঙ্গ, আজমেরী গ্লোরী, সদরঘাট ৭ নাম্বার বাস যাত্রী উঠানো-নামানোর কাজ করায় এর মাত্রা তীব্র আকার ধারণ করে। এতে রাস্তা পারাপারে দুর্ভোগ পোহাতে হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।

শিক্ষার্থীরা জানান, রাস্তা পার হওয়ার সময় তাদের মধ্যে সবসময় ভয় ও আতংক কাজ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেইটের সামনে হলেও এখানে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো হয়। স্পিড ব্রেকার না থাকায় গাড়িচালকরা কোনোরকম পরোয়াও করেনা। হুট করে এসে ধাক্কা মেরে দেয়। প্রায় প্রতিদিনই এমন দূর্ঘটনার কবলে পড়ে আহত হচ্ছেন অনেক শিক্ষার্থী।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল সকালের সময়কে বলেন, স্পিড ব্রেকার বসানোর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিটি কর্পোরেশনকে একাধিকবার চিঠি দেয়া হয়েছে। কাউন্সিলর আব্দুর রহমান মিয়াজির সাথেও কথা বলেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান হয়নি।

প্রক্টর আরো বলেন, ক্যাম্পাসের সামনে বাস স্ট্যান্ডের এখানে কোনো অনুমতি নেই। সেটা সরানোর জন্যও আমরা কথা বলেছি। কিছুদিন আগেও পুলিশের ঊর্ধ্বতন  কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি, যাতে এটি সরিয়ে দেয়। বাহাদুর শাহ পরিবহনেরও কোনো অনুমতি নেই। এটার জন্যও কথা বলেছি।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আব্দুর রহমান মিয়াজী বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোনো চিঠি দেয়া হয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই। আমাকে কোনো অনুলিপি দেয়া হয়নি।' বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর তাঁর সাথে কথা বলেছেন জানালে তিনি তা অস্বীকার করেন।

কাউন্সিলর আরো বলেন, ওয়াশার কাজ চলছে। সেটা শেষ হলে আমরা স্পিড ব্রেকার বসানোর কাজ শুরু করবো।

বাসস্ট্যান্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওখানে বাসস্ট্যান্ডের কোনো অনুমোদন নেই। রায়সাহেব বাজার মোড় পর্যন্ত ইউটার্নের অনুমোদন আছে শুধু। বাহাদুর শাহ পরিবহন সরানোর জন্য আমি অনেক চেষ্টা করেছি। তাদের সাথে ধাওয়া-পালটা-ধাওয়াও হয়েছে। কিন্তু তাদেরকে সরানো যায়নি।

এখানে সিটি কর্পোরেশন ব্যর্থ কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাসের ব্যাপারগুলো তো বিআরটিএ দেখে। বাসস্ট্যান্ডের বিষয় সিটি কর্পোরেশনের হলেও অনেক চেষ্টা করেও আমরা তা করতে পারিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, দ্রুতই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে চিঠি হাতে পৌঁছিয়ে দেয়া হবে। প্রক্টরকে বলে দেবো উনি আবার পুলিশের সাথে কথা বলবেন।

এমএসএম / এমএসএম

চাকসুর প্রচারণা শেষ, ভোট আগামীকাল

বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, গোবিপ্রবি শাখার নেতৃত্বে ইমন-জান্নাতি

জাককানইবি ছাত্রদলনেতা মামুনের নেতৃত্বে ডাইনিং-এ ভাত ফ্রি করার দাবিতে আবেদন

এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১৬ অক্টোবর

শিক্ষা ভবন অভিমুখে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা আজ

জবি তরুণ কলাম লেখক ফোরামের দায়িত্বে ইমন-সোহান

নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যের শিকার শিক্ষার্থীরা, মাত্র ৮ শতাংশ শিক্ষক জবিয়ান

ইউনিসেফের ‘জেনইউ’ প্রোগ্রামে যুক্ত হচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

খাতা দেখা শেষ, ১৮ অক্টোবরের আগেই এইচএসসির ফল

মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা ১২ ডিসেম্বর

মাতামুহুরি নদীতে গোসলে নেমে সাবেক চবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

রাজনৈতিক দুষ্টচক্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখলে নিয়েছে: শিক্ষা উপদেষ্টা

শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এনটিআরসিএর বড় সিদ্ধান্ত