মান্দা থানা গ্যারেজে ফেনসিডিল বোতলের স্তূপ
থানা মানেই নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে আবদ্ধ, যেখানে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভবনা একেবারেই নেই বললেই চলে। প্রতিটি থানার নিরাপত্তা জোরদার করতে বর্তমানে সিসি ক্যামেরায় আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। এত নিরাপত্তার মধ্যেও নওগাঁর মান্দা থানা চত্বরে খোলা ফেনসিডিলের বোতলের স্তূপ দেখা গেছে। সেখানে ফেনসিডিলের বোতল পড়ে থাকায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, থানা চত্বরের ভেতরে পশ্চিম পাশে ওসির বাসভবন। আর বাসভবনের গা ঘেঁষে পূর্ব পার্শ্বে মোটরসাইকেলের গ্যারেজের কোনায় ভারতীয় নিষিদ্ধ ফেনসিডিলের খোলা বোতলের স্তূপ দেখা যায়। কে বা কারা থানা চত্বরের ভেতরে এই ফেনসিডিল সেবন করে স্তূপ করে রেখেছে। সিসি নিয়ন্ত্রিত থানার ভেতরে কিভাবে এই ফেনসিডিলে বোতলগুলো জমে আছে তা নিয়ে থানায় সেবা নিতে আসা সচেতন মহলের মাঝে প্রশ্ন উঠেছে? আসলে এগুলো কারা সেবন করে, কোথা থেকে আসে? পুলিশ মাদকসেবীদের ধরে জেলহাজতে প্রেরণ করে, অথচ সেই থানা চত্বরের ভেতরে অসংখ্য পরিত্যক্ত ফেনসিডিলের বোতল স্তূপ হয়ে পড়ে আছে। তবে গ্যারেজে কোনো সিসি ক্যামেরা না থাকায় নিরাপত্তা মনে করে নিয়মিত সেখানে ফেনসিডিল সেবন করা হয়ে থাকতে পারে। যদি থানা চত্বরে এমন হয় তাহলে বাইরের পরিবেশ কেমন হবে- এমন প্রশ্ন সচেতনদের।
সচেতন মহল বলছে, কোনোভাবেই এসব অভিযোগের দায় এড়াতে পারেন না ওসি। যেখানে সরকার মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। এছাড়াও নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষে থেকে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা কথা শুনেছি। সেখানে থানার ভেতরে ফেনসিডিলের বোতলগুলো স্তূপ হয়ে পড়ে থাকতে পারে?
নওগাঁ মাদক নির্মূল কমিটির সভাপতি হাফিজুর রহমান বলেন, আমরা মাদক নির্মূল নিয়ে আন্দোলন করে আসছি। সামাজিক আন্দোলন করি সমাজকে মাদকমুক্ত রাখার জন্য। শুধু থানা চত্বরই নয়, সব জায়গা মাদকমুক্ত রাখতে হবে। মাদকমুক্ত জেলা হিসেবে আমরা দেখতে চাই। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অনেক প্রচার-প্রচারণাও করেছি। এতে অনেক কাজ হয়েছে। সম্পূর্ণ সফল হইনি। সবাই আন্তরিকভাবে এগিয়ে না আসা পর্যন্ত এটা সফল হবে না।
এ ব্যাপারে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, বিষয়টি দেখছি।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মান্দা সার্কেল) মতিয়ার রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। দেখতে হবে।
এমএসএম / জামান