জেল খাটে বাহকরা
চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক স্বর্ণ চোরাকারবারি সিন্ডিকেট ধরাছোঁয়ার বাইরে
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ও ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ঘিরে গড়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক স্বর্ণ চোরাকারবারির বিশাল একটি সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেটটি প্রশাসনের এক শ্রেণির কর্তা ব্যক্তিদের মাসোহারা দিয়ে এ ব্যবসা গড়ে তুলেছে। হাতে নাতে স্বর্ণের বারসহ ধরা পড়লেও গডফাদাররা বারবার আড়ালে থেকে যায়, এসব মামলায় তদন্ত প্রতিবেদনও গডফাদারদের ইশারায় হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। স্বর্ণের বাহকেরা ধরা পড়লে আইনী সহায়তা এবং তাদের পরিবারের দায়িত্ব গডফাদাররা পালন করে থাকেন বলে সূত্রে জানায়। সম্প্রতি ২৬টি স্বর্ণের বারসহ গ্রেফতার হওয়া সোহেলের পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছে স্বর্ণ চোরকারবারির সিন্ডিকেটটি।
জানা গেছে, গত ২৩ নভেম্বর শাহ আমানত বিমানবন্দরে চার কেজি সোনার ২৬টি বারসহ মো. সোহেল নামের এক ব্যক্তিকে আটকের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। ওই দিন বিমানবন্দরে দায়িত্বরত একটি গোয়েন্দা সংস্থা সোহেলকে আটক করে। বিজি ১৪৮ নম্বর ফ্লাইটটি সকালে অবতরণের পর যাত্রীরা বেল্টে যান লাগেজ সংগ্রহ করতে। সোহেল সেখানে সন্দেহজনকভাবে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছিলেন। এতে সন্দেহ হলে গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীরা তাঁকে চ্যালেঞ্জ করে ২৬টি সোনার বার জব্দ করে। এর পর কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেলের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শরীফুর রহমান মামলা করেন।
সোহেলের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায়। সোহেলকে গ্রেফতার হলেও নগরীর রিয়াজুদ্দিন বাজারের মোবাইলের দোকানের কর্মচারী মিজানুর রহমানও সাথে ছিলেন। মিজানের বাড়ি লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি খলিফা পাড়ার মৃত আবু তাহেরের পুত্র তার বিরুদ্ধে চোরাকারারির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে একাধিক মামলা এবং জেলও কেটেছে। শফিকের মোবাইলের দোকানে চাকুরী করলেও মিজান গড়ে তুলে নিজস্ব একটি সিন্ডিকেট মিজানের সিন্ডিকেটে রয়েছে গিয়াস ও আরিফহ ৭ জনের একটি চক্র।
স্বর্ণ চোরাকারবারিরা অল্প সময়ের মধ্যে শত কোটি টাকার মালিক অনেকে বিলাসবহুল একাধিক বাড়ি গাড়ি সহায় সম্পত্তির মালিক বনে গেছে। তাদের আয়ের উৎস কি বিষয়টি তদন্তে নামলেও থলের বিড়াল বের হয়ে আসবে বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানানয় জিজ্ঞাসাবাদে স্বর্ণের বাহক সোহেল স্বীকার করেছে দুবাই থেকে সোনার বারগুলো মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর এলাকার এস এম ইস্রাফিলের ছেলে হারুন উর রশিদের। হারুন পর্যায়ক্রমে দুবাই ও মালয়েশিয়ায় অবস্থান নিয়ে সোনা পাচার করেন। বর্তমানে হারুন দুবাই অবস্থান করছেন। সোহেলকে হারুন সোনার বার ও আইফোন দেন চট্টগ্রামে নিয়ে আসতে। এ জন্য সোহেল পেয়েছেন বিমানের টিকিটসহ ৪০ হাজার টাকা।
চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে নির্বিঘ্নে চালানটি বের করে দিতে পাচারকারীরা আঁতাত করে কাস্টমসের সিপাহি রনির সঙ্গে। রনি তাঁর সহকর্মী হানিফকে দিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ‘ম্যানেজ’ করার চুক্তি ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চালানটি বিমান বন্দরে জব্দ করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে রনি এই চক্রটিকে সহযোগিতা করে আসছিলেন।
বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে সোনার চালানটি যাওয়ার কথা ছিল চট্টগ্রাম রিয়াজউদ্দিন বাজারের মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী শফিকুর রহমানের কাছে। সেখানকার ব্যবসায়ীরা তাঁকে শীর্ষ সোনা পাচারকারী হিসেবে জানেন। শফিকের সিন্ডিকেটে রয়েছে মিজানুর রহমান প্রকাশ জাস্টিন, আরিফ, করিম, মনজুর আলম, ইয়াছিন কবিরসহ বিশাল একটি সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেটটি মোবাইলের ব্যবসার আড়ালে অবৈধভবে স্বর্ণের ব্যবসা করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে চোরাকারবারি ও স্বর্ণ চোরচালানসহ বিভিন্ন অভিযোগে অনেকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
সিন্ডিকেটের সদস্যরা অনেকে অল্প সময়ের মধ্যে শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক শফিক। শফিক সাতকানিয়ার দক্ষণ কাঞ্চনায় ৮ কোটি টাকা ব্যায়ে বিলাসবহুল বাড়ি নির্মান করেছে। শফিক আহমদ উপজেলার দক্ষিণ কাঞ্চণা এলাকার আদর মিয়ার পত্র।৫/৭ বছর আগে অর্থের অভাবে সংসার চালাতে পারিনি অথচ রহস্যজবকভাবে হঠা’ কয়েক শত কোটি টাকার মালিক হয়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে।
দুবাই থেকে হারুন ও মোরশেদ চক্র সোনার বার পাঠানোর আগে চট্টগ্রামে শফিক চক্র কাস্টমসের সিপাহি রনি ও হানিফের সঙ্গে চুক্তি ছিল। ওই দিন শফিক তাঁর সহযোগী মিজানুর রহমান ও আরিফসহ বিমানবন্দরের বাইরে অবস্থান করছিলেন। ভেতরে সোহেল আটক হওয়ার খবরে সটকে পড়েন তিনি। পরে সোহেলকে রিমান্ডে নিলে চক্রের সদস্যদের পরিচয় শনাক্ত করতে যেন তাঁকে চাপ দেওয়া না হয় সে জন্য পতেঙ্গা থানা পুলিশকে ২০ লাখ টাকা ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠে মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডির কাছে দায়িত্ব দেয়া হয়। বর্তমান স্বর্ণের চালানের বাহক মোহাম্মদ সোহেল গ্রেফতার হওয়ার পর তার পরিবার এবং তাকে আইনী সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন শফিক সিন্ডিকেট। শফিকের ব্যবসায় যারা বিরোধীতা করে তাদেরকে টাকার বিনিময়ে প্রশাসনের এক শ্রেণির কর্তা ব্যক্তি এবং রিমান্ডের নামে মূল ঘটনাকে আড়াল করতে শফিকের প্রতিপক্ষকে ফাঁসিয়ে দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে শফিকের লোকজন বাইর থেকে প্রশাসনের লোকজনের সাথে যোগাযোগ করে বাস্তবায়ন করে।
রেয়াজুদ্দিনবাজারের শফিকের মোবাইল দোকানের কর্মচারী ও সিন্ডিকেটের সদস্য মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে আটককৃত সোহেলের পরিবারকে আইনী সহায়তা এবং আর্থিক সহযোগিতা করার বিষয়ে মিজানুর রহমান তার এ মোবাইল থেকে সোহেলের পরিবারের সাথে যোগাযোগ হয়নি বলে দাবি করেন যাবতীয় তথ্য প্রমান হাতে রয়েছে বলে জানালে আর কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি, তবে শফিকের সাথে কাজ করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর কাস্টমসের উপকমিশনার সুমন চাকমা বলেন, আমাদের অফিসের কেউ স্বর্ণ পাচারের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি সিপাহি রনি ও হানিফ নামের দুই জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে এ চক্রটি বিশাল আমার তথ্যের ভিত্তিতে উদ্ধার করার পর তদন্তে জড়িত মূল আসামিদের নাম আসে না যার কারণে অপরাধীরা উৎসাহিত হচ্ছে বলে তিনি জানান। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিআইডির অফিসার ইনচার্জ ফজলুল কাদের বলেন, মামলাটি তদন্তাধিন রয়েছে, তদেন্ত জড়িত থাকার অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে বলে তিনি জানান।
জামান / জামান
রায়গঞ্জে পুকুরে শিশুর লাশ, পরিচয়হীন মরদেহ ঘিরে রহস্য
গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট সড়কে ট্রাকের ধাক্কায় আশ্রয়কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত, নারী আহত
যশোরে ডিবির অভিযানে ৫টি পিস্তল-৫০ রাউন্ড গুলি ও ৪.৫ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার-১
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় ভূরুঙ্গামারীতে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ছাদ থেকে পানির গেট বাল্ব চুরি, পানি সরবরাহ বন্ধ
কোনাবাড়িতে ঝুট গোডাউনে আবারও আগুন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪: খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় দিনব্যাপী দোয়া, আয়োজনে কবির ভুঁইয়া
চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ পার্কিং ও ফুটপাত দখলমুক্ত করতে জেলা প্রশাসকের উচ্ছেদ অভিযান
বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্থ্যতা কামনায় শালিখায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় গাজীপুর প্রেসক্লাবে দোয়া মাহফিল
খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় নওগাঁয় কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল
লাকসামে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল