তরুণীর প্রেমের ফাঁদে চট্টগ্রামের এক আইনজীবী!

জজ কোর্টের এক আইনজীবী তরুনীর প্রেমের ফাঁদে পড়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই তরুনীকে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় আইনজীবীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও ধর্ষনের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে আইনজীবিকে ।
বিষয়টি নিরপেক্ষ তদন্ত করে ন্যায় বিচারের দাবিতে আইনজীবীর পরিবারের পক্ষ থেকে সিএমপি কমিশনার এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। জানা গেছে, চট্টগ্রাম জজ কোর্টের আইনজীবির সাথে ফেইসবুকে যোগাযোগ হওয়ার পর তরুনী আদালতে মামলার তদবীরের জন্য আসা যাওয়ার সুবাধে পল্টন দাশের সাথে দেখা হয়। তরুনী নিজকে চট্টগ্রাম আইন কলেজের শিক্ষার্থী পরিচয় দেয়ায় আইনজীবীর সাথে আরো সখ্যতা গড়ে উঠে। আইনজীবী পল্টন দাশের মাধ্যমে আইনী সংগঠন ও পেশাজীবী, সামাজিক সংগঠনে যুক্ত হওয়ার আগ্রহ দেখিয়ে নিজেই যোগাযোগ রেখে চলেন। তরুনীর বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে একাধিক জনকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে সুবিধা আদায়, আর্থিক লেনদেনসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। আইনজীবী পল্টন দাশ রাঙ্গুনিয়া আদালত আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট বঙ্কিম দাশের পুত্র। গত ৬ জুন তরুনী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা দাবি করে বিয়ের জন্য জোর করেন। আইনজীবী পল্টন দাশ উক্ত মহিলার সাথে শারীরিক সর্ম্পকের বিয়ষটি অস্বীকার করে পেটের বাচ্চার ডিএনএ টেস্ট করার দাবি করলে কোন অবস্থাতে তরুনী ডিএনএ টেস্ট করার জন্য রাজি হয়নি। ডিএনএ টেস্ট প্রমাণিত হলে তরুণীকে বিয়ে করার প্রস্তাব করা হলে এতে তরুনী ক্ষিপ্ত হয়ে আইনজীবী পল্টন দাশের বিরুদ্ধে গত ৬ জুন নগরীর কোতোয়ালী থানায় ধর্ষনের অভিযোগে মামলা করেন। গত ১১ জুন এডভোকেট পল্টন দাশকে কৌশলে ডেকে নিয়ে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। আদালত মহিলার পেটের বাচ্চার ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট ৭দিনের মধ্যে প্রদান করার জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য এই ঘটনায় আইনজীবীর বিরুদ্ধে গত ২ মে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নিকট অভিযোগ করেন, উক্ত অভিযোগে এডভোকেট পল্টন দাশ ২০২০ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটা এলাকার বাড়িতে নিয়ে দুইবার ধর্ষন করেছে বলে দাবি করলেও কোতোয়ালী থানায় দায়েরকৃত মামলায় চট্টগ্রাম আইনজীবী দোয়েল ভবনের ৭ম তলায় ২০/০২/২০২০ তারিখ থেকে ২৫/১/২০২১ তারিখে একাধিকবার ধর্ষন করা হয়েছে বলে দাবি করেন। অথচ চেম্বারের মালিক এডভোকেট বঙ্কিম চন্দ্র দাশের দাবি উক্ত মহিলা একদিনও চেম্বারে আসেনি এবং রাঙ্গুনিয়াতেও যায়নি অভিযোগে যে দুটি ঘটনার স্থান উল্লেখ করা হয়েছে তা সঠিক নয় বলে দাবি করেন।। আইন কলেজের সাবেক ভিপি ওয়ায়েস কাদেরও ওই তরুনীর প্রেমের বলি হয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠছে।
এব্যপারে চট্টগ্রাম জেলা অইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এ এইচ.এম জিয়া উদ্দীন অভিযোগকারী ও অভিযুক্ত উভয় পক্ষের শুনানীতে উক্ত মহিলার অভিযোগ প্রমান করতে পারেনি এবং অভিযুক্ত এডভোকেট পল্টন দাশও বাচ্চার ডিএনএ পরীক্ষার জন্য যাবতীয় খরচ এবং সার্বিক সহযোগিতা করবেন এবং উক্ত মহিলার সাথে কোন ধরণের শারীরিক সর্ম্পক হয়নি বলে দাবি করে লিখিত বক্তব্য আইনজীবীর সমিতিকে প্রদান করেন। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য এডভোকেট বিজয় কৃঞ্চ ঘোষ বলেন, এডভোকেট পল্টন দাশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা বানোয়াট মিথ্যা পরকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে, মূলত রাজনৈতিকভাবে ও সামাজিকভাবে হেয় করতে এটা করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন বলেন, উক্ত মহিলার ডিএনএ পরীক্ষা এখনো করা হয়নি, ডিএনএ রিপোর্ট হাতে আসলে অনেক কিছু তদন্তে কাজে সহায়ক হবে।
এমএসএম / এমএসএম

শান্তিগঞ্জে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

নাফনদীর মোহনায় ট্রলার ডুবি, ৭জেলে উদ্ধার

বালিয়াকান্দিতে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

বাউফলে চেয়ারম্যান পরিবহন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

আদমদীঘিতে সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাটে পৌর হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির কার্যক্রম স্থগিতের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান

দৌলতপুরে মুখ বাঁধা অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার

কমিউনিটি পুলিশিং সভা ও উদ্ধারকৃত মোবাইল-অর্থ হস্তান্তর: মেহেরপুর জেলা পুলিশের জনবান্ধব উদ্যোগ

ভূরুঙ্গামারীতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নবজাতক শিশুদের জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করছে উপজেলা প্রশাসন

পাবনায় ট্রিপল মার্ডারের রায়ে একজনের মৃত্যুদন্ড

গলাচিপা সরকারি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে জামায়াতের এমপি পদ প্রার্থীর মত বিনিময় সভা

ত্রিশালে মসজিদে চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে নিহত
