চন্দনাইশে এনআইডি সংশোধনীতে চরম ভোগান্তি
চট্টগ্রাম চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাচন অফিসে জাতীয় পরিচয়পত্রের ভুল সংশোধন, এলাকা পরিবর্তন ও অন্যান্য কাজে সেবা প্রত্যাশীদের নানাভাবে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এসময় সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, দিনের পর দিন বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে অহেতুক হয়রানি করা হচ্ছে নির্বাচনি অফিসে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় নির্বাচন কর্মকর্তা মাসে অফিসে আসেন হাতেগোনা কয়েকদিন। তাও আবার নিজের ইচ্ছা বা মনের মত সময়ে। অফিসে আসার পর দেখা যায় তার রুমের প্রধান দরজা বন্ধ থাকে। জানালায় থাকে পর্দা, দেখা করতে লাগে অনুমতি। অনেক কষ্টে অনুমতি মিললে অফিসের ভিতরের ২য় দরজা দিয়ে দেখা করা সম্ভব হলেও পাওয়া যায় না সমস্যার সমাধান। তবে কিছুদিন পরে দেখা করার বা আবার আসার পরামর্শ মিলে ভুক্তভোগীদের। অপরদিকে অফিসের কর্মচারীর অবহেলা ও অভিজ্ঞতার অভাবে ভোটার আই ডি কার্ডে দেখা দেয় বড় ধরনের ভুল যা সংশোধনে ভোগান্তি পোহাতে হয় প্রতিনিয়তে। এব্যপারে ভুক্তভোগী আবদুল আলীম জানান, তিনি প্রায় ১ বছর আগে দুটো আইডি কার্ড সংশোধন করতে দিয়ে বারবার অফিসে যোগাযোগ করা হলেও মিলেনি কোন সেবা। তিনি আরো জানান,সেবা পাওয়া তো দূরের কথা,ভাল করে কথা বলারও সুযোগ থাকতো না। অন্য এক ভুক্তভোগী রাবেয়া বেগম জানান, তিনি গত ৭/৮ মাস আগে তার আইডি কার্ডের নাম সংশোধন করতে দেয় নির্বাচনি অফিসে। যা এখন পাওয়া আকাশ কুসুম স্বপ্ন। অপরদিকে দেখা যায় বিগত ৪ বছর আগে পৌরসভাস্থ ৮নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ আবদুল মান্নান নামের এক ব্যক্তির আই ডি কার্ড করতে দেয়। সে আইডি কার্ডে দেখা যায় পিতা মাতার নামের স্থলে লেখা হয়েছে কি শব্দটি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মিনহাজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,এনআইডি কার্ড সংশোধনের বিভিন্ন ক্যাটাগরি আছে। আমার আয়ত্বে যে সকল আইডি কার্ড থাকে তা আমি অনুমোদন করে দিয়। অফিসে না পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন আমি বিভিন্ন সময় অফিসের বিভিন্ন কর্মসূচিতে থাকি,যার কারণে অফিসে মাঝেমধ্যে থাকি না। সদর দরজা বন্ধ পাওয়া প্রসঙ্গে জানান, করোনার কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য যোগাযোগ সীমিত করার লক্ষে সামনের দরজা বন্ধ রাখা হয়।
এমএসএম / এমএসএম