মাদারীপুরের ঘটমাঝি ইউনিয়নের ঝিকরহাটিতে ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় নিহত ১
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মাদারীপুরের ঘটমাঝি ইউনিয়নের ঝিকরহাটিতে ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় কাওসার দর্জি (২৫) নামে একজন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (৫ মার্চ) রাতে সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের উত্তর ঝিকরহাটি এলাকার ২নং ওয়ার্ডে ঘটনাটি ঘটে। নিহত কাওসার দর্জি উত্তর ঝিকরহাটি এলাকার ইদ্রিস দর্জির ছেলে।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মশিউর রহমান জানান, গুরুতর জখম অবস্থায় কাওসার দর্জি নামে এক যুবক হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ঘটমাঝি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য হিসেবে ইকবাল দর্জি ও আলিম দর্জি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে ইকবাল দর্জি জয়লাভ করেন। নিহত কাওসার দর্জি ইকবাল দর্জির সমর্থক ছিলেন। শনিবার রাতে আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে আলিম দর্জি ও ইকবাল দর্জির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় বেশ কয়েকটি দোকান ভাংচুর ও হাতবোমা বিস্ফোরণ করে হামলাকারীরা। সংঘর্ষের একপর্যায়ে আলিম দর্জির সমর্থকরা কাওসার দর্জিকে কুপিয়ে আহত করে। পরবর্তীতে তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঘটমাঝি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইকবাল দর্জি জানান, নির্বাচনে পরাজিত হয়ে আলিম দর্জি ও তার সমর্থকরা হিংস্র হয়ে উঠেছে। তাই তার ভাইয়ের ছেলে এনামুলসহ কয়েকজন কাওসারকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এছাড়া আলিম দর্জি অন্য এলাকা থেকে লোকজন এনে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমি এ হত্যার কঠিন বিচার চাই।
পরাজিত ইউপি সদস্য আলিম দর্জির সাথে যোগাযোগ করা হলেও তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মিঞা বলেন, দুপক্ষের সংঘর্ষে এক যুবক মারা গেছেন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
এমএসএম / জামান