ঠাকুরগাঁওয়ে মুকুলে ছেয়ে গেছে আমের গাছ : ভালো ফলনের আশা কৃষকের

কামরুল হাঁসান,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ে আম গাছে উঁকি দিচ্ছে আমের মুকুল আর মুকুল ভরা ডালে নতুন পাতার হাতছানি। মৌ মৌ ঘ্রাণে মাতোয়ারা মৌমাছির দল। ভাষায় যথাযথ ছবি ফোটানো না গেলেও আমের গাছে এমন মুকুল ফোটা দৃশ্য এখন সারা জেলাজুড়ে যেন হলুদ আর সবুজের মিলনমেলা।
জানা যায়, বাংলাদেশে পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আম উৎপাদন হয়। রয়েছে বাহারি আর মন মাতানো তদের নাম যেমন ফজলি, ল্যাংড়া, গোপালভোগ, খিরসা, অরুনা, আম্রপালি, মল্লিকা, সুবর্নরেখা, মিশ্রিদানা, নিলাম্বরী, কালীভোগ, কাঁচামিঠা, আলফানসো, বারোমাসি, তোতাপূরী, কারাবাউ, কেঊই সাউই, গোপাল খাস, কেন্ট, সূর্যপূরী, পাহুতান, ত্রিফলা, হাড়িভাঙ্গা, ছাতাপরা, গুঠলি, লখনা, আদাইরা, কলাবতী ইত্যাদি। বাংলাদেশের রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও এলাকায় আম চাষ বেশি পরিমাণে হয়ে থাকে।
বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার বাম্পার ফলনের আশা করছেন ঠাকুরগাঁওয়ের আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা। এ জেলার মাটি তুলনামূলক উঁচু এবং মাটির প্রকৃতি বেলে দো-আঁশ। এসব জমিতে কয়েক বছর আগেও চাষিরা গম, ধান, পাট ইত্যাদি আবাদ করতেন। কিন্তু ধান গম আবাদ করে তেমন একটা লাভবান হওয়া যায় না। তাই জেলার বালিয়াডাঙ্গী, পীরগঞ্জ, রানীশংকৈল এলাকায় ব্যাপক আম বাগান গড়ে উঠেছে।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় আম বাগানের পরিমাণ প্রায় ৪ হাজার ৭শ হেক্টর। আর আম বাগানের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩ হাজার। ঠাকুরগাঁও জেলার বিখ্যাত আমের নাম সূর্যপূরী। এটি সাধারণত বালিয়াডাঙ্গী এলাকায় বেশি চাষ হয়। বিশেষ করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার হরিণমারী এলাকায় রয়েছে বিশাল আকৃতির একটি সূর্যপূরী আম গাছ। প্রায় ২ বিঘা জমি জুড়ে আম গাছটি দেখতে দর্শনার্থীদের ভীড় জমে। এ আম ইতোমধ্যে সকলের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। পাতলা আঁটি আর সুমিষ্ট গন্ধ যেন মন কেড়ে নেয়।
এছাড়াও একবিঘা জমিতে অন্যান্য ফসল উৎপাদন করে যে লাভ হয়, আম বাগান করে তার চাইতে কয়েকগুণ লাভবান হওয়া যায় বলে জানায় কৃষি বিভাগ। অনেক বেকার যুবক এখন বাণিজ্যিক ভাবে আম্রপালি আমের বাগানের দিকে ঝুঁকে পড়ছে বলে দেখা যায়। এসব বাগানে গাছ লাগানোর ২/৩ বছরের মধ্যেই আম পাওয়া যায়। লাগাতার ফল দেয় ১০/১২ বছর। ফলনও হয় ব্যাপক। শুধু আম্রপালি ছাড়াও এ এলাকায় হাড়িভাংগা, গোপাল ভোগ, ল্যাংড়া, ফজলি ও হিমসাগর আমের আবাদ হচ্ছে। বাগানগুলোতে আম গাছের পাশাপাশি সাথী ফসল হিসেবে গমসহ অন্যান্য ফসলেরও আবাদ করছেন চাষিরা। ইতোমধ্যে বাগানগুলোতে ব্যাপক মুকুল এসেছে।
অনেকে বাগান করে আগাম বিক্রি করে দেন ফল ব্যবসায়ীদের কাছে। বড় বড় অনেক আম বাগান দুই-তিন বছর কিংবা তার অধিক সময়ের জন্য অগ্রিম বিক্রি হয়ে যায়। কিছু বাগান বিক্রি হয় মুকুল দেখে। আবার কিছু বাগান বিক্রি হয় ফল মাঝারি আকারের হলে। বাগানের পাশ দিয়ে হাঁটলেই মুকুলের ঘ্রাণে মন প্রাণ ভরে উঠে।
বাগান ব্যবসায়ী মাহমুদ রাজ জানান, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর আবহাওয়া ভাল থাকায় এবার ব্যাপক মুকুল দেখা যাচ্ছে। মুকুল দেখে আশা করা যায় এবার আমের ব্যাপক ফলন হবে। শিলাবৃষ্টি বা ঝড় না হলে ব্যাপক আমের ফলন পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু হোসেন জানান, ঠাকুরগাঁও জেলার সূর্যপূরী আম সারাদেশে সুনাম কুড়িয়েছে। এখানকার আমে পোকা থাকেনা এটা এখানকার বিশেষ বৈশিষ্ট্য। আমের আকার দেখতে ছোট হলেও স্বাদে গন্ধে অতুলনীয়। ইতিমদ্যে চাষীদের কৃষি বিভাগ থেকে পরিচর্যার যাবতীয় পরমর্শ প্রদান করা হয়েছে। আবহাওয়া ভাল থাকলে এবং কালবৈশাখী বা ঝড় না হলে আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
জামান / জামান

চসিকের সিইওকে সরাতে মেয়রের ডিও লেটার

নড়াইলে গণঅধিকার পরিষদের নির্বাচন প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডা. আবুল হাসনাতের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি ও দুর্নীতির অভিযোগ

মুলাদীতে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

কামালপাড়া যুব সংঘের আহ্বায়ক কমিটি গঠন

‘সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর জরুরি’: কানাডা বিএনপি নেতা হুমায়ুন পাটোয়ারী

পটুয়াখালীতে কোস্ট গার্ড ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ৩৫ লক্ষাধিক টাকার মাদক ও জাল নোট জব্দ

কেরানীগঞ্জে চাষের মাগুরকে খাওয়ানো হচ্ছে মরা মুরগি, তীব্র গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

যথা সময়ে নির্বাচন, সহিংসতা প্রতিরোধে জনগণকেও ভূমিকা রাখতে হবে: উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ

নুরাল পাগলা’র দরবারে পুলিশের ওপর হামলা, ৩৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় ডেকোরেশন কর্মীর লাশ উদ্ধার

কুড়িগ্রারে রৌমারীতে সেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত
